৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে সেই আমলের কথা। এখন যারা ফেসবুকে বড় বড় কথার ফুলঝুলি ফোটায় তখন সেই সময় অনেকের মুখে ফিডার ছিলো। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হবার শেষের দিকে। মোঃপুরের এমপি মকবুল হোসেনের নজর পড়ে "নূর মসজিদ" এ। এই মসজিদের ছিলো বিশাল জায়গা। এবং জায়টাও ছিলো শিয়া মসজিদ মোড়ে। তখন এমপি মকবুল সাহেব চাইলেন নূর মসজিদের জায়গটা দখল করে সেখানে হাজী মকবুল মার্কেট তৈরী করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে। কিন্তু তার সেই দেশ দরদী কর্মে দেয়াল হয়ে দেখা দিলো সেই জায়গায় থাকা একটি মাদ্রাসা, যেটা পরিচালিত হতো মরহুম শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (রহঃ) এর তত্ত্বাবধানে। সেই সময় নূর মসজিদে পুলিশের হামলা এবং পরে পুলিশ খুন,যার দায় দেয়া হয় ছাত্রদের উপর। সেই ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক কিছুই জানার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
এবার আসি মূল কথায়,
মীরপুরে বিহারী ক্যাম্পে সাম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনেকেই অনেক লেখা লিখেছে। বেশ কিছু দিন যাবত শারীরিক অসুস্থতা ও কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারনে এই বিষয়ে কিছু লিখতে পারি নাই। বেশ কয়েকজন কাছের মানুষ ফোন করে এই বিষয়ে কিছু লেখার অনুরোধ করেন।
যথারীতি কোন বিষয়ে পুরোপুরি না জেনে লেখার বা বলা স্বভাব সম্মত নয় বলে আজ দীর্ঘ সময় মীরপুরে কাটালাম। প্রায় ১০/১২ বছর পর গেলাম মীরপুরে রূপনগরে। কিছু পুরনো স্মৃতি আর প্রিয় কিছু মানুষের সাথে কি করে দিন পার হয়ে গেছে তা টেরই পেলাম না। রুপনগরের এক হিসেবে ত্রাসই বলা চলে ছোট ভাই রাজ্জাকের (ছদ্দ নাম) সাথে কথা হলো দীর্ঘ এক যুগ পর। সে এখন মোল্লা হাজীর খাস লোক। কথা প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কিরে বিষয়টা কি? বিহারীরা তো বিয়ে,শাদী,সহ যে কোন অনুষ্ঠান হলেই আতশবাজি ফোটায় আর এটা সবাই জানে। কিন্তু এবারের ঘটনার পিছনে মনে হয় কিছু একটা আছে। রাজ্জাক প্রশ্নটা শুনে একটা মুচকি হাসি দিলো। অবশ্য এটা ওর পুরনো স্বভাব। কিছু লুকাতে চাইলে সে এই হাসিটা দেয়।
মুচকি হাসি দেখে বললাম, রাজ্জাক তুই সবাইকে তোর এই ট্রেডমার্ক হাসি দিয়ে ধোকা দিতে পারলেও আমাকে কিন্তু কোন দিনই পারিসনি ধোকা দিতে। একথা বলার পর রাজ্জাক কানের কাছে মুখটা এনে ফিসফিস করে বলল, ভাই আপনার মনে আছে মোঃপুরে নূর মসজিদ দখলের কথা? স্মৃতি হাতড়ান মিলে যাবে সব সব কিছু।