somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গ : ধাক্কাধাক্কি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শব্দ ধাক্কা। একটি পক্ষ থেকে যা বাস্তবায়ন হয়। ধাক্কাদানকারীকে/দের পাল্টা ধাক্কা দেয়া হয় তখনই বলা হয় ধাক্কাধাক্কি।
একইভাবে মারামারি, হাতাহাতি ইত্যাদি। যদিও এতো বিশ্লেষণ করে কথাগুলো বলা হয় না। ক্ষেত্র বিশেষ বিশ্লেষণ করাটা জরুরি বলে মনে করি।
এবার আসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রসঙ্গে। তিনি আছেন- এমন একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে, যেটি দেশের হৃদপিণ্ড। সেটি কী উনি অনুধাবন করেন? করেন হয়তো। নয়তো পূর্বেকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের মতন তুমুল বিতর্কিত, সমালোচিত হয়ে যেতেন। যে ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিককে মারছে, পোশাক ছিরে ফেলেছে, সেটাকে তিনি কীভাবে ধাক্কাধাক্কি হিসেবে বলেন, আমি জানি না কী তার যৌক্তিকতা।
উনি বলার আগে কী একটু ভাবলেন না? কারও সঙ্গে পরামর্শও তো করতে পারতেন। কোথায় সেই জটলায় তো সাংবাদিক পাল্টা কোনো কিছু পুলিশকে করেনি।
যাই হোক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভুল বুঝতে পেরেছেন, সেটা গর্বের বিষয়। তিনি না জেনে অমন মন্তব্য করেছেন বলে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ভাল কথা। কিন্তু এটা আরও ভয়ংকর। এটা ভয়ংকর সরলতা।
কেন ভয়ংকর? শাহবাগের ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরের। মন্ত্রী মহোদয় মন্তব্য করলেন শুক্রবার বিকালে। বৃহস্পতিবার ঘটনা ঘটার পরপরই এটি নিয়ে সবদিকে হুলুস্থুল বেঁধে যায়। কী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, কী গণমাধ্যম। সবদিক গরম হয়ে উঠে। অনলাইন ও টেলিভিশন গণমাধ্যমগুলোয় তাৎক্ষণিক সংবাদ, ফলোআপ সংবাদ প্রচারিত হয় ঘটনার দিনই। প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হয় শুক্রবার।
কথা হচ্ছে- বৃহস্পতিবার কী তিনি এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেননি? তিনি না হয় মন্ত্রী। তার অনেক অফিসিয়াল সহযোগী আছেন, তারা কী এটি মন্ত্রী মহোদয়কে জানিয়েছিলেন? না জানালে কেন জানাননি? জানালে কেন ধাক্কাধাক্কিওয়ালা বাক্য উচ্চারিত হল।
শুক্রবার তো প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, সকাল থেকে পত্রিকা পাঠকের হাতে যেতে থাকে। কথা হচ্ছে- শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে মৌলভীবাজারের শমশেরনগর সিংরাউলী মাঠে দুদিনব্যাপী ‘শমশেরনগর প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী ও পিঠামেলা-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদানের আগে তিনি কী তিনি অন্ততঃ একটা পত্রিকা নিজ চোখে দেখেননি? ছবিটা দেখেননি? না দেখে কেন এমন মন্তব্য? পত্রিকা পড়ার/দেখার সুযোগ কী ছিল না? দেখে থাকলেও তো এমন মন্তব্য করার যৌক্তিকতা আসে না।
ওই যে, প্রথমদিকে বললাম- ক্ষেত্র বিশেষ বিশ্লেষণ করা জরুরি। উনি একজন মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা কোনো রম্য বা ফেলনা চরিত্র নয় যে, যা খুশি, যেখানে খুশি বলে দিলাম আর ল্যাঠা চুকে গেল। কথার কথা হিসেবে কিছু বলাও ভেজাল।
উনি যদি একটু সতর্ক হতেন আজকে ধাক্কাধাক্কি শব্দ নিয়ে হুলুস্থুল হত না সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয়। উনি হাসির পাত্রে পরিণত হতেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে একটু সতর্ক হয়ে কথা বললে কী এমন ক্ষতি হত, আমি জানি না, বুঝিও না।
এখন রাস্তা কী? সবকিছু চুকে যাবে। পুলিশ বিভাগের মর্যাদায় কোনো নেতিবাচক ছাপ পড়বে না। পুলিশ-সাংবাদিকের মধ্যে সুসম্পর্ক বজিয়ে থাকবে তিক্ততা ছাড়াই। যদি দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হয়। দৃষ্টান্ত বাদ দিলাম, আইন অনুযায়ী-ই একটা ব্যবস্থা, কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আর কিছু বলার নেই।
কিন্তু দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার যে বাস্তবচিত্র, তাতে ভরসা পাই না। আজকে পুলিশের হাতে সাংবাদিক মার খেয়েছে। যদি দোষীর উপযুক্ত বিচার না হয়, কাল সাংবাদিককে মারবে অন্য পুলিশ বা অন্য পেশার, শ্রেণীর মানুষ। প্রতিষ্ঠিত হবে- সাংবাদিক মারলে কিছু হয় না। এই দায়িত্ব থেকে কে বা কারা নেবেন সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে?
সাংবাদিক ঝুঁকিঝাকি নিয়েই কাজ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে দিয়ে সাংবাদিক কখনও সম্মানের শিখরে আরোহন করেন, কখনও অসম্মানের শূলে চড়েন। এটা ব্যাপার নাহ্। তাই বলে যখন-তখন, যে যেভাবে পারবে, অযৌক্তিক কারণে- এটা তো মেনে নেয়া যায় না। এমন ঝুঁকিও কী সাংবাদিককে নিতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৭
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নেতানিয়াহুও গনহত্যার দায়ে ঘৃণিত নায়ক হিসাবেই ইতিহাসে স্থান করে নিবে

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

গত উইকেন্ডে খোদ ইজরাইলে হাজার হাজার ইজরাইলি জনতা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।
দেখুন, https://www.youtube.com/shorts/HlFc6IxFeRA
ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহুর এই হত্যাযজ্ঞ ইজরায়েলকে কতটা নিরাপদ করবে জনসাধারণ আজ সন্দিহান। বরং এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×