সেই ছোট্ট শিশুকাল ই ভাল ছিলো।
ছিলো না অপ্রতুল চাহিদা,ছিলো না কোন দামী আবদার।অল্পতে ই সুখ খুঁজে পেতাম।
সারাদিন গ্রামের মাঠ চষে বেড়াতাম।
ক্রিকেট, ফুটবল,দাড়িয়াবান্ধা,গোল্লাছুট আর বউ ছি খেলায় মেতে থাকতাম।
ছিলো না এখন কার মত লোভী সমাজপতিরা।
ছিলো না বাহারী নামের নেশা!ছিলো অপূরন্ত ভালবাসা।
চাটুকারিতা ছিলো না,ছিলো না কুশিক্ষার প্রভাব।
ছিলো গুরুজনদের প্রতি ভক্তি,শ্রদ্ধা।
ছিলো না শিক্ষার বাণিজ্যিকরন!
সুশিক্ষায় শিক্ষিত ছিলো জনতা।আমরা শিখেছি হেসে, খেলে।
এখন শিশু শিখে ভয়ে, ভয়ে।
তখন দশ গ্রামে ও নেতা খুঁজে পাওয়া যেতো না।এখন প্রতি ঘরে নেতার প্রোডেকশন।
আতি নেতা,পাতি নেতা,শিঁকি নেতা----দেশে নেতার বাম্পার ফলন------রোড মিনিষ্টার এর উক্তি।।
বিনোদনের মাধ্যম ছিলো সাদাকালো টিভি আর চ্যানেল বিটিভি।
আলিফ লায়লা, মিঃ বিন,বাদসা সোলেয়মান ছিলো প্রিয় টিভি সিরিয়াল।
ছিলো ছায়াছন্দ,ছোট -বড় সকলেই টিভির সামনে এসে হাজির।
এভাবেই ছিলো আমাদের দৈনন্দিন জীবন প্রনালী।
আনন্দ মুখড় পরিবেশে স্কুলে যাওয়া।স্কুল ফাঁকি ছিলো নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা।
এখন স্কুল,কলেজ থেকে হাইব্রিড বেড় হয়।তখন বেড় হতো খাঁটি সোনা।
এ+ নয়,বেড়ুতো আসল মেধাবী।
ধান্দাবাজ ছিলো ঠিকই,তবে প্রতি ঘরে, ঘরে নয়।এখন অনেকটা লোভীদের প্রাদুর্ভাব।
শীত এলেই খেজুরের রস (রসি) চুরি করে খাওয়ার আনন্দ ছিলো আলাদা।
শিতের সকালে গ্রামের মেঠোপথ ছিলো অকৃতিম সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি।
গৃহবধুরা শিতের পিঠা তৈরিতে ব্যস্থ সময় পাড় করতেন।
কৃষানীরা হেমন্তে নবান্ন উৎসবে মেতে থাকতেন।
পিঠা, পুলি ছিলো প্রধান আত্মীয়-মেহমান আপ্পায়নের খাবার।
টকি ছিলো বিনোদনের আরেকটি মাধ্যম।
নানা শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে টকি দেখানো হতো।
বর্ষায় বিলের থৈ,থৈ পানিতে লুভী,লুভী খেলার নামে হৈ,চৈ ফেলে দেওয়া।
আমার শৈশব টা ই ভাল ছিলো।
সেই দূরন্তপনা,কাউকে ভাললাগা মনের অজান্তে।
যদিও কষ্ট পেতে হয়েছিলো।তবু বলছি সেটাই ভাল ছিলো।
চাটুকারিদের রাজত্ব্যে থাকতে চাই না।
চারদিকে শুধু দূর্নীতি আর দূর্নীতি।
টাকার ঘ্রানে পাগল সবাই।টাকা কামানোর ধান্দায় ব্যস্থ সবাই।যে যেমনি পারছে সে তেমনি কামাচ্ছে।
কারো বিবেকে ও বাঁধা দিচ্ছে না।
চোখের সামনে অনেক সময় অনেক প্রকান্ডা দেখে ও চুপষে থাকতে হচ্ছে।
মিথ্যের কাছে সত্যের পরাজয়।
শুধু শেষ এটুকু বলতে চাই------ হারামের টাকা জীবনে কোন ভাল কাজে আসবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৩