‘গুলি করবেন না, আমি ছাত্রলীগ। হেফাজতে ইসলাম আমাদের ওপর হামলা করেছে। দয়া করে তাদের প্রতিহত করুন। এর পরেও পুলিশ গুলি চালায় আমাদের ওপর।’ কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলেছেন কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম আহতদের দেখতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন ইকবাল। তার হাতে, পেটে ও পায়ে ৬টি গুলি লেগেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। পুলিশ খুব কাছ থেকে বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে গুলি করেছে বলে ইকবাল অভিযোগ করেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ইকবালের বিছানার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন-কী হয়েছে, কারা গুলি করেছিল?
এ প্রশ্নের জবাবে ইকবাল বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের সমর্থকরা প্রথমে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এর পরেই পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আমরা বারবার পুলিশকে জোড়হাতে অনুরোধ করি, আমাদের সহায়তার জন্য।’
‘পুলিশকে বলেছিলাম, আমরা সবাই আওয়ামী লীগের সমাবেশে এসেছি। গুলি করবেন না, আমি ছাত্রলীগ। এ কথার কোনো মূল্য দেয়নি পুলিশ। খুব কাছ থেকে এসে পুলিশ গুলি করেছে’ বলেন আহত ইকবাল। এ কথা শোনার পর কোনো মন্তব্য করেননি আইন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় কামরাঙ্গীরচর থানার পাশে ত্রিমুখী সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ৪ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার খচপুরে।
তিনি কামরাঙ্গীরচরে ফল ব্যবসা করতেন। পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
http://www.sangbad24.net/?p=6715
[img|http://ciu.somewherein.net/ciu/image/117210/small/?token_id=cf390545d2d2623c2539b8e935d3e302
কামরুল এখন কী বলবেন? চুপ মাইরা গেলেন কেনো?মজা পাইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬