এটা আমার প্রথম ব্লগ। আর সবার মতো আমি এখনো দক্ষ ব্লগার নই। প্রথম ব্লগ কি লিখব ভেবে পেলাম না। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার সদ্য তোলা একটি ছবি শেয়ার করি। সদ্য তোলা বললে ভুল হবে এটা আমার প্রায় মাস দুয়েক আগে তোলা। আমি প্রায়-ই আমার প্রিয় ক্যামেরাটা নিয়ে বের হয়ে পরি। সাধারণত আমার বিকালে ওয়ার্ডে ক্লাস থাকে, তখনও আমার সাথে আমি ক্যামেরাটা রাখি। ধানমন্ডি থেকে হেটে বাংলা মটোর যাই। পথে অনেক ছবি তুলি। এই সুবাদে বসুন্ধরা সিটির সামনের ফুল, পপকর্ণ অথবা হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে এমন অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়েই আমাকে চিনে, পছন্দ-ও করে।
সেদিন বাংলা মটোর দিয়ে হেটে ফিরছিলাম, হঠাৎ চোখ চলে গেল রাস্তার ধারে। দেখলাম মায়াকে। সে এক অদ্ভুত মায়ার বাঁধন। ছোট দুটি মেয়ে। বড় বোন আর ছোট বোন। খিদের জ্বালায় অস্থির ছোট বোনকে কোলে নিয়ে সান্তনা দেওয়ার বৃথা চেষ্ঠা বড় বোনের। দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ, অবশেষে সফল বড় বোন। ক্ষুধার জ্বালায় কাতর ছোট বোন ঘুমিয়ে পড়ল।
আর আমার ক্যামেরার সেই পরিচিত শব্দ ক্লিক, ক্লিক।
আজ আমার ক্যামেরার চিৎকার কেমন যেন একঘেয়ে লাগল। ক্যামেরা বন্ধ করে জানতে চাইলাম, "কিরে বাড়ি কই?"
বড় বোন উত্তর দিল না, ছোটটা "উ" করে একটা শব্দ করে আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
"নাম কি তোমার?" এবার তুমি করেই বললাম
আস্তে করে বলল "মায়া"।
পরে আরও যা জানতে পারলাম ওদের মা মারা গেছে আজ চার দিন। বাবার আর একটা বিয়ে আছে। ওদের দায়িত্ব চাচীর, তাও সে মারধর ছাড়া আর কোন দায়িত্ব পালন করে না। মায়ার মায়া কাড়া চোখের দিকে তাকিয়ে আমি ওর অন্ধকার ভবিষ্যত কল্পনা করতে পারছিলাম।
দেড়ি হয়ে যাবে তাই নিজেকে স্বার্থপর বাস্তবতায় টেনে ফেরত নিয়ে আসি। মনে আছে পকেট থেকে একটা পঞ্চাশ টাকার নোট দিয়েছিলাম। মায়কাড়া ছখে একরাশ শুন্যতা নিয়ে মায়া আমার হাত থেকে টাকাটা নিল। উঠে চলে আসলাম। মায়া হারিয়ে গেল আমার জীবন থেকে। পরের দিন বিবেকের টানে আবার খোঁজ করলাম মায়ার... নাহ্ মায়া হারিয়ে গেছে...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




