ক. অধরা
জলেরও অধিক তুমি জল
কী করে স্পর্শ করি
গভীর অতল।।
খ. শ্রম
মুড়কিমোয়া দিন নয়
টাকরা-বুড়ির ভয় আজও কাটেনি
দিনান্তের পথিক যারা
কুয়াশায় রেখে যায়
টুকরি-কোদাল
যদি এই তে-পথের ঠিকানা জানো
শূন্যপাত্রে রেখে যেয়ো
আমার মজুরী।।
গ. বেচাকেনা
মরা গাঙ বাওরে বন্ধু
সারা রাত এমনই কাটে
কার কথা বিকি করো
সান্ধ্য-হাটে।।
ঘ. লউ
কামরূপ নগরে যাও
সোয়াপাখির খোঁজে
তুমি যার বন্দনা করো
আমি তার জীবন রচি—
রেখে যাই বিলের পাশে
এখানেই গাঁথা আছে
ইতিহাস-লাল।।
ঙ. বিল-মানুষের গান
ধীবর কন্যার কলহধ্বনি
উদাস করে প্রান্তর ...
কথোকতা রেখে যায়
কাদাজল-মাছেদের কানে,
তাহাদের সখ্য-কথা জেগে রয়
মাঠময়।।
চ. দানের শরীর
গহনেই পড়ে থাক মরাচাঁদ
চিত্রাল ফড়িং টানে প্রবল মুগ্ধতায়
বাসতে বাসতে-ভালো ভাসানেই তুলে দাও
ফেরাবো না আর কোনোদিন এই
দানের শরীর।।
ছ. দ্বন্দ্ব
তুমি বলো নাই, আমি বলি আছে
কতকাল এই দ্বন্দ্বে রবো—তারচে আসো
নাই-আছে অগ্রাহ্য করে
এক হয়ে যাই।।
জ. উদ্বেগ
রে কুমার
আরও একবার খনন কর্
তুলে আন্ চিত্রাল মৃগের ঘ্রাণ
যে ছিল স্বাধীন এক
পরির ডানা
আহত করো না আজ উদ্বেগহীন জঠর
পরম নিশ্চেন্তে হোক প্রাণের সঞ্চার।।
ঝ. প্রিয়দিন ১
সুপ্তঘুমের ভেতর জেগে রই
কায়মনোবাক্যে পাঠ করি
প্রিয় সংসারদিন।।
ঞ. প্রিয়দিন ২
একই পথের যাত্রী ছিলাম
স্বপ্নগুলো ভাগ করে তুলে দিতাম
পাখিদের ঠোঁটে
উড়ালপথে ফেরি হতো ধ্বনির গুঞ্জন।।
ট. দৃশ্যমান
আমাকে তীরবিদ্ধ করো,
যিসাস হবো
এই নরকের কালে
তায়েফের পাথর দিয়ে রক্তাক্ত করো
এমন শোক দাও যেন দানবের কাঁচঘর ভেঙে যায়
পিয়ালা ভর্ত্তি বিষ দাও, আকণ্ঠ পান শেষে মানুষ হবো
তবু এই নরককাল পিষ্ঠ হোক
পায়ের তলায়।।
ঠ. আদিম
আকাশ রাত্রিকে খায়
তুমি গিলো আমার ছাতিম
আমি নিঃস্ব হবো
এই ভাদ্রেই নিলাম হবে
পরগনা, আদিম।।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:০৫