somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিতীয় সত্তা

১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




চিঠিটা পোস্ট করার সময়ও দুবার ভাবেনি কলি, লেখার সময়ও না। বরং ছোট চিঠিটার ভাষাটা নিজের চোখে বেশ ঝকঝকে লাগলো। মূলত আপনার লেখা আমার ভালো লাগে, আর ঐ পত্রিকাতে আপনার ঠিকানা পেয়েছি, এ হলো চিঠির বক্তব্য। চিঠিটা পোষ্ট করতে গিয়ে শেষ চিঠি লেখার স্মৃতিটা মনে এলো। সে প্রায় বছর দুয়েক হবে, এর মধ্যে খামের দামও বেড়ে গেছে দেড়গুণ। এখনো কারা চিঠি লিখে, চিঠিটা বক্স-এ ফেলতে ফেলতে ভাবছিল সে, হয়তো ডাক বিভাগটা উঠেই যাবে। আবার অফিসের ভিতরে চোখ পড়ায় তার চিন্তা পাল্টে গেল।
প্রতিটা বিভাগের নামে আলাদা করে রাখা ভাজগুলোতে জমে থাকা চিঠিপত্রের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ইউনিভার্সিটি বা এ জাতীয় অফিসিয়াল কাজকর্মের জন্যই ডাক বিভাগটা টিকে যাবে, সাথে যাওয়া অরণীকে তার চিন্তাটা জানালো কলি, দুজনেই একমত।
অরণী অবশ্য তার চিঠি লেখার কাহিনী শুনে হাসলো না। বরং সিরিয়াসলি জানতে চাইল কোন লেখা পড়ে চিঠি লেখার কথা মনে হলো। শুনে মাথা নাড়লো, ‘গল্প-কবিতা এসব আমি পড়ি না, তবে শেষ চিঠি লেখার ঘটনা আমি নিজেই ভুলে গেছি। ক’বছর হবে কে জানে! তোর তো একেবারে ফ্রেশ একটা অভিজ্ঞতা হলো। এও এক চমৎকার ঘটনা। সব কিছুতেই ভালো কিছু খুঁজে বের করতে চাওয়া অরণীর স্বভাব। এ বয়সেই কারো সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু না বলাটা প্রায় অভ্যাসে এনে ফেলা অরণীকে অনেক সময় উপন্যাসের নায়িকা মনে হয়। কথাটা অরণীকে বলতে গিয়ে থমকালো কলি। প্রেরকের ঠিকানায় এমনিতেও প্রযত্ন লাগিয়ে অরণীর ঠিকানা লিখা হয়েছে। এখন উপন্যাসের চরিত্রের কথা বললে অরণীও টিপ্পনী কেটে বসতে পারে।
পোষ্ট অফিস থেকে ঝুপড়িতে যাচ্ছিল ওরা। মাঝে জারুল তলার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চেঙড়াটাকে চোখে পড়লো। দল বেঁধে কি সব হাবিজাবি গান গাইছে। দেখা মাত্র গম্ভীর হলো কলি, এ এক নতুন উৎপাত। অথচ এমন টেকনিক্যাল উৎপাত যে অভিযোগ করার সুযোগ নেই, তৃতীয় কারো বোঝারও সাধ্য নেই। আড়চোখে দেখলো কলি, তাদেরকে দেখে চেঙড়াটা উঠে দাঁড়িয়েছে, অথচ নিশ্চিত যে, এমনকি সাথে থাকা অরণীও ব্যাপারটা বুঝতে পারবে না। দেখা যাক কি করে, কলিও নির্লিপ্ত ভাব দেখানোর সিদ্ধান্ত নিল।
চেঙড়াটা ঝুপড়িতে তাদের পাশের টেবিলে এসে বসলো। সাথে আরেকজন। এবার ভেতরে ভেতরে কিছুটা কৌতুহলী হলো কলি, তার প্রতি চেঙড়াটার আগ্রহ দেখানোটা কি একেবারেই তার নিজস্ব নাকি তার সঙ্গী সাথীরা জানে!
অবশ্য কৌতুহলের কোন জবাব পাওয়া গেল না। কলিরা যখন সিঙ্গারা নাকি কলা নাকি অন্য কোন জাতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনায় মগ্ন তার ফাঁকে চেঙড়াটা চেঙড়ামি দেখিয়ে ফেললো, ‘তুমি তো জান না কিছু না জানিলে আমার সকল গান তবুও তোমাকে লক্ষ্য করে, যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তোর ঝড়ে---’। এমন আলগোছে আওড়ালো যে শুধুমাত্র কলিই বুঝলো উচ্চারণটা নেহাত বলার জন্য বলা নয়। এই অস্পষ্টতা তাকে এতটাই রাগিয়ে দিল যে ‘মাই ফুট’ বলে বাতাসেই প্রতিক্রিয়াটা ভাসিয়ে দিল। তার মধ্যে টেকনিক্যালিটির বালাই না থাকায় ব্যাপারটা স্রেফ কথার কথা থাকলো না, অরণীর প্রতিক্রিয়া সেটা বলে দিল। বিস্মিত চোখে এদিক সেদিক দেখতে লাগলো সে। কিন্তু যার উদ্দেশ্যে এ উচ্চারণ তার মত ভালো মানুষ তখন পৃথিবীতে ঐ একটাই।
আর চূড়ান্ত বদমায়েশী মানসিকতা প্রমাণ করতে হাবিজাবি কি চিবোচ্ছিল সেটার অর্ধাংশের দিকে তাকিয়ে এমন সময়ে শ্রাগ করলো ঠিক যখন কলি তাকালো। বুঝলো কলি, এই নিখুঁত টাইমিং প্রকৃতই ইচ্ছাকৃত, মেজাজ খারাপের আর কিছু বাকী থাকলো না। এ ব্যাটার মনে হয় কানের ওপরও একটা চোখ আছে।
অথচ অরণী শাটল ট্রেনে বসে হাসলো, ভুলে যাস না এ বয়সটাই কিন্তু অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সময়, যেন নিজে শতবর্ষী বৃদ্ধা এমন ভঙ্গীতে বললো। ‘ব্যাপারটা-তো আমার কাছে খুব ইন্টাররেষ্টিং মনে হচ্ছে। বিশেষতঃ ওর এ্যাপ্রোচটাতো পুরোপুরি ব্যতিক্রমী। এমনকি তোর সাথে থেকেও আমি কিছু বুঝতে পারিনি। অবশ্য যখন মাই ফুট বলে চিৎকার করে উঠলি তখন বুঝেছিলাম সামথিং রং। যাই হোক আমি এখানে ফুট দেখার কোন কারণ দেখছিনা, বরং তোর ভাষার চেঙড়াটাকে কাল দেখাস তো!’
‘আগে আমিও ইগনোর করতাম। আজ জীবনানন্দকে টেনে আনায় মেজাজটা হঠাৎ খারাপ হয়ে গেল, থামলো এমন জায়গায়----, তুই পড়িস না বলে জানিস না পরের লাইনটা কি।’ বিরক্তিতে হাত নাড়লো কলি, ইডিয়টটা পুরো আলাদা একটা মানে এনে ফেললো।
পরের লাইন কিংবা মানে নিয়ে খুব একটা ব্যসত্ম হলো না অরণী, বরং তার ভাষায় পৃথিবীর বুকে নরমতমভাবে এ্যাপ্রোচ করার জন্য ছেলেটার বাহবা পাওয়া দরকার। মামার বাসায় যাওয়ার জন্য ষোলশহরে নেমে যাওয়ার সময় সে কথা বলে আবার হাসলো সে, ‘আর তোর লেখকটা যদি রেসপন্ড করে তো বাতাসের বেগে তোর বাসায় পৌঁছে যাব।’
অন্য কেউ বললে ব্যাপারটা খোটা মারা বলে মনে হত, অরণী বলে সে চিন্তাটা এলো না। কাল স্বাভাবিকভাবে দেখা হচ্ছে আর আজই মাত্র চিঠিটা পোষ্ট করা হল, এর মাঝে রেসপন্স আসার সুযোগ কোথায়! তবু অরণীর মন্তব্য মনের মধ্যে যে একটা কিন্তু কিন্তু ভাবের জন্ম দিল তারই পারম্পর্য্যে সে রাতে দ্বিতীয় চিন্তাটা এলো। একটা লোক সম্পর্কে কিছু না জেনে তাকে চিঠি লেখাটা কতুটুকু ঠিক হলো! যদিও চিঠিতে বিশেষ কিছু নেই তবুও একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে চিঠি লিখেছে এ জিনিসটা ক’জন লোক হজম করতে পারে। আয়নার দিকে তাকালো কলি, বিশেষত মেয়েটি যদি সুন্দরী হয়। সেই অতটুকু বয়স থেকেইতো মানুষের মুগ্ধ দৃষ্টির সাথে পরিচিতি গড়ে উঠেছে। কতজনের বহুরূপী চরিত্রের সাথে পরিচিতি ঘটেছে এ সময়ে। বিতৃষ্ণা চলে এসেছে লোকগুলোর বিষয়ে।
খানিকক্ষণ পর নিজের উপর বিরক্ত হলো সে, ইদানীং মনে হয় সবকিছুতে প্রথমেই খারাপ কিছু দেখাটা অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন অরণীর সাথে ঘোরার পর বিপরীত চরিত্র অর্জন!
অরণীর ট্যানট্যানানীতে পরদিন চেঙড়াটাকে খুঁজলো কলি, এমন ইন্টারেষ্টিং চরিত্র দেখতে নাকি উদগ্রীব অরণী। খোঁজ বলতে শুধু এদিক ওদিক তাকানো, কোন ডিপার্টমেন্টে পড়ে কে জানে! সরি ছাগলটাকে আজ কোথাও দেখা যাচ্ছে না, ষ্টেশানে এসে বললো কলি। কিন্তু যখন ট্রেন ছাড়ার আগে এক নাম্বার রোড ধরে খানিকটা হেঁটে আসতে গেল, অনেক ছেলেমেয়ের মাঝে হঠাৎ কাছাকাছি একটি গলা জীবনানন্দ আওড়ালো, ‘ফিরে এসো সমুদ্রের ধারে/ফিরে এসো প্রান্তরের পথে/ যেইখানে ট্রেন এসে থামে/আম নিম ঢেউয়ের জগতে ফিরে এসো/ একদিন নীল ডিম করেছো বুনন / আজো তারা শিশিরে নীরব / পাখির ঝরনা হয়ে কবে আমারে করিবে অনুভব।’
কবিতার মাঝখানে অরণীর দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচালো কলি। থতমত খাওয়া অরণী পরমুহূর্তে ব্যাপারটা বুঝতে পারলো। কবিতা আওড়ানো শেষ হওয়া মাত্র আজকের কাঙিক্ষত চেঙড়াটার দিকে ফিরলো সে, কিছু বলছেন? সোজা চোখে তাকাল চেঙড়াটি, বলেছি তবে আপনাকে নয়। অ, উল্টো বিব্রত অরণী।
অথচ ট্রেনে উঠে সার্টিফিকেট দিয়ে দিল। ছেলেটার মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস আছে। সততা বলা যাবে কিনা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া যে পাখির ঝরনা হয়ে অনুভব করার আকুতি জানায় সে আর যাই হোক কখনো বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে না এটুকু বলা যায়, অরণী যেন অনেক অভিজ্ঞ কেউ এমন ভঙ্গিতে বললো। ‘তাছাড়া তোর লেখকটা যদি রেসপন্ড করে তা পুরো ব্যাটারটা তাকে জানাতে পারিস। কবিতা আওড়া আওড়ির ব্যাপার স্যাপারতো কবিরা ভালো বুঝবে, আর তোর চিঠি লেখার একটা ভালো সাবজেক্টও জুটবে।’
ধ্যাত, কথাবার্তা ছাড়া কাউকে ধুম করে এসব জানানো যায় নাকি। একেবারে যা তা টাইপের মেয়ে ভেবে বসবে। তাছাড়া অরণীর কথায় কোথায় যেন একটা খোঁচা রয়েছে। এই একটা বিষয়ে দ্বিতীয়বারের মত খোঁচার আভাস পাওয়া গেল। ‘এই তুই খোঁচা মারলি মনে হচ্ছে; সরাসরি তাকাল কলি। তার দৃষ্টির সামনে হেসে ফেললো অরণী। সম্মতিসূচক মাথা নাড়লো হাসতে হাসতে। আবার পরমুহূর্তে সিরিয়াস হলো, ‘এই আমি কিন্তু এমনিই ফান করলাম।
ফান করুক আর যাই করুক কলি কিন্তু সে রাতে দীর্ঘতর একটা চিঠি লিখলো, সে ধরেই নিয়েছে সাড়া আসবে আর পরবর্তী চিঠি লিখাটা তার অবশ্যই করণীয়তার মধ্যে পড়ে। একান্ত আনুভূতিগুলো নিজস্ব রাখতে চাওয়াটা প্রতিটা মানুষেরই কামনা তবু এগুলো বলার জন্যই অন্যের মাঝে নির্ভরতা খুঁজে সবাই, প্রতিনিয়ত। আর অন্যের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপনের প্রথম ধাপটি নিজের ইচ্ছার কারণে হয়, পরের ধাপটা নিয়ন্ত্রিত হয় উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আচরণে। তার দীর্ঘ চিঠির খানিকটা জুড়ে তাই চেঙড়াটার কথা থাকলো। থাকলো অরণীর কথা, দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে সদ্য খোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য বদলের কথাও। আরা হাবিজাবি অনেক কিছু লিখলো কলি, যা মনে আসে সব। তারপর পড়ে বিশ্বাস আর নির্ভরতার কথা ভাবলো।
ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট করা হলেও মেট্রোপলিটন এলাকায় পরের দিনই বিলি হয়ে যাওয়ার কথা চিঠির, সে হিসেবে আজই সেটা পৌঁছে গেছে। ভাবতে ভালো লাগলো কাল-পরশুর মধ্যে জবাব আসছে। অন্য কারো ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ছেলেমানুষী ভাবা যেত, কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে মোটেও তা মনে হলো না, বরং তার কল্পনার ফানুসগুলো বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়ে উড়ে চললো। বাস্তবতা কিন্তু পরদিন তাকে বিপরীত বার্তা দিল। প্রথম ট্রেনেই বিশ্ববিদ্যালয় যাচ্ছিল কলি। স্বাভাবিকভাবে বটতলী থেকে তার সঙ্গী হলো অরণী। অরণীর উপস্থিতি নয়, তাকে চমকিত করার বিষয়টি ঘটলো পাশের সারির ছেলে মেয়েদের কারণে। শুরু থেকেই ব্যস্ত দেখা যাচ্ছিল তাদের, বোধহয় আজকেই কোন পরীক্ষা নেয়া হবে। একদিনের নোটিসে নাকি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে বলা হয়েছে। তাদের এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে, সেক্ষেত্রে অন্যদের জন্য তাতে বিশেষত্ব থাকার কারণ নেই। বিশেষত্বের বিষয়টা ঘটলো ষোলশহরে এসে। পাশের সিটের ছেলেমেয়েদের সাথে যোগ দিল চেঙড়াটি।
সে অবশ্য বসতে গিয়ে থমকালো। এক পলকে অরণী আর কলির দিকে তাকিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। উপভোগ করলো কলি, আহা বেচারা! বেচারার যাবতীয় জারিজুরী শেষ, বসেছেও খানিকটা বাঁকা হয়ে। এদিকটাকে পেছনে রাখার চেষ্টা করে। যদিও অল্পক্ষণ পরই ব্যাপারটা সামলে উঠলো, যেন আশপাশে কেউ নেই এমন ভঙ্গীতে যোগ দিল পরীক্ষা সংক্রান্ত খটোমটো আলোচনায়।
কিন্তু যখন ট্রেনটা ফতেয়াবাদ ছাড়িয়ে গেছে, খানিকক্ষণ পরই স্টেশানে ঢুকবে তখন ওরা পড়াশুনা সংক্রানত্ম কথাবার্তা শেষ করলো। রেল লাইনের পাশের দৃশ্য দেখছিল কলি, অল্প কদ্দুর পর খানিকটা শুকিয়ে আসা চমৎকার লেকটা শুরু হবে, সেদিকে তাকিয়ে ছিল কলি। তখনই কানে গেল, ‘কিরে গত রাতে কি একটা চিঠি পাওয়ার কথা বলছিলি ফোনে, ওটা আনছস?’ ‘অবশ্যই’ চেঙড়াটি ততক্ষণে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছে, ‘বুঝলি এখানে কেউ কেউ আমাকে পাত্তা না দিলেও আমার গুরুত্ব বোঝার মত মানুষ এদেশে এখনো আছে।’ ছেলেটি এক পলক তাকালো এদিকে আর কলি অরণী পরস্পরের দিকে। ঐ বাণীর উদ্দিষ্ট খুঁজতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। পকেট থেকে ততক্ষণে বের করে ফেলেছে চিঠিটা। এই ইউনিভার্সিটিরই একটি মেয়ে লিখেছে পত্রিকায় আমার লেখা পড়ে, চিঠিটা বেশ ইস্টারেস্টিং। তবুও মেয়েতো সেজন্য আমি উত্তর দেব না, কারণ এখন আমার সকল লেখা একজনকে লক্ষ্য করে।’ সেই একজনটা কে, স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইল অন্যরা। কিন্তু সেসব বাদ দিয়ে যেই চিঠিটা পড়া শুরু করলো আবার পরস্পরের দিকে তাকালো কলি আর অরনী। এবার বদলে গেছে তাদের দৃষ্টি। পৃথিবীতে এমন অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে!
কমে এসেছে ট্রেনের গতি। বাইরে তাকিয়েছিল কলি, বরাবরই অসাধারণ সুন্দর ঠেকা লেকটা দেখতে দেখতে হঠাৎ ঝাপস হয়ে আসে দৃষ্টি। কি ভেবেছিল আর কি হলো! ‘যার লাগি ছুটে গেছি নির্দয় মসুদ চীনা তাতারের দলে/আর্ত কোলাহলে, তুলিয়াছি দিকে দিকে ব্যথা বিঘ্ন ভয়/ আজ মনে হয়/ পৃথিবীর সাঁজ দ্বীপে তার হাতে কোনদিন জ্বলে নাই শিখা!’
ট্রেন থেমে গেছে। চারদিকে নেমে যাওয়ার কোলাহল। সেদিকে দেখতে দেখতে সিদ্ধানত্মহীনতায় ভুগলো কলি, ইতিমধ্যে নিয়ে ফেলা প্রকাশিত না হওয়ার সিদ্ধান্তটা ঠিক হলো কি-না।
# চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে লিখিত
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×