দৃশ্যপট ১
বাংলার মাঠে ঘাটে ছাগুরাম নিয়মিত লাদি ত্যাগ করে। যদিও ছাগলেরা লাদি ত্যাগের পরবর্তী সময়ে নিজের পশ্চাৎদেশ কুকুরের মত কোথাও ঘষিয়া পরিষ্কার করে না তবু আমাদের ছাগুরাম কিছুটা কুকুরের স্বভাব প্রাপ্ত। সে তার লাদি ত্যাগ করে নিজের পশ্চাৎদেশ ধানক্ষেতের আইলে ঘষিয়া পরিষ্কারের চেষ্টা করে। ছবির প্রথম দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে আমাদের ছাগুরাম যেই ধানক্ষেতের ধান খেল সেই ধানক্ষেতেই লাদি ত্যাগ করল এবং সেই ধানক্ষেতের আইলেই নিজের পশ্চাৎদেশ সজোরে ঘর্ষণ করিতে লাগল। আতিরিক্ত ঘর্ষনের কারনে তার পশ্চাৎদেশে ব্যাথা অনুভব করে সে একটা ম্যাৎকার ছাড়িয়া দিল। তাহার সজোর ম্যাৎকারের সময় পর্দায় ভাসিয়া উঠিল বিশাল লেখা "ছাগু কেন আবাল"
দৃশ্যপট ২
এরপর ছবির কলাকুশলীদের নাম ভাসতে লাগল পর্দায়। সেখানে ছাগুরাম বিভিন্ন এঙ্গেলে তাহার পশ্চাৎদেশের বিভিন্ন পোজ দিল। আমরা দেখিতে পাইতেছি ঘর্ষনের ফলে ছাগুরামের ক্ষত বিক্ষত পশ্চাৎদেশ এবং সেখান হইতে অবিরাম অঝোর ধারায় লাদি নির্গমন। একসময় নাম দেখানো পর্ব শেষ হইল।
দৃশ্যপট ৩
এই দৃশ্যপটে আমরা দেখতে পাই ধানক্ষেতের মালিক একটা সূচালো লৌহদন্ড নিয়া পশ্চাৎদেশ ঘর্ষণে ব্যাস্ত ছাগুরামের দিকে দৌড়িয়ে আসছে। ছাগুরাম ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারে নাই যে কেউ তার দিকে দৌড়িয়ে আসছে। অতএব যা হবার তাই হল। সূচালো লৌহদন্ডের প্রচন্ড খোচা খেয়ে ছাগুরাম আরো জোরে ম্যাৎকার করতে লাগল। তার ম্যাৎকারে আকাশ বাতাশ কেঁপে উঠল। আমরা পর্দায় দেখতে পাচ্ছি ঘুর্ণায়মান আকাশ এবং সেই সাথে ছাগুরামের প্রবল ম্যাৎকার। ধানক্ষেতের মালিক ছাগুরামকে দাবড়ানি দিতে লাগল, "ভাগ, ভাগ, তোর মত হারামী ছাগু, যে যেই ক্ষেতের ধান খায় সেই ক্ষেতেই লাদি ছড়ায়, সেই রকম ছাগুর এই ধানক্ষেতে আসার অধিকার নাই"। ছাগুরাম প্রতিবাদ করে উঠল, "না আমি যাব না, যতই আমার পশ্চাৎদেশ ক্ষতবিক্ষত হোক না কেন আমি এই ধানক্ষেতের ধান খেয়ে এই ধানক্ষেতেই লাদি ত্যাগ করে এই ধান ক্ষেতের আইলে কুকুরের মত পশ্চাৎদেশ ঘর্ষন করব"। তখন ধানক্ষেতের মালিক আবার সেই সূচাল লৌহদন্ড দিয়ে ছাগুরামের পশ্চাৎদেশে পুনরায় খোচা দেয়া মাত্র ছাগুরাম প্রবল ম্যাৎকার করতে করতে ধানক্ষেত ছেড়ে দৌড় মারল। যাবার সময় সে বলতে লাগল, "না আমি মানি না, আমি লাদি ত্যাগ করার অধিকার চাই"। ধানক্ষেতের মালিক বলল," এই কারণেই তুই একটা আবাল"।
দৃশ্যপট ৪
ছাগুরাম তার ক্ষতবিক্ষত পশ্চাৎদেশ নিয়ে দৌড়াচ্ছে আর প্রবল ম্যাৎকার করছে। পশ্চাৎদেশের যন্ত্রণার কাতর ছাগুরাম পথে দৌড়াচ্ছে। সে মনে মনে ভাবছে, "কিভাবে পশ্চাৎদেশ ঠান্ডা করি, কিভাবে পশ্চাৎদেশ ঠান্ডা করি"। পর্দায় ছাগুরামের ম্যাৎকারের সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড হিসাবে এই কথাগুলো শোনা যাচ্ছে। এমন সময় পথে এক পুকুর দেখা গেল। ছাগুরাম সাথে সাথে সেই পুকুরে তার পশ্চাৎদেশ ডুবিয়ে ঠান্ডা করতে লাগল। এমন সময় পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠতে লাগল। মিনিটের মধ্যে দেখা গেল পুকুরের সব মাছ পচা ধরতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে দূর্গন্ধ বের হওয়া শুরু করল। এমন সময় দেখা গেল পুকুরের মালিক একটা বড়সড় বড়শি নিয়ে ছাগুরামের দিকে দৌড়ে আসছে। যথারীতি ছাগুরাম তার আবালীয় মস্তিষ্কের কারণে কিছুই টের পেল না। ছাগুরামের মাৎকার ততক্ষণে থেমে গেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড হিসাবে আমরা ছাগুরামের মনের কথা শুনতে পাচ্ছি, "পশ্চাৎদেশেই শক্তি, পশ্চাৎদেশেই ভক্তি, পশ্চাৎদেশেই মুক্তি"। এমন সময় পুকুরের মালিক ছাগুরামের ডুবন্ত পশ্চাৎদেশে বড়শি বাধিয়ে পানি থেকে তুললেন। ছাগুরাম ম্যাৎকার করে উঠল। আবার পর্দায় ঘুরন্ত আকাশ দেখা গেল সেই সাথে ছাগুরামের প্রচন্ড ম্যাৎকারের শব্দ ব্যাকগ্রাউন্ডে। ততক্ষণে ছাগুরামকে পশ্চাৎদেশে বড়শি বিদ্ধ অবস্থায় পুকুরের মালিক একটা কাঠাল গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ছাগুরাম হঠাৎ তার সামনে কিছু কাঠাল পাতা দেখে পশ্চাৎদেশের যন্ত্রণা ভুলে গেল। সে মহা উৎসাহে কাঠাল পাতা চিবানো আরম্ভ করল। পুকুরের মালিক ছাগুরামের এই কাঠাল পাতা প্রীতি দেখে বললেন, "আসলেই তুই একটা আবাল, নয়তো কাঠাল পাতায় কেউ বড়শি বিদ্ধ পশ্চাৎদেশের খোজ ভুলে যায়, দাড়া তোর ব্যাবস্থা করছি"। অতঃপর তিনি ছাগুরামকে কাঠাল গাছ থেকে নামালেন। ছাগুরাম আবার তার সম্বিৎ ফিরে পেল। আবার সে গগণবিদারী ম্যাৎকারে আকাশ বাতাস কাপিয়ে তুলল। পুকুরের মালিক তখন বড়শির এক মাথা ধরে আরেক মাথায় পশ্চাৎদেশ বিদ্ধ ছাগুরামকে ঘুরাতে লাগলেন সজোরে। পর্দায় দেখা গেল ঘুর্ণায়মান ছাগুরাম ম্যাৎকার করছে। হঠাৎ পুকুরের মালিক তার হাতে থাকা বড়শির মাথা ছেড়ে দিলেন। ছাগুরাম উড়তে উড়তে বহুদূরের এক মাঠে গিয়ে পড়ল।
এমন সময় পর্দায় ভেসে উঠল "বিরতী"
*****বিরতীর ফাকে সকল দর্শক হল থেকে দৌড়ে বের হলেন। কারণ লাদির গন্ধে হলের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল। এই পর্যায়ে হলের কর্মীরা প্রচুর পরিমাণে এয়ার ফ্রেশ্নার মারতে লাগলেন হলের ভিতরে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবাই আবার নিজ নিজ আসন গ্রহণ করলেন ছবির বাকী অংশ দেখার জন্য। যদিও লাদির গন্ধের রিস্ক আবার থেকে যায় তবুও ছাগুরামের এহেন দূর্দশা দেখে সকলে যে বিমলানন্দ লাভ করিতেছিলেন তাহা হতে কেহই বঞ্চিত হইতে চাহিলেন না।******
দৃশ্যপট ৫
ছাগুরাম যেই মাঠে পড়েছিল সেই মাঠে ছিল কিছু কাঁটাঝোপ। ছাগুরাম মাঠে পড়ে গড়াতে গড়াতে একটা কাঁটাঝোপের কাছে যেয়ে পড়ল। তাহার পশ্চাৎদেশে তখন তীব্র জ্বালানী সরবরাহ চলছে। তারপরেও তার ছাগুস্বভাবের কারণে সে তৎক্ষণাৎ সেই কাটাঝোপ খাওয়া সুরু করল। কিন্তু যেহেতু সে আবাল এবং সেইহেতু সে বুঝতে পারে নাই এর পরিণাম কি হবে, তাই সে তৎক্ষণাৎ সম্মুখ এবং পশ্চাৎ উভয় দেশেই যন্ত্রণা লাভ করল। এই পর্যায়ে দেখা যায় ছাগুরামের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি কাক তার বিষ্ঠা ছাগুরামের মাথার উপর ত্যাগ করল আর বলল, " ওহে ছাগুরাম তুই তোর আবালত্বের ষোলকলা পূর্ণ করলি, কারণ এখন থেকে তোর মুখ আর পশ্চাৎদেশ সমান যন্ত্রণা প্রাপ্ত, তোর মুখ আর পশ্চাৎদেশে আপাতত কোন মৌলিক পার্থক্য নাই"। ছাগুরাম যথারীতি তার গগণ বিদারী ম্যাৎকার ছাড়ল। পর্দায় দেখা গেল ঘুরন্ত আকাশ এনং সেই সাথে ছাগুরামের তীব্র ম্যাৎকার। এরপর আমরা পর্দায় বিধ্বস্ত ছাগুরামকে দিশেহারা হয়ে দৌড়াতে দেখি সারা মাঠ জুড়ে।
দৃশ্যপট ৬
( ছবির কিছু অংশের শূটিং বিদেশে না করলে কেমন যেন দেখা যায়। তাই আফগানিস্তান, কাজাখাস্তান আর ফাকিস্তানে ছবির কিছু অংশ চিত্রায়িত করা হয়েছে )
কাজাখাস্তানের তুরাতাম রেল ষ্টেশনে কিছু লোক দেখা যাচ্ছে। চেহারায় কেমন যেন ব্লাক বেঙ্গল গোট ছাপ তাদের। হঠাৎ তাদের সামনে উদয় হল রাম ছাগলের মত চেহারার আরেক ব্যাক্তি। রামছাগল ব্লাক বেঙ্গল গোটদের জিজ্ঞাসা করল জিনিস আনছ তো?
ব্লাক বেঙ্গল গোট উত্তর দিল, জ্বী হুজুর।
কি হইছে তোমরা পশ্চাৎদেশে হাতাইতাছ কেন? আসতে কোন সমস্যা হয় নাই তো? প্লেনে, ট্রেনে বইসা বইসা কি পশ্চাৎদেশ ব্যাথা হইয়া গেছে নাকি?
জ্বী না আলাম্পনা, আসলে আমাদের একটু অন্যভাবে আসতে হইছে। আমাদের বর্তমান অধিনায়ক তার প্রথম বিবিরে তালাক দিয়া পঞ্চম বিবাহ করিতেছে তো তাই আরকি আমরা একটু পশ্চাৎদেশ হাতাইতেছি।
কেন তার বিবাহের সহিত তোমাদের পশ্চাৎদেশের সম্পর্ক কি?
না মানে প্লেন ট্রেনের ভাড়া হিসাবে উনি পাকি বাবাদের কাছ থেকে বেশ কিছু রুপী পেয়েছিলেন। কিন্তু তার কেন যেন মনে হল এই রুপীগুলান যাতায়াত কাজে ব্যাবহার না কইরা একটা সুন্নতী কাজে ব্যয় করাই ভাল। হাজার হইলেও সওয়াবের ব্যাপার স্যাপার। তাই আরকি উনি একটু ভিন্নভাবে আমাদের এইখানে পাঠাইয়াছেন।
কও কি? কেমনে পাঠাইল?
উনি প্রথমে কম্পুটারে ব্যাপক হিসাব নিকাশ কইরা বাইর করল আমরা যদি ৩৬ ডিগ্রী এঙ্গেলে তুরাতামের দিকে মুখ কইরা আর সামু ব্লগের দিকে পশ্চাৎদেশ দিয়া দুই চাইরটা পোষ্ট লেখি তাইলে সামু ব্লগাররা আমাদের পশ্চাৎদেশে যে গদাম লাত্থি দিবে তা আমাদের তুরাতামে সরাসরি পৌছে দিতে যথেষ্ট। আর তুরাতামে আকাশ থিকা পড়ার সময় আমাদের পশ্চাৎদেশ মাটির দিকে দিয়া পড়তে হবে। হাজার হইলেও পাকি বাবাদের বহুল ব্যাবহারের কল্যানে আমরা সর্বংসহা পশ্চাৎদেশের অধিকারী হইছি।
জাঝাকুল্লাহ খায়রান। তোমাদের মতই কর্মী আমাদের সরকার। সুন্নতী কাজে পরোক্ষ অবদান রাখার ফল তোমরা মৃত্যুর পর অবশ্যই পাইবা। দরকার হইলে আমি তোমাদের একটা রিকমান্ডেশান লেটার দিয়া দেব কবর দেওয়ার সময়। সেই রিকমান্ডেশান লেটার তোমার তোমাদের পশ্চাৎদেশে কইরা কবরে নিয়া যাবা। তোমাদের আখিরাতের জন্য কোন চিন্তা করতে হবে না। এখন জিনিস দেও।
এই পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই ব্লাক বেঙ্গল গোটরা খালি সেজান জুসের বোতলে ভরা কিছু চ্যালা মদের বোতল, কিছু তাড়ির বোতল আর কয়েকটা শার্ক এনার্জী ড্রীংক রাম ছাগলের হাতে দিল। রামছাগলে তখন ব্লা,বে,গোদের জিজ্ঞাসা করল শার্ক এনার্জী ড্রীঙ্ক দিতাছ কেন। আমিতো এইটার কথা বলি নাই।
ব্লা বে গো বলল, আসলে আমাদের জন্য রিটার্ণ টিকিটও কাটা হয় নাই। আমাদেরকে বলা হয়েছে, আপনি যেন শার্ক এনার্জী ড্রীংক খাইয়া আমাদের পশ্চাৎদেশে নিজ দায়িত্বে একটা কইরা গদাম দিয়া দেন। তার আগে আমাদের ফাকিস্তানের দিকে মুখ কইরা বসতে হইব। এতে আমরা সরাসরি ফাকিস্তানের আমাদের চীপের বিবাহস্থলে পৌছাইয়া যাইব। বাংলাদেশের সব মানি চেঞ্জারে উনার ফাকিস্তানী রুপী দেইখাই সবাই গদাম লাত্থি মারার জন্য যেই পা উচা করছে সেই উনি কোনমতে দৌড় মারছে। তাই উনি সম্প্রতি হাট হইতে একটা ছাগী ক্রয় করিয়া, ফাকিস্তান এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটিয়া, ফাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইয়াছেন। ইতিমধ্যে হয়তো পৌছাইয়াও গিয়াছেন। এখন দয়া করিয়া আমাদের শার্ক এনার্জী ড্রীংক খাইয়া একটা করিয়া গদাম দিন।
ও আচ্ছা এই ব্যাপার। এটা কোন কথাই না। মনে রাখিও এই পৃথিবীতি যদিও তোমরা গদাম খাইতেছ তবুও পরকালে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে জাহান্নামের আগুন, থুক্কু বেহেশতী হুর।
আচ্ছা হুজুর বেহেশতী হুররাও আবার আমাদের গদাম মারিবে না তো?
না না, কি যে বল। আর মারিলেও সমস্যা নাই। তাহাদের কোমল পদের গদাম খাইতে অত্যন্ত সুমিষ্ট লাগিবে বলিয়াই মনে করি।
চলবে...............
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৩৮