কখনো আমি ভাসি সাগরের জলে,
আমার নীথর দেহ পড়ে থাকে বালুকাবেলায়।
তোমরা যাকে 'সী-বীচ' বল।
এতো তোমাদেরই অবসর যাপনের স্থান!
এখানেই পড়ে রয় আমার বেঁচে থাকার আকুতিতে
ক্লান্ত শ্রান্ত ছোট্ট দেহ।
অবসরে গেছে সে!
রক্তদৃষ্টি দিও না! আমি তোমাদের যায়গা দখল করব না।
ময়লার মতো আমাকেও সরিয়ে ফেলা হবে।
আমার অবসরে যাওয়া দেহ তোমাদের দখলদারিত্বের ফল!
আমি চাপা পড়ি ভাঙা দালানের নিচে।
কাতরাই অজানা ভয় আর যন্ত্রণায়।
এরকম দালানে বসেই তোমরা দুনিয়া চালাও।
এরকম দালানের নিচে আমি একা পড়ে।
হাঁপরের মতো উঠানামা করে আমার ছোট্ট হৃদপিণ্ড।
তোমাদেরও কি হৃদপিণ্ড আছে! একটুও কাঁপে?
আমার দেহ জুড়ে ধূসর ধূলায় মাখামাখি।
যেন আমি পাথরের নিরেট মূর্তি!
কিন্তু না! মূর্তিতে তো আর রক্ত থাকে না!
দেখ, আমার কপাল জুড়ে রক্ত রাঙা কুমকুম!
হাতে নিতেই চমকে উঠি! রক্ত এতো লাল হয়!
দিগ্বিদিক তাকাই অবাক দৃষ্টিতে!
উদ্ভ্রান্তের মতো মুছতে থাকি রক্তমাখা হাত।
নিজেকে দোষী মনে হয় খুব!
মনে হয় সীমাহীন পাপ করেছি এই ক্ষুদ্র জীবনে।
এই রক্ত যে তারই প্রমাণ!
তোমাদের মাঝে জন্মানোই তো আমার আমৃত্য পাপ!
১৯ জুলাই, ২০১৬
রাত ৯ টা ১২ মিনিট
স্থানঃ আমার পড়ার টেবিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১১