আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্ ডে-০৪
আমি আমার ভালবাসার ব্যাপারে প্রথম থেকেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম আমি আমার ভালবাসার মানুষকে আমার পরিবারের কাছে গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপনে সক্ষম হব। আমি আমার সেই দৃঢ় মনোভাবের কথা তোমার কাছে প্রকাশও করতাম। কিন্তু তুমি তাতে ভয় পেতে। অহেতুক ভয়। যদি আম্মুর তোমাকে পছন্দ না হয়। যদি আম্মুর মনে হয়, তুমি আমাকে ইচ্ছে করে বশ করেছো, ইত্যাদি ইত্যাদি নানা রকম অহেতুক ভয়। তাই যখন আমি জানালাম তুমি যদি চাও তবে আমাদের প্রেমের কথা ছোটমামাকে জানাতে পারি তখন প্রত্যুত্তরে তুমি লিখেছিলে- “মামাকে এসব জানানোর কোন দরকার নেই। পার্থই প্রথম, পার্থই শেষ। আর কারো কানে যেন কথাটা না যায়। সবাইকে জানানোর জন্য একেবারে অস্থির হয়ে গেছেন আপনি, ভাবখানা যেন এমন ঊনি না জানি কি এক অমূল্য রত্ন পেয়েছেন। আমাকে এতা উচ্চ আসনে বসিয়ে আমাকে ছোট করার কোন মানে হয় না। আমি তো জানি আমি কি। নেহায়েত এক সাদামাটা মেয়ে। আপনি এখন বুঝতে পারছেন না, পরে যখন একান্ত কাছে থেকে আমাকে দেখার সুযোগ হবে তখন আফছোছ করবেন। আমারও খারাপ লাগবে, আমিও চাইনা ভাল, লক্ষী ছেলে ঠকা খাক।” আমি ঠকা খেয়েছিলাম কিনা জানিনা, আমি শুধু জানতাম যাকে আমি ভালবাসি সেই হবে আমার জীবনসঙ্গীনি, আমার অর্ধাঙ্গিনী। আর তাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য পরিবারের সম্মতিটা আদায় করা ছিল জরুরী। আমি আমার বিশ্বাসটা জয় করতে পেরেছিলাম। হ্যাঁ আমার পরিবার তোমার ব্যাপারে সব সময় আমার পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তোমার হয়তো মনে হতে পারে আমার পরিবারের কাছ থেকে তোমার ব্যাপারে সম্মতি আদায়ের ব্যাপারটা ছিল খুবই মসৃণ। কিন্তু এতে যে কিছুটা মানসিক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে সে সব বিষয় তোমার চোখে আড়ালেই রয়ে গেছে।
আমাদের প্রেমের অল্প কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তুমি বেশ সাহসী হয়ে উঠতে শুরু করলে। তুমি এক সময় লিখেছিলে- “চিঠি লিখার আর দরকার নেই। চিঠি পড়ে কিছু বলতে ইচ্ছে হলে ক্লাসের ফাঁকে সবার সামনেই ডিপার্টমেন্ট এ কথা বলে ফেলা ভাল। ডিপার্টমেন্ট থেকে সরে গিয়ে কথা বললে আবার সেটা সবার চোখে পড়বে। আমাকে যদি ডাকতে না পারেন তবে দাদাকে বা ক্লাসের যে কেউ হলেও অসুবিধা নেই, বলে ফেলবেন হিয়া’কে একটু ডাক দাও। আপনি না পারলে আপনার বন্ধুদের বলবেন।” কিন্তু তোমার দেয়া এই সুযোগ আমি গ্রহণ করিনি। আজ পেছনের দিনগুলি ফিরে দেখতে গিয়ে ভাবি তোমার দেয়া এই উপদেশ বা সুযোগ যাই বল, গ্রহণ করা আমার উচিত ছিল।
আমাদের প্রেমের প্রথম ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে দেয়া চিঠিতে তুমি লিখেছিলে-“জানিনা, আমার চিঠিটা তোমার কাছে কখন পৌঁছবে। তবুও ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে থাকল অনেক অনেক আদর ও ভালোবাসা। আমার কাছে এই ব্যাপারটা একটু কি রকম লাগে, ভালবাসা কি কোন দিন-ক্ষণ মানে, ভালবাসার মানুষকে তো সব সময়ই ভালবাসি - প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মুহুর্তে।” সেই চিঠিতে তুমি আরো জানিয়েছিলে, “প্রিয়, তুমি কি জানো, তুমিও আমার অজান্তেই আমার সত্ত্বায় মিশে গেছো। আমিও আমার সত্ত্বায় প্রতিটি মুহুর্তে তোমার উপস্থিতি টের পাই।” প্রিয়া, আজ এই চিঠি লিখতে বসে আমাকে তোমাকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে, সত্যিই তুমি কি এখনও আমার মতো তোমার সত্ত্বায় আমার উপস্থিতি টের পাও? আমার মনে হয় উত্তরটা ‘না-বোধক’ হবে। কেননা তোমার সত্ত্বায় এখন আমার চেয়ে যে জিনিসটা প্রাধান্য পাচ্ছে তা হচ্ছে তোমার পরিবারের চিন্তাভাবনা। অবশ্যই তা হওয়া উচিত। এবং এ জন্য তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ।
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ
কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।