somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৪

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ব প্রকাশিতের পর ((আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০১ , আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০২, আনহ্যাপী ভ্যালেনটাইনস্‌ ডে-০৩ )

আমি আমার ভালবাসার ব্যাপারে প্রথম থেকেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম আমি আমার ভালবাসার মানুষকে আমার পরিবারের কাছে গ্রহণযোগ্যভাবে উপস্থাপনে সক্ষম হব। আমি আমার সেই দৃঢ় মনোভাবের কথা তোমার কাছে প্রকাশও করতাম। কিন্তু তুমি তাতে ভয় পেতে। অহেতুক ভয়। যদি আম্মুর তোমাকে পছন্দ না হয়। যদি আম্মুর মনে হয়, তুমি আমাকে ইচ্ছে করে বশ করেছো, ইত্যাদি ইত্যাদি নানা রকম অহেতুক ভয়। তাই যখন আমি জানালাম তুমি যদি চাও তবে আমাদের প্রেমের কথা ছোটমামাকে জানাতে পারি তখন প্রত্যুত্তরে তুমি লিখেছিলে- “মামাকে এসব জানানোর কোন দরকার নেই। পার্থই প্রথম, পার্থই শেষ। আর কারো কানে যেন কথাটা না যায়। সবাইকে জানানোর জন্য একেবারে অস্থির হয়ে গেছেন আপনি, ভাবখানা যেন এমন ঊনি না জানি কি এক অমূল্য রত্ন পেয়েছেন। আমাকে এতা উচ্চ আসনে বসিয়ে আমাকে ছোট করার কোন মানে হয় না। আমি তো জানি আমি কি। নেহায়েত এক সাদামাটা মেয়ে। আপনি এখন বুঝতে পারছেন না, পরে যখন একান্ত কাছে থেকে আমাকে দেখার সুযোগ হবে তখন আফছোছ করবেন। আমারও খারাপ লাগবে, আমিও চাইনা ভাল, লক্ষী ছেলে ঠকা খাক।” আমি ঠকা খেয়েছিলাম কিনা জানিনা, আমি শুধু জানতাম যাকে আমি ভালবাসি সেই হবে আমার জীবনসঙ্গীনি, আমার অর্ধাঙ্গিনী। আর তাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য পরিবারের সম্মতিটা আদায় করা ছিল জরুরী। আমি আমার বিশ্বাসটা জয় করতে পেরেছিলাম। হ্যাঁ আমার পরিবার তোমার ব্যাপারে সব সময় আমার পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। তোমার হয়তো মনে হতে পারে আমার পরিবারের কাছ থেকে তোমার ব্যাপারে সম্মতি আদায়ের ব্যাপারটা ছিল খুবই মসৃণ। কিন্তু এতে যে কিছুটা মানসিক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে সে সব বিষয় তোমার চোখে আড়ালেই রয়ে গেছে।

আমাদের প্রেমের অল্প কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তুমি বেশ সাহসী হয়ে উঠতে শুরু করলে। তুমি এক সময় লিখেছিলে- “চিঠি লিখার আর দরকার নেই। চিঠি পড়ে কিছু বলতে ইচ্ছে হলে ক্লাসের ফাঁকে সবার সামনেই ডিপার্টমেন্ট এ কথা বলে ফেলা ভাল। ডিপার্টমেন্ট থেকে সরে গিয়ে কথা বললে আবার সেটা সবার চোখে পড়বে। আমাকে যদি ডাকতে না পারেন তবে দাদাকে বা ক্লাসের যে কেউ হলেও অসুবিধা নেই, বলে ফেলবেন হিয়া’কে একটু ডাক দাও। আপনি না পারলে আপনার বন্ধুদের বলবেন।” কিন্তু তোমার দেয়া এই সুযোগ আমি গ্রহণ করিনি। আজ পেছনের দিনগুলি ফিরে দেখতে গিয়ে ভাবি তোমার দেয়া এই উপদেশ বা সুযোগ যাই বল, গ্রহণ করা আমার উচিত ছিল।

আমাদের প্রেমের প্রথম ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে উপলক্ষে দেয়া চিঠিতে তুমি লিখেছিলে-“জানিনা, আমার চিঠিটা তোমার কাছে কখন পৌঁছবে। তবুও ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে উপলক্ষে থাকল অনেক অনেক আদর ও ভালোবাসা। আমার কাছে এই ব্যাপারটা একটু কি রকম লাগে, ভালবাসা কি কোন দিন-ক্ষণ মানে, ভালবাসার মানুষকে তো সব সময়ই ভালবাসি - প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মুহুর্তে।” সেই চিঠিতে তুমি আরো জানিয়েছিলে, “প্রিয়, তুমি কি জানো, তুমিও আমার অজান্তেই আমার সত্ত্বায় মিশে গেছো। আমিও আমার সত্ত্বায় প্রতিটি মুহুর্তে তোমার উপস্থিতি টের পাই।” প্রিয়া, আজ এই চিঠি লিখতে বসে আমাকে তোমাকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে, সত্যিই তুমি কি এখনও আমার মতো তোমার সত্ত্বায় আমার উপস্থিতি টের পাও? আমার মনে হয় উত্তরটা ‘না-বোধক’ হবে। কেননা তোমার সত্ত্বায় এখন আমার চেয়ে যে জিনিসটা প্রাধান্য পাচ্ছে তা হচ্ছে তোমার পরিবারের চিন্তাভাবনা। অবশ্যই তা হওয়া উচিত। এবং এ জন্য তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×