শান্তি পুরস্কার নোবেল কমিটি দেয় না। এটা ১৯০১ সাল থেকে সুইডিশ একাডেমি চালু করেছে । প্রথমদিকে ঔপনিবেশিক শক্তি , বর্তমানে সম্পূর্ণ আমেরিকা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং নোবেল প্রাপ্তদের তালিকা দিলে উপকার হবে সাধারণ মানুষের।
যারাই বিশ্ব শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তারাই এই পুরস্কার পেয়েছেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ, ক্লিনটন, ওবামা থেকে বেনজামিন নেতানিয়াহুর ও পেয়েছে। সুতরাং বিষয়টা জটিল নয় পরিস্কার ।
ইউনুস একমাত্র নোবেল লরিয়েট, যিনি চরম অসততার জন্য বিশ্বে নিজ দেশকে ছোট করছে...
তিনি সুদখোর না ঘুষখোর সে তর্কে না হয় না গেলাম। কিন্তু তিনি যে দেশের উন্নয়ন বিদ্বেষী, এ বিষয়টি পরিষ্কার। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তিনি সুস্পষ্টভাবে বাধা দিয়েছিলেন পদ্মা সেতু নির্মাণকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। তাকে কখনও ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ১৫ই আগস্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি বাংলাদেশের জনক, জাতির পিতার সমাধিতে তাকে কখনও শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। জাতির সংকটকালে তাকে কখনও পাওয়া যায় নাই। এই যেমন করোনা কালীন সময়ও তাকে জাতির পাশে দেখা যায় নাই।
আপনারা কি পেয়েছেন, দেখেছেন কোথাও!
নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখানকারী
স্বেচ্ছায় নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখান করে- ২ জন ।
ফ্রান্সের জঁ পল সাত্রে; ১৯৬৪ সালে (সাহিত্যে)।
এশিয়ার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রথম ব্যক্তি- ভিয়েতনামের লি ডাক থো।
ভিয়েতনামের লি ডাক থো: ১৯৭৩ সালে (শান্তিতে) ভিয়েতনামের লি ডাক থো
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেন
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন- ২ জন; রাশিয়ার বরিস পেস্তারনেক, ফ্রান্সের জ্যাঁ পল সারে
মরণোত্তর নোবেল বিজয়ী
এ পর্যন্ত মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- ৩ জন।
১. কানাডার রালফ এম স্টেইনম্যান: ২০১১ সালে (চিকিৎসায়)।
২. সুইডেনের দ্যাগ হ্যামারশোল্ড: ১৯৬১ সালে (শান্তিতে)।
৩. সুইডিশ কবি এরিক কার্লফেল্ট; ১৯৩১ সালে (সাহিত্যে)।
মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নোবেল জয়
এ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান- ৪ জন।
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থিওডর রুজভেল্ট ১৯০৬ সালে শাস্তিতে ।
দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উড্রো উইলসন ১৯১৯ সালে শান্তিতে।
তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিমি কার্টার ২০০২ সালে শান্তিতে
চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা ২০০৯ সালে শাস্তিতে।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান- ৩ জন; যথা: থিওডর রুজভেন্ট, উড্রো উইলসন ও বারাক ওবামা।
অন্যান্য
দার্শনিক হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ব্রিটেনের বাট্রান্ড রাসেল (১৯৫০ সালে)।
রাজনীতিবিদ হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল
১৯৫৩ সালে Second World War গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান- উইন্সটন চার্চিল ।
বিজ্ঞানী কিন্তু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- লিনাস পাউলিং (১৯৬২ সালে)।
মনোবিজ্ঞানী কিন্তু অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- ড্যানিয়েল ক্যানেম্যান (২০০২ সালে)।
পিতা-পুত্র একই সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- পিতা উইলিয়াম ব্রাগ ও পুত্র লরেন্স ব্রাগ; পদার্থবিজ্ঞানে।
সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাঈ।
সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- যুক্তরাষ্ট্রের জন বি. গুডএনাফ (৯৭ বছর)।
শান্তিতে তিনবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র সংস্থা- Red Cross. ১৯১৭, ১৯৪৪ এবং ১৯৬৩ সালে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩১