এদেশে একটি সুবিধাবাদী ও চাটুকার শ্রেণী জন্ম নিয়েছে। দেশে অসংখ্য সমস্যা থাকতে প্রগতির লেবাসধারী কবিরা বহু বৎসর যাবৎ সপ্তাহে একবার মিলিত হয়ে একে অপরের প্রশংসা করছে ও মানুষকে প্রেম করা শিখাচ্ছে । নাস্তিকরা সর্বদা ধর্মের মিথ্যাচার ও কুসংস্কার তুলে ধরছে অথচ এরা নাস্তিকদের ঘৃনা করে। তাদের ফেসবুক প্রোফাইলে ধর্মের বিপক্ষে কোন পোস্ট দেখতে পাওয়া যায় না।
আবার এদেশে বহু নামধারী প্রগতিশীল রয়েছে । এদের অনেকেই মনে করে আমরা জ্ঞানী ও অভিজাত, আমাদের জীবনের মূল্য আছে । নাস্তিকরা নিম্ন কোয়ালিটির এবং তাই এরা অনেক কিছু লিখতে পারে যা আমরা পারিনা। এরা হজ্জ করতেও যায় । আসলে এরা হলো স্বল্প জ্ঞানী ও সুবিধাবাদী ।
আবার মুক্তমনা লেবাসধারী স্বার্থপর একটি শ্রেণী গঠিত হয়েছে । তারা বলে - তারা নাকি মুক্ত । ধর্মীয় মৌলবাদ যতই বৃদ্ধি পাক মুক্তরা কখনো কোন প্রগতিশীল সংগঠনেও যুক্ত হতে পারেনা । সত্য হলেও কেউ মনে কষ্ট পাবে এমন কথা কখনো বলা যাবে না। এতে নাকি তাদের মুক্তচিন্তা বন্দী হয়ে যায়।
ক্রিকেট খেলোয়াড় তানজিম হাসান নতুন কিছু বলে নাই। এগুলো ইসলামেরই কথা । দেশের দুই লক্ষের অধিক মাদ্রাসায় প্রতিদিন যা শিখানো হচ্ছে তানজিম হাসান তাই বলেছে। এ নিয়ে এত লাফালাফি করার কি আছে ?
এখনো সময় আছে সবাই ভালো হয়ে যান । এদেশে তিন মাসের জন্য পরিক্ষামুলক শরিয়া আইন চালু হলে ইসলাম কি জিনিস তা তথাকথিত প্রগতিবাদী ও মডারেট মুসলিমরা হাড়ে হাড়ে টের পাবেন।
লেখকঃ Shahadat Hossain
লেখাটি সরাসরি দিলাম স্বঘোসিত নাস্তিক আমার ফেজবুক বন্ধু/শত্রু সাহাদাত ভাইয়ের ওয়াল থেকে । ওনার সাথে আমার বছরের পর বছর ধরে তর্ক/বিতর্ক চলছে। উনাকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করে তর্ক করলেও প্রায়ই উনি আমাকে আনফ্রেন্ড করেন। আবার নেন। যাই হোক, ওনার এই লেখাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।