
ইউরোপীয়ানরা খ্রিস্টান ধর্মের একটি বিকৃত রূপ পেয়েছিল। তাঁরা কখনোই ঈসা [আলাইহিস সালাম] – এর প্রকৃত ধর্মে ঈমান আনেনি। তাঁরা শুরুতে ছিল মুশরিক আর তারপর তাঁরা খ্রিস্টান ধর্মের এমন একটি রূপের অনুসারী হয়েছে যা শিরক। তাঁদের অবস্থা প্রাচ্যের খ্রিস্টানদের মতো না, যারা এক সময় ঈসা [আঃ] সত্যিকার অনুসারী ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাওহীদের আলো থেকে দূরে অন্ধকার ও অজ্ঞানতার মধ্যে ইউরোপ বসবাস করছে। ইউরোপিয়ানরা বুনিয়াদি ভাবে একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ধর্মকে বিকৃত করেছে। আমি খ্রিস্টান ধর্মের যেই বিকৃত রূপ তাঁরা অনুসরণ করে তাঁর কথা বলছি যেটা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় একটি ধর্ম “কেউ তোমার একগালে আঘাত করলে তুমি অপর গাল পেতে দাও” [বাইবেলঃ ম্যাথিউ ৫:৩৮]। এর চাইতে বেশি শান্তিপ্রিয় হওয়াতো সম্ভব না। আর আরব ও প্রাচ্যের খ্রিস্টানরা এরকমটাই ছিলো, তাঁরা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ছিল। যদিও তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের ধর্মে ত্রিত্ববাদ এবং শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিলো। কিন্তু ইউরোপ, এই শান্তিপ্রিয় ধর্মের প্রকৃতিই বদলে দিয়েছে। খ্রিস্ট ধর্মকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বেশি রক্তপাত ঘটানোর জন্য দায়ী ধর্মে পরিণত করার কৃতিত্ব ইউরোপীয়ানদেরই প্রাপ্য। বর্তমান পৃথিবীর বুকে এমন কোন ধর্ম নেই যা মানব ইতিহাসে এই ধর্মের চাইতে বেশি রক্ত ঝরিয়েছে এবং এ সম্পর্কিত সংখ্যাগুলো নিজেরাই এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। ক্রুসেডের সময় কতো মুসলিমকে খ্রিষ্ট ধর্মের নামে হত্যা করা হয়েছিলো? ইউরোপিয়ানদের নিজেদের আভ্যন্তরিন ধর্ম যুদ্ধে কতো মানুষ মারা গিয়েছে? ইউরোপীয়ানদের ধর্ম যুদ্ধে শত শত লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
আর ইউরোপীয়ানরা এমন এক কাজে সফল হয়েছে যা করতে আর কেউ সক্ষম হয় নি। তাঁরা তিনটি মহাদেশের আদি অধিবাসীদের পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম কিছু আগে কখনো ঘটেনি। তাঁরা উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার খাতিরে তাঁরা অতি অল্প সংখ্যক আদিবাসীদের বাঁচিয়ে রেখেছে অতীতের স্মারক হিসেবে আর বাকি সবাইকে শেষ করে দিয়েছে। আজ যেসব আদিবাসী এবং নেটিভ আমেরিকানরা বেচে আছে, সেটা হল গবেষণার স্বার্থে।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




