পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫ কোটি পাকিস্তানি নতুন সরকার গঠনে তাঁদের রায় দেবেন।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেড় শতাধিক মামলা করা হয়েছে-রয়টার্স ।
এসব প্রতিবন্ধকতার পরও দেশজুড়ে পিটিআইয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিষয়টি ইমরানের জন্য সুবিধা দিতে পারে।
২০১৮ সালে আসন জয়: ১১৬
২০১৩ সালে আসন জয়: ২৮
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামের একটি জোটের অংশ হিসেবে পিএমএলএন পরে ইমরান খান ও তাঁর সরকারের প্রতি অনাস্থা আনে। এতে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসা ইমরান পদচ্যুত হন।
২০১৮ সালে আসন জয়: ৬৪
২০১৩ সালে আসন জয়: ১২৬
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তাঁর বাবা আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্বে মধ্য-বামপন্থী পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
বিলাওয়াল দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০২২ সালে ইমরানের ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) শাসনামলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
২০১৮ সালে আসন জয়: ৪৩
২০১৩ সালে আসন জয়: ৩৪
পশতুন জাতীয়তাবাদী আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির ভিত্তি মূলত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবারপাখতুনখাওয়ায়। দলটি প্রাদেশিক সরকারে থাকা পিটিআইকে পরাস্ত করতে চায়।
এএনপি ১১-দলীয় জোট পিডিএমের শরিক ছিল।
২০১৮ সালে আসন জয়: ১
২০১৩ সালে আসন জয়: ২
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান প্রায় তিন দশক ধরে দেশটির বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত করাচির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি ছিল।
অতীতে তারা সব সময় জাতীয়ভাবে দেশের নেতৃত্বদানকারী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করেছে। দলটি ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পিটিআইয়ের সঙ্গে জোটে বেঁধেছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলের পর তারা পিডিএমের সঙ্গে হাত মেলায়।
২০১৮ সালে আসন জয়: ৬
২০১৩ সালে আসন জয়: ১৮
মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান প্রায় তিন দশক ধরে দেশটির বৃহত্তম শহর ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত করাচির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি ছিল।
অতীতে তারা সব সময় জাতীয়ভাবে দেশের নেতৃত্বদানকারী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করেছে। দলটি ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পিটিআইয়ের সঙ্গে জোটে বেঁধেছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিলের পর তারা পিডিএমের সঙ্গে হাত মেলায়।
২০১৮ সালে আসন জয়: ৬
২০১৩ সালে আসন জয়: ১৮
ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় সব সময়ই জাতীয় পরিষদে সর্বাধিক আসন পাওয়া দলের সঙ্গে যোগ দেন।
২০১৮ সালে আসন জয়: ১৩
২০১৩ সালে আসন জয়: ২৭
পাকিস্তানে বিশটিরও বেশি ভাষা এবং তিনশটিরও বেশি স্বতন্ত্র উপভাষা রয়েছে। এই বৈচিত্র্য দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং সংবিধান গঠনে ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণ। পাকিস্তানের রাজনীতি প্রাদেশিক ঈর্ষা, সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ছোট প্রদেশগুলিতে গভীর অসন্তোষ এবং পাঞ্জাবি সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা প্রভাবিত। ক্ষমতা, লাভ এবং পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইসলামিক বা ধর্মনিরপেক্ষতা, উগ্র আদর্শিক বিতর্ক, জাতীয় ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতির কারণে পাকিস্তানকে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সিভিল সার্ভিস এবং সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
বিভিন্ন জরিপের সারাংশতে ভোটারদের ৬০ শতাংশের সমর্থনে ইমরান খানই সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক। এর পরে সাদ রিজভী ও পারভেজ এলাহী ৩৮ শতাংশ, শাহ মাহমুদ কুরেশি ৩৭, নওয়াজ শরিফ ৩৬, শাহবাজ শরিফ ৩৫, মরিয়ম নওয়াজ ৩০ সমর্থন ছিল।
পরিস্থিতি খুবই আশংকাজনক। কারন স্বতন্ত্র প্রতিকে অংশ নেয়া ইমরান সমর্থকরা জয়ের পরে, একাট্টা হবে এটা নিশ্চিত। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। মার্কিন-পশ্চিমা মিডিয়ার ইমরান বিরোধী তৎপরতা ইমরান সমর্থকদের আরো বেশী শক্তিশালী করেছে। পক্ষান্তরে আমেরিকা ও সেনাবাহিনীর বিরাগভাজন ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আইনগত কারনে খুবই ক্ষীন।
এমতাবস্থায়,পাকিস্তানকে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সিভিল সার্ভিস এবং সেনাবাহিনী ভুমিকা এবার কতটুকু কার্যকর রাখতে পারবে এ ব্যাপারে পুরো সংশয় আছে । বিশ্ব পরিস্থিতির কারনে মার্কিন ও পশ্চিমা বিমুখ হয়ে পড়েছে পাকিস্থানের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ১৯৭১, এর মতো আরেকটি গৃহযুদ্ধের আশংকা দেখা যাচ্ছে। কারনঃ পাকিস্থানের মানুষ ইমরানকে শুধু মুক্ত নয়, ক্ষমতাতেও দেখতে চায়।
ঃঃঃবিভিন্ন পত্রিকা থেকে তথ্য ও ছবি নেটের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯