শিরোনাম দেখে নিশ্চয় ভাবছেন হিন্দু ধর্মের দাওয়াত দিচ্ছি।।হ্যা ঠিকই ধরেছেন।।আমি হিন্দু ধর্মেরই দাওয়াত দিচ্ছি।। তবে সেটা শুধু আমার কল্যাণের জন্য নয়, আপনাদের মঙ্গলের জন্যও বটে।। জীবন বাঁচানো ফরজ।।যে কোন মূল্যে আমাদের জীবন বাঁচাতে হবে।।[sb
আজ বিশ্বজিৎ মারা গেল।। একটু ভেবে দেখুন এই বিশ্বজিৎ হয়তো শিবিরকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করতো সেই ছেলে মারা গেল মুজিব সেনা তথা সোনার ছেলেদের হাতে।। আজ বিশ্বজিৎ না হয়ে যদি বশির হত যদি বিশ্বজিৎ না হয়ে বাশার ইসলাম হত, যদি তার লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়াটা না থাকতো তাহলে আজ সারা দেশ চোখ বন্ধ করে বলে দিত সে শিবির, সে অবরোধকারী।। মুজিব সেনারা কখনো ভুল করতে পারেনা তারা ঠিকই খুঁজে খুঁজে শিবির বের করে তাকে মেরে জাতিকে আর একবার বড় ষড়যন্ত্র্বর হাত থেকে রক্ষা করলো।। কিন্তু বিশ্বজিৎ কে আজ বাঁচিয়ে দিয়েছে তার নামটা, তাকে বাঁচিয়েছে তার মায়ের মাথার সিঁদুর-হাতের শাখা, তাকে বাঁচিয়েছে তার লিঙ্গের অগ্রভাগের চামড়াটা।। হয়তোবা এরপরো তাকে চেস্টা করা হয়েছে শিবির বানানোর জন্য।। আজ যদি বিশ্বজিৎ এর মাসতুতো বোন এর শশুরের পিসির নাতীর মাসির দূর সম্পর্কের কাকা কোন একদিন ভুলে ইসলামী ব্যাংকের কোন শা্খায় একাউন্ট খু্লতো, যদি কোনদিন ভুলে নয়া দিগন্ত পত্রিকা পড়ছেন এমন কোন স্ক্রিণশট পাওয়া যেত তাহলে হয়তো এতক্ষণে তাকে হিন্দু শিবির বলে চালিয়ে দেয়া হত।। বলা হতো হিন্দুদের মধ্যেও শিবির ঢুকে গেছে।। কাজেই জয়তু ছাত্রলীগ।। সব চেস্টার পরও তাকে শিবির বানাতে না পেরে যারা তাকে মেরেছিল তাদেরই বানিয়ে দেয়া হল শিবির।।বাহ!! একেই বলে রাজনীতি।।
বিশ্ব-র রাজনৈতিক ইতিহাসের যদি সপ্তম আশ্চর্য নির্বাচন করা হয় তবে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শিবির বানিয়ে দিয়ে তাকে মেরে ফেলার এই রাজনীতি যে সেই তালিকায় থাকবে এটা আমি বন্ড সই করে বলতে পারি।। মুজিব সেনাদের হাতে আজ পর্যন্ত যতজন মারা গেছে যদি ধরে নেই সবাই শিবির তাহলে একটা কথায় বলবো " বাংলাদেশের প্রতি বর্গফুট মাটির নীচে একটা করে শিবির ঘুমিয়ে আছে"
*************************************************
১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য শোনা যায় অনেক হিন্দু তার নিজ ধর্ম, ধর্মীয় লেবাস-পরিচয় লুকিয়ে মুসলমান পরিচয় দিয়েছিলেন।। মুসলমান পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুদের থেকে কালেমা- নামাজ শিখে নিয়েছিলেন।।তারপরো মুসলমান পরিচয় দিয়ে সবাই যে বেঁচে গিয়েছিলেন তা নয়।। মরলেও অন্তত তাদের আশা ছিল একটাই, অন্তত কেউ যেন তাদের ভারতের চর অভিহিত না করে।একসময় দেশ স্বাধীন হল।। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরে গিয়ে আবারো পুনরুত্থান ঘটলো আর এক হানাদার গোষ্ঠীর।।এরা ৭১ এর হিংস্র পাক বাহিনীর তাত্তিক সন্তান।। এদের সভাব সম্পূর্ণ পাকিস্তানী পশুগুলোর মত।। তবে সেই ৭১ এর পশুগুলার সাথে এই প্রজন্মের পশুগুলার মধ্যে খুব সূক্ষ একটা পার্থক্য আছে।। ৭১ এর পশুরা কোন বাঙ্গালীর মধ্যে হিন্দুয়ানী চিহ্ন দেখলে তার আর রক্ষা ছিলনা।। তাকে ভারতের চর, পাকিস্তানের শত্রু ট্যাগ দিয়ে শেষ করে দিত।। আর সেইসময় সেই পশুদের পক্ষে হাততালি দিত রাজাকার, আল বদর নামের আর এক দল পা চাটা কুকুরেরা।। আর এই প্রজন্মের পশুরা কোন মানুষের মধ্যে মুসলমানীর চিহ্ন পেলে সে শেষ।।তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে, তাদের সাথে কারও পূর্ব শত্রুতা থাকলে তাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মেরে ফেলবে।। তাদের পা চাটা অনলাইন সুশীলেরা হাততালি দিবে ৭১ এর রাজাকারদের মত।। বলবে শিবির শায়েস্তা করে ছাত্রলীগ পূণ্যের কাজ করেছে।। ছাত্রলীগকে প্রণাম।। বাকি আঁতেলরা তাদের সাথে সহমত পোষণ করবে।। একবারো ভেবে দেখবেনা যাকে মারা হল সে কি আসলেই শিবির করতো? সেই পশুদের পা চাটা অনলাইন কুকুর বমি পিয়াল বা বাকিদের কথায় যে মৃত মানুষটিকে তারা গালি দিচ্ছে তার কি আসলেই কোন দোষ ছিল? সে যদি শিবির করেই থাকে তাহলে এই শতাব্দীতে এসে কাউকে বিনা বিচারে মেরে ফেলার, নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার অধিকার তাদের কে দিছে।। এই অনলাইন সুশীল আর আঁতেলরাই হচ্ছে এই প্রজন্মের পাকিস্তানী কুকুরদের তাত্তিক সন্তান ছাত্রলীগ নামধারী কুকুরগুলার ঘেটু পুত্র।।এই পা চাটারা সেই কুকুরদের পা চাটতে গিয়ে একবারো ভাবেনা আজ একজনকে শিবির ট্যাগ দিয়ে যেভাবে মেরে ফেললো, আগামীকাল তাদের সার্থে কোন আঘাত লাগলে আমাকেই যে একই ট্যাগ দিয়ে মেরে ফেলবেনা তার গ্যারান্টি কি??
**********************************************
আপনি মুসলমান?? আপনার দাঁড়ি-টুপি আছে,আপনি ইসলামী পোষাক পড়েন।। কাজেই আপনাকে মারার জন্মগত অধিকার আছে ছাত্রলীগের।। হতে পারে,আপনি নিজেই শিবিরকে ঘৃণা করেন, হতে পারে আপনি শিবির, জামায়াত, হিজবুত তাহরীর, তাগলীগ কিংবা অন্য কোন ইসলামী দলের সদস্য নন, হতে পারে আপনি যাস্ট অতি নীরিহ একজন ধার্মিক যে হয়তো একটা মশা মারতেও হাত কাঁপে।। কিন্তু তারপরো আপনি শিবির।। কাজেই আপনাকে মারবে দেশের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি বলে খ্যাত জাতির পিতার সোনার দেশের সোনার ছেলেরা।।আপনার মৃত্যুতে কেউ এক ফোঁটা চোখের জল ফেলবেনা ভুলেও (যদি শোক প্রকাশ করার অভিযোগে তাকেই শিবির ট্যাগ দিয়ে দেয়া হয়), আপনাকে কুপিয়ে কুপিয়ে মারবে দেশপ্রেমিক সোনার ছেলে বলে খ্যাত কিছু পশু আর দেশ রক্ষার দায়িত্তে থাকা পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে কারণ আপনাকে মারার মাধ্যমে সোনার ছেলেরাতো দেশের উপকারই করছে।। জাতির বিবেক বলে খ্যাত চুপচাপ বসে থাকবে।। ভুলেও একটি প্রতিবাদের শব্দ উচ্চারণ করবেনা কারণ তাদের পশ্চাতদেশ যে ভাড়া দেয়া হয়ে গেছে সেই পশুদের নেতা নামধারী উচ্চ পর্যায়ের পশুদের কাছে।। আর অনলাইনে সুশীল বলে খ্যাত পা চাটা ঘেটুপুত্ররাতো আছেই আপনাকে, আপনার চৌদ্ধ গোষ্ঠিকে শিবির বানানোর প্রমাণ হিসেবে স্ক্রিণ শট নিয়ে।।
*******************************************
যাই হউক যেই দাওয়াতি কাজের উদ্দেশ্যে এই পোস্ট দেয়া তার মূল বক্তব্য থেকেই মনে হয় দূরে সরে যাচ্ছি।। যা বলছিলাম, বাঁচতে চাইলে আপাতত এই কয়েকটা মাস নিজের, নিজের পরিবারের সবার নাম ধাম বদলিয়ে হিন্দু হয়ে যান।। আর তা না হতে মনে চাইলে অন্তত মুসলিম পরিচয়টুকু মুছে ফেলে হিন্দু পরিচয় ধারণ করতে পারেন।। সবারই পরিচিতদের মধ্যে দুই একজন হিন্দু বন্ধু আছেন।। তাদের হাতে পায়ে ধরে হলেও গীতা-বেদ থেকে কিছু শ্লোক মুখস্ত করে নিতে পারেন।।দোকানে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় বই পাওয়া যায় কয়েকটা কিনে সাথে রাখতে পারেন।। যেন সোনার ছেলেদের হাতে পড়লে তাৎক্ষণিক প্রমাণ দেয়া যেতে পারে আপনি হিন্দু।। তবে হ্যা, প্রমাণ দেখানোর পরও সোনার ছেলেরা আপনাকে ছেড়ে দেবে এই ধরণের গ্যারান্টি কিন্তু আমি দিতে পারবোনা।। শুধু এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি যে " যদি মরেও যান অন্তত আপনাকে শিবির বলে চালিয়ে দেয়া হবেনা।।
********************************
আইডিটা গতকাল খোলা হল।। এই ব্লগটা ছিল বাংলার কিংব্দন্তী আইডিতে ।। কিন্তু এই ব্লগটা লেখার কারণে সেই আইডিটাকে ব্যান করে দেয়া হয়।।
এরপরো ঝুকি নিয়ে ব্লগটা রিপোস্ট করলাম শুধুমাত্র মডু এবং ব্লগারদের জিজ্ঞেস করার জন্য যে, এইখানে এমন কি লেখা হয়েছিলো যার কারনে বাংলার কিংবদন্তী আইডিটাকে ব্যানড করে দেয়া হয়।। প্লিজ মডু সাহেব, পিছলামী করবেননা।। এইখানে ভুল কোথায় লেখা হয়ছে উত্তর না দিয়ে এই আইডিটা ব্যানড করবেননা।। যদি এটাতেও পিছলামী করেন তাহলে ধরেই নিতে হবে সামুর মডুদের মধ্যে লীগের শুয়োর ঢুকে গেছে।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



