somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" ভয়ংকর সুন্দর " - ১ (আগ্নেয়গিরি), দৈব শক্তির এক অপার বিস্ময়। যা মানুষকে তার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবি - livescience.com


ছবি - discovery.com

পোস্ট লেখার ধারনা - সম্প্রতি মুক্তি প্রাপ্ত - Earthstorm - TV Series, 27 October 2022, (প্রকৃতির স্বাভাবিকতা ধ্বংসকারী শক্তি এবং মানব জীবনের উপর তাদের ক্ষতিকর পরিণতির উপর ভিত্তি করে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ। সিরিজটি হারিকেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বজ্রঝড়, টর্নেডো এবং ভূমিকম্পের ফুটেজের একটি ধারাবাহিক - যেখানে ঝড় ধাওয়াকারী, ঝড়ের মাঝে বেঁচে থাকা প্রথম প্রতিক্রিয়াকারীরা এবং আগ্নেয়গিরি, টর্নেডো, হারিকেন এবং ভূমিকম্পের সাথে তাদের যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন), দেখতে গিয়ে অসীম দৈব শক্তির সীমাহীন ক্ষমতা, ভয়ংকর ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ ও ধারবাহিক বর্ণনাকারীর একটি মন্তব্যের (এই যে অপার শক্তি তা কি এমনিতেই তৈরী হয় না তার পিছনে আরো কোন বড় শক্তি আছে) রেশ ধরেই এ ধারাবাহিক লেখার -------------- About Earthstorm TV Series, লিংক - Click This Link

পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ভৌগলিক প্রক্রিয়া হলো আগ্নেয়গিরি।ভূ-অভ্যন্তরে থাকা উত্তপ্ত গলিত পাথর, ছাই এবং গ্যাস মাটির নীচ থেকে যে পথে বেরিয়ে আসে, সেগুলোই মূলত আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরি হলো বিশেষ ধরনের পাহাড় যার ভেতর দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত ও গলিত পাথর, ছাই এবং গ্যাস বেরিয়ে আসতে পারে। এটি একটি ভৌগোলিক প্রক্রিয়া। অনেক সময় ভূপৃষ্ঠের কোনো কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভস্থ গরম বাতাস, জলীয় বাষ্প, গলিত শিলা, কাদা, ছাই, গ্যাস প্রবল বেগে বেরিয়ে আসে। নির্গত এই সকল পদার্থ ভূপৃষ্ঠের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে যার কিছুটা ফাটলের চারপাশে এসে ধীরে ধীরে জমা হয়ে মোচাকৃতি আকার ধারণ করে। তখন একে "আগ্নেয়গিরি" বলে। আগ্নেয়গিরি থেকে ভূগর্ভস্থ পদার্থের নির্গমনকে বলা হয় অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেয়গিরির বহিঃস্থ যে মুখ বা নির্গমনপথ দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে, তাকে জ্বালামুখ বলে। প্রতি বছর প্রায় ৬০টি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে।

বর্তমান বিশ্বের কয়েকটি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি

১। ভিসুভিয়াস (ইতালি) - ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরিতে সর্বশেষ ১৯৪৪ সালে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। ইতালির ভিসুভিয়াস নেপলস উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি আগ্নেয়গিরি। নেপলস থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রউপকূলের খুব কাছে এর অবস্থান। এটি ইউরোপের মূল ভূখন্ডের মধ্যে অবস্থিত একমাত্র আগ্নেয়গিরি যাতে বিগত কয়েক শতাব্দীর মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, যদিও বর্তমানে এটিতে কোন অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছেনা। Mount Vesuvius erupts - লিংক - Click This Link


ছবি - dbcnews




Mount Vesuvius volcano,Italy
ছবি - history.com

২। সাকুরাজিমা ( জাপান) - জাপানের সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরিতে ৬ বছর ধরে নিয়মিত অগ্নুৎপাত হচছে । টোকিও থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে কাগোশিমার কাছে অবস্থিত সাকুরাজিমা। জাপানের দক্ষিণে কুশু দ্বীপে অবস্থিত এই পাহাড় চেরি ব্লসম নামে বিখ্যাত হলেও সেখানে যেতে পারেন না সাধারণ মানুষ। আগ্নেয়গিরির জন্যই সেখানে পর্যটকদের যাওযা নিষেধ। Sakurajima Volcano Erupts In Southern Japan - লিংক- Click This Link






Sakurajima volcano,Japan

৩। মাউন্ট নাইরাগোঙ্গো (কঙ্গো ) - মাউন্ট নাইরাগোঙ্গো হল একটি সক্রিয় স্ট্রাটোভোলকানো যার উচ্চতা ৩,৪৭০মিটার বিরুঙ্গা পর্বতমালার আলবার্টিন রিফটের সাথে যুক্ত। এটি কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ভিতরে অবস্থিত, গোমা এবং কিভু হ্রদ শহরের প্রায় ১২ কিঃমিঃ উত্তরে এবং রুয়ান্ডার সীমান্তের ঠিক পশ্চিমে। মাউন্ট নাইরাগোঙ্গো আগ্নেয়গিরিটির প্রায় ২ কিলোমিটার চওড়া একটি লাভা লেক রয়েছে।২০০২ সালে এতে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে যার ফলে ১৪৭ লোক মারা গিয়েছিল। Nyiragongo - লিংক - https://volcano.si.edu/volcano.cfm?vn=223030 , Mount Nyiragongo And Its Bubbling Hot Lava Lake - লিংক - Click This Link






Mount Nyiragongo volcano ,Congo
ছবি - allthatsinteresting.com

৪। মাউনা লোয়া (হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ ) - মাউনা লোয়া, বিশ্বের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি, যা আমেরিকার হাওয়াই রাজ্যের হাওয়াই দ্বীপের দক্ষিণ-মধ্য অংশে এবং হাওয়াই আগ্নেয়গিরি জাতীয় উদ্যানের একটি অংশে অবস্থিত। বিশ্বের বৃহত্তম একক পর্বত জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি, মাউনা লোয়া (হাওয়াইয়ান ভাষায় যার অর্থ "লং মাউন্টেন") সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩,৬৭৭ ফুট (৪,১৬৯ মিটার) উপরে উঠে এবং দ্বীপের অর্ধেক এলাকা গঠন করে। এর গম্বুজটি ৭৫ মাইল (১২০ কিঃমিঃ) দীর্ঘ এবং ৬৪ মাইল (১০৩ কিঃমিঃ) চওড়া।আকার এবং আয়তন উভয় ক্ষেত্রেই এটি বিশ্বের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি এবং এটি থেকে প্রায় সারা বছরই লাভার উদগীরণ হয়। Mauna Loa volcano ,লিংক - https://www.britannica.com/place/Mauna-Loa






Mauna Loa-Big Island volcano , Hawaii
ছবি - imgur.com

৫। সান্তা মারিয়া আগ্নেয়গিরি (গুয়াতেমালা) - সান্তা মারিয়া আগ্নেয়গিরি হল গুয়াতেমালার (মধ্য আমেরিকা) পশ্চিম উচ্চভূমিতে অবস্থিত একটি বৃহৎ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, কোয়েটজালটেন্যাঙ্গো শহরের কাছে কোয়েটজালতেনাঙ্গো বিভাগে। আগ্নেয়গিরিটি স্থানীয় কাইচে' ভাষায় গ্যাক্সানুল নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ "নগ্ন আগ্নেয়গিরি বা পর্বত"।১৯০২ সালে একটি বড় বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।১৯২০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ১৯০২ সালের অগ্ন্যুৎপাতের ফলে গর্তে একটি অগ্ন্যুৎপাত ধীরে ধীরে লাভা প্রবাহের একটি সিরিজ তৈরি করেছে এবং এই অগ্ন্যুৎপাত আজও চলছে, এবং সান্তা মারিয়া আগ্নেয়গিরির এই সক্রিয় অংশটি সান্তিয়াগুইটো নামে পরিচিত।সর্বশেষ ১৯০২ সালে এতে অগ্নুৎপাত হয়। লিংক - Santa Maria - https://volcano.oregonstate.edu/santa-maria






Santa Maria volcano,Guatemala
ছবি - volcano.oregonstate.edu

৬। মাউন্ট সিনাবুং আগ্নেয়গিরি (ইন্দোনেশিয়া) - মাউন্ট সিনাবুং হল টোবা হ্রদ সুপার আগ্নেয়গিরি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার করো রিজেন্সির করো মালভূমিতে অ্যান্ডসাইট এবং ডেসাইটের প্লাইস্টোসিন থেকে হোলোসিন স্ট্র্যাটোভোলকানো। ২০১০ থেকেই ওই আগ্নেয়গিরি জেগে উঠেছে। তবে ২০১৬-তে সব থেকে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল তা। সে বার আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা লাভা প্রাণহানিও ঘটিয়েছিল।সর্বশেষ ২০২১ সালের মার্চ মাসে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে যদিও পূর্বাভাস থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নগন্য। Sinabung volcano - লিংক - https://volcano.si.edu/volcano.cfm?vn=261080 , Mount Sinabung: Volcano eruption warnings after huge column of ash prompts panic in Indonesia , লিংক - Click This Link






Mount Sinabung volcano,Indonesia
ছবি - independent.co.uk

৭। ফুয়েগো আগ্নেয়গিরি (গুয়াতেমালা) - আগ্নেয়গিরি দে ফুয়েগো বা চি ক্বাক' হল গুয়াতেমালার একটি সক্রিয় স্ট্র্যাটোভলকানো, চিমালতেনাঙ্গো, এসকুইন্টলা এবং সাকাতেপেকুয়েজ বিভাগের সীমানায়। এটি অ্যান্টিগুয়ার প্রায় ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত, গুয়াতেমালার অন্যতম বিখ্যাত শহর এবং একটি পর্যটন গন্তব্য। ফুয়েগো আগ্নেয়গিরিটি রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ২০১৮ সালের জুন মাসে সর্বশেষ অগ্ন্যুৎপাত ঘটে যাতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬৫ এবং ৪৬ জন আহত হয়েছিল। Fuego - লিংক - https://volcano.si.edu/volcano.cfm?vn=342090 এবং Lava streams threaten residents on slopes of Guatemalan volcano - লিংক - Click This Link






Fuego volcano, Guatemala
ছবি - laprensalatina.com

৮। নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরির (কলম্বিয়া) - নেভাদো দেল রুইজ আগ্নেয়গিরির অবস্থান কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে আন্দিজ পর্বতমালায়। নেভাদো দেল রুইজ ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে অবস্থিত, যা প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে আছে এবং এটি এই অঞ্চলের কয়েকটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির অন্যতম।স্থানীয় বাসিন্দারা এই আগ্নেয়গিরিকে ‘ঘুমন্ত সিংহ’ বলে ডাকেন। প্রায় ২০ লাখ বছর ধরে এই আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে বলে ধারনা করা হয়। ১৯৮৫ সালের ১৩ নভেম্বর অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে এবং এই অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বিধ্বংসী অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেয়গিরি থেকে লাভার স্রোত ৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাটি ক্ষয় করে এবং গাছপালা ধ্বংস করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লাভার একটি প্রবাহ ৫০ কিলোমিটার দূরে লেগুনিলা নদীর অববাহিকায় আর্মেরো শহরটিকে কার্যত ঢেকে ফেলেছিল। শহরের মোট ২৯ হাজার বাসিন্দার মাত্র এক-চতুর্থাংশ প্রাণে বেঁচেছিল। আরেকটি প্রবাহ ক্লারো নদীর অববাহিকা দিয়ে নেমে চিনচিনা শহরের প্রায় ১ হাজার ৮০০ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়। এই অগ্ন্যুৎপাতে মোট ২৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ৫ হাজার মানুষ হয় আহত। পাঁচ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই লাখের বেশি মানুষ। Nevado del Ruiz, লিংক - https://volcano.si.edu/volcano.cfm?vn=351020 এবং Nevado del Ruiz Volcano, Colombia, লিংক - Click This Link , Due to activity at the Nevado del Ruiz volcano, five departments are on yellow alert - লিংক -
https://www.infobae.com/en/2022/03/30/


ছবি - infobae.com


ছবি - volcanohotspot.wordpress.com


Nevado del Ruiz Volcano, Colombia
ছবি - reporterosasociados.com.co

আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ক্ষয়ক্ষতির বিবরন ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে এখন পর্যন্ত কতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে -

১। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরিসংখ্যান ঘেঁটে বলছেন, ১৫০০ সালের পর থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে যার মধ্যে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে মাত্র ছ'টি অগ্নুৎপাতের ঘটনায়।সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট, সরকারি তথ্য এবং ঐতিহাসিক দলিল ঘেঁটে এসব পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।

২।২০০০ সালের পর থেকে মারা গেছে প্রায় ২,০০০ মানুষ। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই হয়েছে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান এবং গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে। গত বছর ইতালিতে আগ্নেয়গিরির একটি জ্বালামুখে তিনজন পর্যটক পড়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়।

৩। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে নির্গত লাল উত্তপ্ত লাভা অনেক দূর পর্যন্ত চলে যায় আর যেতে যেতে পথে ধ্বংস করে যায় সামনের সবকিছু।পথে যেতে যেতে লাভা তার সামনে যা কিছু পায় তার সবকিছু পুড়িয়ে ফেলে এবং গলিয়ে দেয়। উত্তপ্ত এই লাভার তাপমাত্রা থাকে ১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।লাভার কারণে বিস্ফোরণও হতে পারে। যেসব জায়গায় মিথেন গ্যাস জমে আছে সেগুলোতে জ্বলে উঠতে পারে আগুন।

৪। আগ্নেয়গিরির লাভা পানির সাথে মিশে তৈরি করে হাইড্রোলিক এসিড, সালফার ডাই অক্সাইড। তবে অগ্নুৎপাতের কারণে যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তার মাত্র ২ শতাংশ মারা গেছে লাভা ও গ্যাসের কারণে।আগ্নেয়গিরির গ্যাসে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ক্যামেরুনে ১৯৮৬ সালে। সেসময় লেক নয়েজ আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডে প্রাণ হারায় দেড় হাজারের মতো মানুষ।

৫। আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পিরোক্লাস্টিক প্রবাহে রোমান নগরী পম্পেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ৭৯ খৃস্টাব্দে। এই একই প্রবাহে ১৯০২ সালে একটি ক্যারিবীয় দ্বীপে নিহত হয় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

৬। আগ্নেয়গিরির ছাই কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরেও চলে যেতে পারে। এর ফলে ব্যাহত হতে পারে বিমান চলাচল।

আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণ (Reasons of Volcanism)

১। ভূত্বকে দুর্বল স্থান বা ফাটল দিয়ে ভূঅভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, ভস্ম, ধাতু প্রবলবেগে বের হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
২। যখন ভূপৃষ্ঠের চাপ কমে যায় তখন ভূগর্ভের শিলাসমূহ স্থিতিস্থাপক অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হয়। এতে শিলার আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে তরল পদার্থ দুর্বল স্থান ভেদ করে প্রবলবেগে উৎক্ষিপ্ত হয়ে অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি করে।
৩। কখনো কখনো ভূত্বকের ফাটল দিয়ে নদী-নালা, খাল-বিল এবং সমুদ্রের পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করলে প্রচণ্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়। ফলে আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ভূত্বক ফাটিয়ে দেয়। তখন ঐ ফাটলের ভিতর দিয়ে পানি, বাষ্প, তপ্ত শিলা প্রভৃতি নির্গত হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
৪। ভূগর্ভে নানা রাসায়নিক ক্রিয়া ও বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাবে প্রচুর তাপ বৃদ্ধি পেয়ে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। তাতে ভূঅভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
৫। ভূআন্দোলনের সময় পার্শ্বচাপে ভূত্বকের দুর্বল অংশ ভেদ করে এ উত্তপ্ত তরল লাভা উপরে উত্থিত হয়। এভাবে ভূআন্দোলনের ফলেও অগ্ন্যুৎপাত হয়।

আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ (Types of Volcano)

আগ্নেয়গিরিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা -

১। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি - যেসব আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এখনও বন্ধ হয়নি, সেগুলোকে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন -মাউন্ট এটনা, সিসিলি ,ইটালী।
জীবন্ত আগ্নেয়গিরিকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়।

** অবিরাম আগ্নেয়গিরি - যেসকল জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে অবিরামভাবে লাভা নির্গত হয়ে থাকে তাকে অবিরাম আগ্নেয়গিরি বলে । যেমন - হাওয়াই দ্বীপের মাওনা লোয়া।
** সবিরাম আগ্নেয়গিরি - যেসকল আগ্নেয়গিরি থেকে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরালে ধোঁয়া, ছাই, গ্যাস বের হয়ে আসে সেসকল আগ্নেয়গিরিকে সবিরাম আগ্নেয়গিরি বলা হয়। যেমন - ইটালীর স্ট্রম্বলি আগ্নেয়গিরি ।

২। সুপ্ত আগ্নেয়গিরি - যেসব আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত অনেককাল আগে বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু যে কোন সময় আবার অগ্ন্যুৎপাত শুরু হতে পারে, সেগুলোকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন- জাপানের ফুজিয়াম আগ্নেয়গিরি।

৩। মৃত আগ্নেয়গিরি - যেসব আগ্নেয়গিরি দীর্ঘকাল ধরে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে এবং ভবিষ্যতেও অগ্ন্যুৎপাতের সম্ভাবনা নেই, সেগুলোকে মৃত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন- আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো ও মায়ানমারের মাউন্ট পোপা আগ্নেয়গিরি।

আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ফলাফল -

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে কোন কোন স্থানে এর দ্বারা সুফলও পাওয়া যায়। নিম্নে আগ্নেয়গিরির ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো -

১। আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থ চারদিকে সঞ্চিত হয়ে মালভূমির সৃষ্টি করে। ভারতের দক্ষিণাত্যের কৃষ্ণ মৃত্তিকাময় মালভূমি এরূপ নির্গত লাভা দিয়ে গঠিত।
২। সমুদ্র তলদেশের অনেক আগ্নেয়গিরি আছে। এ থেকে নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে দ্বীপের সৃষ্টি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এভাবে সৃষ্টি একটি আগ্নেয় দ্বীপ।
৩। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে কোন অংশ ধ্বসে গভীর গহ্বরের সৃষ্টি হয়। ১৮৮৩ সালে সুমাত্রা ও জাভা দ্বীপের মধ্যবর্তী
অংশে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এক বিরাট গহবর দেখা যায়।
৪। মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের পানি জমে সৃষ্টি করেআগ্নেয় হ্রদের সৃষ্টি করে। আলাস্কার মাউন্ট আডাকামা, নিকারাগুয়ার কসেগায়না এই ধরনের হ্রদ।
৫। আগ্নেয়গিরির নির্গত লাভা, শিলা দ্রব্য প্রভৃতি দীর্ঘকাল ধরে একটা স্থানে সঞ্চিত হয়ে পর্বতের সৃষ্টি করে। এই ধরনের পর্বত কে আগ্নেয় পর্বত বলে। যেমন- ইতালির ভিসুভিয়াস।
৬। অনেক সময় আগ্নেয়গিরির লাভা সঞ্চিত হতে হতে বিস্তৃত এলাকা নিম্ন সমভূমি তে পরিণত হয়। যেমন-উত্তর আমেরিকার স্নেক নদীর লাভা সমভূমি।

" আগ্নেয়গিরি " - যেন দুনিয়ার এক টুকরো জাহান্নাম -

মহান আল্লাহপাক এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তার চমতকার সৃষ্টিশৈলী দিয়ে যেখানে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্যও রয়েছে জীবন ধারনের জন্য অনুকূল পরিবেশ। শান্ত ,সবুজ-শ্যামল ভূপ্রৃকতির সাথে সাথে চমতকার আবহাওয়া যা মানুষকে এই দুনিয়ায় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ভূপ্রৃকতির উপরিভাগের এই শান্ত ভূপ্রৃকতির মাঝে থেকে কোনভাবেই অনুমান করা সম্ভব নয় বা কল্পনাতে অনুভব করা যাবেনা যে ভূঅভ্যন্তরে কতটা ভাংচুর চলছে প্রতিনিয়ত। কতটা উত্তাপ আর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা লুকিয়ে আছে এর অভ্যন্তরে, যা এক মুহূর্তেই ধ্বংস করে দিতে পারে যে কোন শহর-নগর-জনপদ। মৃত্যুর কারন হতে পারে হাজারো লাখো মানুষের। প্রচন্ড উত্তাপে মানুষ গাছপালা সহ যে কাউকে কয়লায় পরিণত করতে পারে এক মুহূর্তেই।

সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজেন এবং সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষার জন্য এই দুনিয়ায় যেমন সৃষ্টি করেছেন চন্দ্র-সূর্য,গ্রহ-নক্ষত্র,নদী-সাগর,পাহাড়-সমভূমি-মালভূমি ঠিক তেমনি এ দুনিয়ার শেষে মানুষের পার্থিব জীবনের কৃতকর্মের হিসাব নিকাশ ও শাস্তি-পুরষ্কার প্রদানের জন্য তৈরী করে রেখেছেন কেয়ামত-হাশর-মিজান-ফুলসেরাত-জান্নাত-জাহান্নাম।কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার প্রতি ঈমান এনে না দেখা এসব বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে সৃষ্টিকর্তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলেন এবং তার নির্দেশিত পথে জীবন যাপন করেন। আবার অনেকে এসবের উপর সংশয় প্রকাশ করে এবং এগুলো যে আদৌ আছে তা বিশ্বাস করতে চায়না। আর তাদের জন্যই আগ্নেয়গিরি হতে পারে একটি জ্বলন্ত উদাহরন। কারন, ভূ-উপরিভাগ থেকে যেমন কোন ভাবেই অনুমান করা যায়না যে এর নীচে এমন ভয়ংকর আগ্নেয়গিরি সুপ্ত-গুপ্ত অবস্থায় আছে ঠিক তেমনি না দেখা সত্মেও তা মিথ্যা নয় যে কেয়ামত-হাশর-মিজান-ফুলসেরাত-জান্নাত-জাহান্নাম সুপ্ত-গুপ্ত অবস্থায় রয়েছে।

মহান আল্লাহর অনন্য নৈপুণ্য ও রহস্যময় সৃষ্টির নিদর্শন হলো বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিসমূহ। বিজ্ঞানীরা মত প্রকাশ করেন, ভূপৃষ্ঠের ৮০ শতাংশ সৃষ্টি হয়েছে আগ্নেয়গিরির লাভাস্রোত থেকে। পৃথিবীর ৫০০ এর অধিক সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে বেশির ভাগের অবস্থান সাগরতলে। প্রাথমিক পর্যায়ে আগ্নেয়গিরির লাভা নির্গমন হতে শুরু করলে উত্তপ্ত এই লাভার তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাইতো আগ্নেয়গিরি আমাদের অন্তরে জাহান্নামের ভয় জাগিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে দুনিয়ার তাপমাত্রা জাহান্নামের উত্তাপের নগন্য পরিমান মাত্র। অন্যদিকে মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানবজাতি যখন ইবাদতবিমুখ হয়ে অপকর্মে লিপ্ত হয় তখন তার পাপ তাকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত ও পতিত করে। তাইতো আগ্নেয়গিরির মতোই পাপীদের জন্য জাহান্নাম সুপ্ত-গুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ বলেন, " নিশ্চয় জাহান্নাম ওৎ পেতে অপেক্ষমান। সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তনস্থল। সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে।(সুরা নাবা, আয়াত - ২১ - ২৩)। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ আরো বলেন," তোমরা জাহান্নামকে ভয় করো, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য"। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত - ১৩১)।

আগ্নেয়গিরির মতোই জাহান্নামের স্তর রয়েছে। পাপীদের পাপের তারতম্য অনুযায়ী জাহান্নামির স্তর ঠিক করে দেওয়া হবে। মহান আল্লাহ বলেন," আর তারা যা আমল করে, সে অনুসারে প্রত্যেকের মর্যাদা রয়েছে এবং তারা যা করে সে সম্বন্ধে আপনার রব গাফেল নন।" (সুরা আনআম, আয়াত - ১৩২) ।

একেক আগ্নেয়গিরির গঠন আকৃতি যেমন একেক রকম, ঠিক তেমনি আগ্নেয়গিরির মতোই জাহান্নামের গঠন আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন রকমের হবে। আগ্নেয়গিরির একেকটি জ্বালামুখ যেন পবিত্র কোরআনে বর্ণিত জাহান্নামের দরজাগুলোরই নমুনা মাত্র। মহান আল্লাহ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, " অবশ্যই জাহান্নাম তাদের (পাপীদের) সবার জন্য প্রতিশ্রুত স্থান। সেটার সাতটি দরজা আছে , প্রত্যেক দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য (শয়তানের অনুসারীদের) নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে"। (সুরা হিজর, আয়াত - ৪৩ - ৪৪)।

পাহাড়চাপা ভয়াল অগ্নিকুণ্ডের নাম আগ্নেয়গিরি। সাধারণভাবে শান্ত-সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখাও মানুষের কাছে শখের বিষয় বা পর্যটন ভাবনার অংশ। কিন্তু যখন আগ্নেয়গিরি জ্বলে ওঠে, উদিগরণ ও লাভাস্রোত বের হয় তখন বোঝা যায় কত শক্তি ও ভয়াবহ ক্ষতির ক্ষমতা ওই পাহাড়ের আড়ালে থাকা আগুনের, যাতে থাকে তাপ ও যন্ত্রণা। মহান আল্লাহ বলেন," যারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করে তারাই হতভাগা। তারা পরিবেষ্টিত হবে অবরুদ্ধ অগ্নিতে"। (সুরা বালাদ, আয়াত - ১৯ - ২০)।

আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি ও ক্ষমতার মধ্যেও মানব জাতির জন্য রয়েছে শিক্ষা,যদি আমরা জানতে-বুঝতে ও শিখতে চাই।
===================================================================
তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় -

১। উইকিপিডিয়া
২।britannica
৩।allthatsinteresting
৪।volcano.si.edu
৫। আগ্নেয়গিরি এক টুকরো জাহান্নাম - Click This Link
৬। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে কতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে - https://www.bbc.com/bengali/news-44271219
৭। Volcanology: The Study of Volcanic Activity and Predicting Eruptions -
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×