স্কুলজীবনে শ্রদ্ধেয় ইংরেজী শিক্ষক " Abdul Alim " -স্যার একটা কথা বলতো "পিন ড্রপ সাইলেন্স"। ক্লাসে পিন পতন নিস্তব্ধ থাকতে হবে। কোনো কথা নাই, কথা বললেই জবা গাছের চিকন বেতের "বারি"। তো আমার আজকের টপিক এর সাথে স্যারের মারের সম্পর্ক নাই, তবে সে-ই পিন পতন নিস্তব্ধতা আছে।
কথা বলছিলাম পিন-পতন নিস্তব্ধ সুবিশাল আমবাগানের মাঝে অবস্থিত #দারুস_বাড়ি_মসজিদ ও #দারুস_বাড়ী_মাদ্রাসা নিয়ে।
মসজিদ আর মাদ্রাসা দুটোই বাংলাদেশের প্রাচীনতম। মসজিদের ছাঁদ ধসে পড়েছে, তবে দেয়ালগুলো স্ব মহিমায় নিজের স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করছে। দেয়ালের পাথরে অপূর্ব কারুকার্য এখনও বিরাজমান। দারুসবাড়ি নামটি বিখ্যাত আর্কিওলজিষ্ট কানিংহামের দেয়া।
শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্যার কানিংহ্যাম এর ভাষ্যও একইরকম। তো এই তথ্য অনুযায়ী মসজিদটার বয়স ৫৩১ বছর।
দারুস বাড়ী মাদ্রাসা- এখন অর্ধেকটা মাটির নিচে আর অর্ধেকটা উপরে। এটা ১৫০৪ খ্রীঃ সুলতান আলাউদ্দিন শাহ'র আমলে নির্মান করা হয়। এটা এদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম মাদ্রাসা।
কষ্ট করে পড়ার আর আনাড়ি হাতের তোলো স্থিরচিত্র দেখার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। আমের রাজধানী হলেও এই শহরের কিন্তু ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শেষ নেই। এক এক করে সব লিখবো ইনশাহ-আল্লাহ
ফেসবুকে আমার পেইজ ফলো করতে পারেন এখানে গিয়েঃ https://www.facebook.com/bdborntraveler
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৪