আমের রাজধানী চাঁপাই- এটা কে না জানে! তবে এই শহর জুড়ে রয়েছে বহু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তাই খবর পেয়ে ছুটে যেতে দেরী হয়নি
প্রাচীন গৌড় বাংলার রাজধানী ছিলো অনেক বার। সে কারণে অনেক অবকাঠামো এই অঞ্চলে গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে অন্যতম "ছোটো সোনা মসজিদ"। সুলতান হোসেন শাহের আমলে ওয়ালি মুহাম্মাদ কর্তৃক ১৪৯২-১৫১৯ খ্রিষ্টাব্দ সময়ে নির্মিত।
চাঁপাই নবাবগঞ্জ শহর থেকে ৩৬কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একেবারে কাছে অবস্থিত এই মসজিদ। মসজিদে প্রবেশের জন্য আছে ১১টি দরজা। এছাড়া আছে ১২টি গোলাকার ও ৩টি চৌচালা আকৃতির মোট ১৫টি গম্বুজ। ধারণা করা হয় গম্বুজগুলো একসময় সোনার গিল্ড করা ছিলো। তাই এর নাম- সোনা মসজিদ।
ছবিঃ পাথরের উপর অলংক্রিত মসজিদের গায়ের কারুকার্য।
ছবিঃ মসজিদের ভিতরের পাথরের পিলার ও নামাযের স্থান।
অবাক করা বিষয় এখনও এই মসজিদে নামায পড়া হয়। এর দেয়ালে অসংখ্য ফুল,লতাপাতা ইত্যাদির নকশা করা রয়েছে। এর সামনে রয়েছে বিশাল দরজা। এছাড়া এর সামনে কয়েকটি সমাধি রয়েছে, তবে এগুলো কার, খুঁজে পাইনি।
এছাড়া মসজিদ প্রাঙ্গনে রয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর এর সমাধি
তো সময় থাকলে দেখে আসতে পারেন একবার। আমার মতো যদি প্রাচীন স্থাপনা দেখলে আপনার অতীতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে তবে আপনার জন্য মাষ্ট। সুন্দর অতীতগুলো বারবারই হাতছানি দেয় এসব স্থাপনা দেখলে…
চাঁপাই এর আরো বেশ কিছু লিখা নিয়ে আসবো ইনশাহ-আল্লাহ। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪