পার্শবর্তী ভারতের মানুষ কেন গরু খায়না এইটা আমগো বাংগালীর ব্রেইনে যুক্তি দিয়া ঢুকানো যাইবো না। আবার মুসলমানরা কেন শোয়রের মাংস খায় না এইটা অ-মুসলিমদের যুক্তি দিয়ে বুঝানো যাইবো না। তবে যুক্তি দিয়ে মানা না গেলেও ধর্মকে কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে শোয়োর কিংবা গরু খাওয়া নিয়ে কেউ তর্ক করে না। এইগুলি সামাজিক পার্থক্য। যা একসমাজের সমস্যা বা গুরুত্ব অন্য সমাজ কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না, তাই যুক্তিতেও বুঝে আসে না। ঠিক তেমনি ভাবে আমেরিকায় গে বিবাহ আইন পাশ হইছে, সেইটা কেন হইছে বা কেন এত দিন হইলো না এই যুক্তি আমাগো মাথায় কখনো ঢুকবো না, বা ঢুকার কথাও না। কারণ আমাদের সমাজে গে পিপলদের প্রভাব নাই বললেই চলে।
কাজেই আমেরিকার একটি সামাজিক আইন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের এত রিআক্ট না করলেও চলবো। এই আইন পাশ হওয়ায়কে যারা সাপোর্ট দিতাছে তাগোর ১৪ গুষ্টি উদ্ধার করা বা অশ্লিল ভাষায় তাদের গালি দেয়া কখনোই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। মার্ক জুকারবার্গ এই বিবাহ সাপোর্ট করায় অনেকে মার্ক জুকারের ১৪ গুষ্টি ধুয়ে দিচ্ছে, তাকে বেকুব, গাধা, চ-বর্গীয় সমস্ত গালি দিয়েই শুধু ক্ষান্ত নয় বরং তার পশ্চাদ দেশ নিয়েও কু-মন্তব্য করতে পিছপা হচ্ছে না চেতনাবাজ বাংগালিরা, তাই যদি বলা হয় ভাই, এইবার অন্তত জুকারবার্কে ক্ষান্ত দে...... সে না তোর মামু ছিল, কত আদর করে জুকার মামু ডাকতা আজ হটাৎ মামু থেকে বাইনচোৎ হইয়া গেলো? ,,,,,,,,, এখন তোমার মামু যদি কয় ভাইগ্না তুমি আমারে মামু ডাইকো না আর আমার ফেবুও ব্যবহার কইরো না তখন কেমুন কান্ড হবে কইছেন দিহি? যদি এত বড় বাপের বেটা হও তবে নিজ থেকেই জুকারবার্গের ফেসবুক লাত্থি দিয়া ফেলে দিয়ে বলো জুকারবার্গ একটা মখা, সে একটা গাঁধা, সে একটা বাইনচোৎ, বাইনচোৎ জুকারের ফেসবুকরে...ডট ডট ডট (১৮+) করি। সেটা যেহেতু পারবা না তখন জুকার মামুকে গালি দেয়ার সময় আয়নার সামনে গিয়ে গালি দিও। আর অতিত স্মরন করে দেইখো তো মামু, জুকারবার্গের বিয়ের এক ছবিতে কতিপর ভদ্রনোকের কমেন্টের কারণে বাংলার ফেসবুক ইউজাররা আজো কষ্ট ভুগ করে চলেছে। কারোরই বাংলা নিক ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ্যলাও করছে না। সো, সামনে আমাদের ম্যংগো পিপলদের জন্য আর বিপদ ডেকে আইনো না......
আর হ্যা, চাঁন্দে যে এক বাংগালীরে দেখা গেছিলো সেই হিস্টরি মনে আছে তো? তখন কিন্তু আমেরিকায় বসেও অনেকে সুভানাল্লাহ সুভানাল্লাহ পড়ছিলো। ইশারায় বললাম বুঝে নেন। চুরে চুরে যদি মাস্তুত ভাই হতে পারে তবে গে গে কেন মাস্তুত ভাই হতে পারবে না? সো, ভাইয়ের খুশিতে ভাই খুশি হতেই পারে, এই সব ভাইদের ভাল না লাগলে আমার মত আপনিও আনফ্রেন্ড করে দেন, তাদেরকে দৌড়ানির উপরে রেখে যেটা করছেন সেটা হলো বাংলার ছয় বৎসরের ছেলেও আজ জেনে গেছে গে কি জিনিস, খায় না মাথায় ঘসা ঘসা করে? তার চেয়ে বরং আমগো সমাজে যেই সমস্যাগুলো আছে যেমন: জনগনের ভোট ছাড়া সংসদে গেলে তাদের জনপ্রতিনিধি বলা হইবো কি না? নাস্তিক পাইলেই মাথায় কুপ মারা সামজ সাপোর্ট করবে কি না? ধর্মের উপর আক্রমন হলে তার বিচার কি হওয়া উচিত? এই সব নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন, এক দিন করেন দুই দিন করেন সারা বছর করেন। গঠন মুলক আলোচনা করেন বহুত ফায়দা হবে....