রান্না একটা শিল্প, সেই সাথে দরকার ধৈর্য্য। প্রথম থেকেই রান্না করাটা আমার কাছে বেশ বিরক্তিকর লাগতো। এজন্য কখনও ভাবি নাই যে আমাকে রান্না করে খেতে হবে। দেশেও কখনও রান্নার অভিজ্ঞতা ছিলো না, শুধু ১/২দিন সাথে হেল্প করেছিলাম। বিশ্বঃ জীবনেও শুধু বন্ধুদের রান্না খেয়ে গেছি, সেই আমি এখন প্রবাসে এসে রান্না(!) করি। খুব বেশি অভিজ্ঞ হয়েছি, এটা কখনই বলবো না, তবে যেটা পারি, তা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত রান্নাগুলো নিশ্চিন্তে খেয়ে যাচ্ছি কোন অতিরিক্ত লবন/ঝাল সমস্যা ছাড়াই। যদিও আমার জননী সন্দিহান, আমি আসলেই পারি কিনা। দুনিয়ার তাবৎ মায়েরাই হয়ত এমন, সবসময় দুঃচিন্তা করবেই, যদিও তাকে ওয়েবক্যামে কিছুটা দেখিয়ে আশ্বস্ত করতে হয়েছে যে, পেয়াজ-মসলা দিয়ে পাতিলে কিছু একটা খাবারযোগ্য বানাতে পারি। আমি প্রবাসে আসার আগে মায়ের শত চেষ্টাতেও রান্নাঘরে যাইনি, বলেছিলাম, বিড়াল ঠেলায় পড়লে এমনি গাছে ওঠে, হয়েছেও তাই, এখন ঠিকই রান্না করছি। তো শুরু থেকেই আমি আমার সব আইটেমের রান্নাগুলোর ছবি তুলে রাখতাম, আর মাঝে মাঝে খোমাখাতার এলবামে রাখতাম ভবিষ্যৎ স্মৃতি হিসাবে।
আজকের একটা রান্না নিয়েই আজকের এই পোষ্ট।
আগেই যেহেতু বকবক করে জানালাম,আমি দক্ষ না রান্নাতে, বেঁচে থাকার জন্য খেতে হয়, তাই রান্না করে খাচ্ছি। রান্না করতে গিয়ে কোন সচরাচর রেসিপি ফলো করি না, যেটা যেভাবে ইচ্ছা রান্না করি, এখন পর্যন্ত খারাপ লাগে নাই। বেশ কদিন ধরে মাথায় একটা রেসিপি ঘুরপাক করছিলো, তাই আজই সন্ধ্যায় রিক্স নিয়ে ফেললাম। সেটারই বিস্তারিত ব্যাখ্যা--
যা যা লাগবেঃ
ছোট মাছের শুটকি
বেশি পরিমান পেঁয়াজ
দরকারী মসলা
মসুর কালাই।
প্রথমে মসলা-পেয়াজ কেটে ডাল ধুয়ে চুলায় পানি দিয়ে জ্বাল দিন। আর এদিকে শুটকি মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটা সসপ্যানে তেল বেশি করে দিয়ে হালকা লাল হলে বেশি করে কুচি কুচি করে কাটা পেয়াজ দিন। লাল লাল করে ভাজুন, এরপর ধোয়া শুটকিমাছ মচমচা করে ভাজুন। এবার অন্যপাতিলে সিদ্ধ হতে দেওয়া ডাল এবার এই সস্প্যানে শুটকি মাছের মাঝে ঢেলে দিন। এবার পরিমানমত পানি দিয়ে চুলায় হালকা আচে রাখুন। পানির পরিমান বেশি হলে বেশি করে জ্বাল দিন, এরপর নামিয়ে নিন। সময়মত পরিবেশন করুন। খেতে সমস্যা হলে, আকাশ ঢাকলে আমি দায়ী না
আশা করি এভাবেই আপনি রান্না করতে পারবেন ডালশুটকি
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩০