দেশের সব মোবাইল ফোনকে একটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।প্রতেক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে নয় দিনের ‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১০’-এ গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এ কথা বলেন প্রগতি সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাহাদাত উল্ল্যাহ খান।
তিনি আরও বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং প্রচলিত ব্যাংকিং পদ্ধতির জন্য হুমকি নয়। বরং এই প্রযুক্তি এ সেবায় আরও স্বচ্ছতা নিয়ে আসবে।
মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহেসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (আইটি অ্যান্ড বিলিং) মো. হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের তথ্যপ্রযুক্তি পরামর্শক ওমর ফারুক খন্দকার ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ খান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, অর্থ লেনদেনের জন্য সরাসরি ব্যাংকে যাওয়া, লাইনে দাঁড়ানো কিংবা অনেক সময় দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়—এটা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর। আবার অন্যদিকে আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা এখনো খোলা হয়নি। এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা।
এদিকে মেলায় গতকাল ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সারাদিন প্রযুক্তি পণ্য ঘুরে ঘুরে দেখেন। নীলক্ষেত উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সাইদুর রহমান বলে, ‘আমাদের যত বেশি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে, দেশ তত বেশি এগিয়ে যাবে।’
গত রোববার মেলার মূল মঞ্চে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে ‘তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ সামাজিক উন্নয়নের অন্তরায় নয়’ এবং চূড়ান্ত পর্বে ‘উইকিলিকস: অবাধ তথ্যপ্রকাশের অসাধারণ এক মাধ্যম!’ এ বিষয়ে তার্কিকদের অংশগ্রহণে প্রাণবন্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে অংশ নেয় ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নটর ডেম কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ইমপেরিয়াল কলেজ।মেলায় ৪০০টির বেশি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মেলায় দর্শনার্থীরা বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
সংগ্রহ : প্রথম আলো তে লিখেছেন —তারিকুর রহমান খান