আমি এমনিতে অলস হলেও, অফিসের জন্য মোটামুটি সকাল সকাল উঠতেই হয় শুধু শুক্রবার ছাড়া। আর সকাল থেকে উঠেই কতিপয় দৃশ্যের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিদিন ।তার থেকেই কিছু তুলে ধরলাম এখানে।
- বাথরুমে গিয়েই দেখি পানি নাই।বাড়িওয়ালাকে ডাকাডাকি করে উঠাইয়া বল্লেই বলে ,ভাই গতকালই পাম্পটা নষ্ট হইসে, আজকেই ঠিক করে ফেলব অথবা লাইনে পানি নাই, এই সপ্তাহেই নতুন আরেকটা লাইন নিব।
-এরপর রাস্তায় বের হলেই দেখি, দোকানদার সাহেবেরা ইচ্ছামত ঝারু চালাচ্ছে, কারও গায়ে ধুলোবালি লাগতেসে কিনা এব্যপারে তাদের কোনো বিকার নাই।
-একই অবস্থা আরেকটু সামনে গেলেই, মিউনিসিপলটির লোকজন মনের সুখে ঝাড়ু দিয়ে যাচ্ছে চারিদিক অন্ধকার করে, একটু থামতে বললে এমন ভাব করে যেন পাশ থেকে পোকামাকর আওয়াজ করতেছে।
-এর মধ্যেই চলতে থাকে গাড়িগুলার গগণ বিদারি চিৎকার,কেন যে চিৎকার করছে তা আল্লাহই জানেন।
-গাড়িতে উঠে যাত্রা শুরু করলে দেখি, জ্যামের মধ্যেও ওভারটেক করার চেষ্টা।এইদিয়ে কয় মিনিট যে ড্রাইভাররা বাচাবে.....
-অফিসে যেয়ে যদি বল ঠিকমত কাজ কর, তাহলেই হইছে, সবাই কেমনে তার পিছনে লাগতে পারে, তার সর্বনাশ করতে পারে তাই নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যায়, আর কাজ করবে কি
-প্রায় অফিসেই দুপুরে খাবার দিয়ে যায়, তা খেয়ে কার কি হচ্ছে তা সরজমিনে তদন্ত করা না গেলেও, ২-১ জনকে প্রতি সপ্তাহেই পেটের অসুখে ভুগতে দেখা যায়
-বারি ফিরার সময় আরেক ঝামেলা।যদি আপনি সি.এন.জি অথবা ট্যাক্সি নিতে যান, কতগুন বেশি ভারা যে চাবে তা অনেক সময় কল্পনার ও বাইরে চলে যায়।মানুষের তো একটা চক্ষু লজ্জা বলতে কিছু থাকে, নাকি??
-বাসায় এসে আবার সেই পানি নাই আর তার কিছুক্ষণ পর কারেন্ট নাই
তারপর?? তারপর আর কি আবার ঘুমানো, আবার সকাল, আবার...আবআর...আবআআআআর.....।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




