আমার কাছে কেনো যেনো সব সময়ই যে কোন বইয়ের প্রধান চরিত্রের থেকে পার্শ্ব চরিত্রগুলোকে বেশী পছন্দ হয়।
এই অনুসারে টেনিদাতে আমার সব থেকে প্রিয় চরিত্র হচ্ছে "হাবুল"।
উপন্যাসের কিছু কিছু জায়গায় হাবুলের কিছু কিছু বক্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে মরে যাবার দশা হয়।
যেমনঃ
*চার মুর্তির রহস্যতে হাবুলের কথোপকথনঃ
টেনিদা বললে, মামা আমাদের কিন্তু শিকারে নিয়ে যেতে হবে।
কুট্টিমামাঃ যে সব বীরপুরুষ, বাঘের ডাক শুনলেই.....
হাবুল সেন বললে,না মামা ভয় পামু না। আমরাও বাঘেরে ডাকতে থাকুম। ডাইক্যা কমু,"আইসো বাঘচন্দর,তোমার লগে দুইটা গল্পসল্প করি"।
* কম্বল নিরুদ্দেশে হাবুলের সাথে টেনিদার কথা....
টেনিদাঃপেতেই হবে হতচ্ছারাকে। তারপরে যদি কম্বলকে পিটিয়ে কার্পেট না বানিয়েছি তাহলে আমি টেনি শর্মাই নয়।
হাবুলঃ ছাড়ান দেও,ছাড়ান দেও। অমন পোলার নিরুদ্দেশ থাকনই ভালো। পোলা তো না। য্যান একখান ভাউয়া ব্যাং।
টেনিদা হাবুলের দিকে তাকিয়ে তাকালঃ ভাউয়া ব্যাং কাকে বলে?
হাবুল,ভাউয়া ব্যাং কয় ভাউয়া ব্যাংরে।
এইরকম অনেক লাইন আছে ।
অনেক দিন পর আবার টেনিদা সমগ্রটা পড়লাম। ফার্স্ট টেনিদা পড়ি যখন ১৬ বছর বয়স।
শৈশব কতই না মধুর।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



