আমি একজন মায়ের কথা বলবো, উনি হচ্ছেন আমার “মা”। আমার মামনি, আমার জান্নাত। আমারা সবাই মৃত্যুর পর জান্নাতে যেতে চাই। আমিতো পৃথিবীতেই জান্নাত পেয়েগেছি। সেই জান্নাতের স্পর্শ সব সময় আমার কাছে থাকে। জান্নাতের সেই মধুর ঘ্রাণ আমার মায়ের সেই আঁচলের নিচে। তাই যখনই মাকে কাছে পাই তখনই মায়ের সাথে খুনসুটি, একটু আদর, একটু ভালবাসা, একটু রাগ, একটু অভিমান, একটু আবদার করেই যাই। মাকে নিয়ে কখনই অনেক দূরে বেড়াতে যাওয়া হয়নি। সময়ছিল না বলে, যেতে পারি নাই, এই কথাটা বললে সেটা হবে মস্ত বড় পাপ। আর আমি অন্তত সেই পাপের ভাগীদার হতে চাই না। হ্যাঁ মাঝে মাঝে চেষ্টা করেছি কোথাও নিয়ে যেতে কিন্তু পারি নাই। যাই হোক আমি এইখান থেকে অন্য কথায় যেতে চাই। আমি কি করেছি বা আর কি করতে পারতাম সেটা এখনই বলছি না। অনেক কিছু বলার আছে। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করি যাতে আমাকে সেই তাওফিক দেন যাতে আমি আমার মনের ইচ্ছেটুকু পুরন করতে পারি। হে মহান রাব্বুল আল-আমীন, আমার মাকে আপনি হায়াত দারাছ করুন, সুস্থতা দান করুন, অনেক অনেক অনেক বেশি শান্তিতে ও সুখে রাখুন। মহান আল্লাহ্ পাকের কাছে দোয়া করি, যেন আমার মা তার সব ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি নিয়ে সুখে থাকতে পারে। আমীন।
আজকে খুব বেশি মাকে নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করছে তাই সেই সাহসটা করেই ফেললাম। আমি জানি যাই আমি লিখব, তা আমার মাকে নিয়ে সেটা হবে আমার মূর্খতা। কারন মাকে নিয়ে লিখবার মত সেই ক্ষমতা আমার নাই? আমি যদি মায়ের পেট থেকে লিখা শুরু করতে পারতাম আর আমার মৃত্যু আগে পর্যন্ত সেই লিখাটা চালিয়ে যেতাম তাহলেও সব লিখতে পারতাম না। আসলে মাকে নিয়ে লিখার মত যেই শব্দ, বাক্য জানা দরকার তার বিন্দু মাত্র আমার মধ্যে নাই। যেই মা সারাটি জীবন আদরে, সোহাগে, ভালবাসায় এবং প্রয়োজনে শাসনে বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। সেই মাকে নিয়ে লিখাটা অসম্ভব। তারপরও মাকে নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে।
আমারা ৭ ভাই বোন। ৫ ভাই (২ ভাই মারা গেছেন আল্লাহ্ পাক আমার ভাইদেরকে বেহেশত নছিব করবেন ইনশাআল্লাহ) ও ২ বোন। এখন আমরা ৩ ভাই ও ২ বোন। আমি আমার মায়ের ছোট সন্তান। আমি অনেক লাকি যে আমি এই পরিবারের একজন অতি সামান্য একজন সদস্য হতে পেরে। নিজেকে অনেক ধন্য মনে হয়। আমার বাবা ছিলেন একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারী চাকুরিজীবী। তাই বাবা এখন পুরোপুরি ঘর সংসার নিয়ে বেস্ত, মানে মাকে অনেক বেশি সময় দিতে পারছেন। আমার বাবা আমার আইডল। বাবাকে দেখেছি প্রতিটি কাজে কিভাবে নিখুঁত ভাবে করতে হয়। সব সময়ই আমরা বাবার কাছে হেরে যাই। আসলে বাবাই আমাদেরকে এখনও তার ছোট ছোট সন্তান মনে করেন। তাই কাজ বা দায়িত্ব দিতে চান না, যাতে আমাদের কষ্ট না হয়। এখনও তিনি আল্লাহ্ পাকের অশেষ রহমতে সব কাজ করতে পারেন। খুব বেশি কাজে বেস্ত না থাকলে কোন কাজই আমাদের করতে দেন না। আল্লাহ্ পাক আমার বাবাকে হায়াত দারাছ ও সুস্থতা দান করুন। আজকে বাবাকে নিয়ে বেশি কিছু লিখব না, কারন শুধু বাবাকে নিয়ে আবার কিছু একটা লিখার দুঃসাহস করবো। আল্লাহ্ পাক যেন আমার সেই ইচ্ছাটাও পুরন করেন।
আমার মাকে নিয়ে, আমি জানি আমার অনেক কিছু করার ছিল বা এখনও করার আছে। তাই মাঝে মাঝে মাকে নিয়ে চিন্তা করি কি করা যায়, যাতে মায়ের মুখে একটু হাসি দেখতে পারি। মায়ের হাসিতে কি যেন একটা ব্যাপার আছে। যখনই আমার মাকে হাসতে দেখি, তখন মনের ভিতর কি যেন একটা তৃপ্তি এসে প্রাণটাকে শীতল করে দেয়। তাই এই হাসিটুকু যেন সব সময় মায়ের মুখে দেখতে পারি সেই চেষ্টাই করে যাব। আমি বারবার চেষ্টা চালিয়ে যাব। খুব ছোট ছোট কিছু, মাকে অনেক বেশি আনন্দ দেয়। আমি সেই আনন্দটুকু আমি মাকে দিতে চাই। মা নিজে থেকে কখনই কিছু চাননি। আর চান না বলে, আমার অনেক মন খারাপ ও রাগ হয়। আমি অনেক ভাবে চেষ্টা করেছি বা এখনও করি। কিন্তু কখনই কিছু দিতে পারি নাই। এটা আমার অপারগতা। আমার “মা” খুবই সাধারণ একজন। কিন্তু আমার মা আমার পৃথিবীতে থাকা জান্নাত। আমি এখন আমার মায়ের কাছে থাকতে পারছিনা কিন্তু আমার মনটা সবসময় আনচান করে মাকে দেখার জন্য। আমি আমার মনের ভাবনাটুকু কখনই মায়ের কাছে প্রকাশ করিনাই। কারন আমি জানি যখনই আমি আমার মনের কথা প্রকাশ করবো, তখনই “মা” আমাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝাবে কিন্তু সেই বুঝাটা আমি বুজতে চাই না। এখন আমিও বাবা হয়েছি, হয়েছি একজনের স্বামী। আমার ছেলে এখন খুবই ছোট। মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দোয়া করি যেন, আল্লাহ্ পাক তাকে হায়াত দারাছ করেন, সুস্থ রাখেন, মানুষের মত মানুষ করেন।
আমি আমার মায়ের ভালবাসাকে কখনই ভুলে থাকতে পারব না। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সন্তান নাকি পর হয়ে যায়। কিন্তু আমি কখনই সেই কথা মানতে পারব না। কারন প্রতিটি সন্তানই চায় তার মায়ের সাথে থাকতে। কিন্তু কিছু কিছু পারিবারিক কারনে অনেকই সেই সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এইখানে কার কতটুকু দোষ আছে, সেই বিচার করার ক্ষমতা আমাকে আল্লাহ্ পাক দেন নাই। তাই সেই বিষয়ে কথা বলার আমার আপাতত কোন ইচ্ছাই না। তবে একটা কথা বলতে চাই, মহান আল্লাহ্ তায়ালা সবাইকে তাদের বাবা মায়ের সাথে থাকার সৌভাগ্য প্রদান করেন। আর আমি এখনও এতো মডার্ন হতে পারি নাই, যে বাবা মাকে ছাড়া কিছু চিন্তা করবো। আর মহান আল্লাহ্ পাকের কাছে আমার চাওয়া যেন, সেই তথাকথিত মডার্ন (এইখানে মডার্ন বললাম এইকারনে যে, কেউ কেউ হতো চান বাবা মা অথবা শ্বশুর শাশুড়ি ছাড়া একা থাকতে। তারা নাকি নিজেদেরকে এই সমাজের মডার্ন পরিবার ভাবেন।) যেন কখনই আমাকে না বানায়।
এইখানে একটা কথা আমি শেয়ার করতে চাই। এটা আমার সাথে ঘটে যাওয়া সত্যি একটা মুহূর্ত। বেশ কিছুদিন আগে আমি একটা বিদেশী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতাম। সেই কাজের সুবাদে আমার বেশ কিছু টাকা উপার্জন হতে লাগল। সেইখানে ২ বছর কাজ করার পর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধকরে দেওয়া হয়। তারপর আমি কিছুদিন বেকার ছিলাম। সেই বেকারত্তের সুযোগ নিয়ে আমি বেশ দুরন্তপনা হয়ে উঠেছিলাম। কখন ঘুম থেকে উঠবো, কখন ঘর থেকে বের হব, কি খাব, কখন খাব, বাসায় কখন ফিরব তার কোনটারই হিসাব ছিল না। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে শুধুই আড্ডা র আড্ডা। আমি বলছিনা যে, আড্ডা দেওয়া ভালো না। মানে সব কাজের সময় যদি সেই আড্ডাতেই চলে যায় তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদের একটু ঝামেলা পোহাতে হয় বৈকি। যাই হোক, আসল কথায় আসি। এইরকমের একদিন – আমি খুব লেট করে একদিন বাসায় যাই। বাসার কলিং বেল বাঁজাতেই আমার আইডল মানে আমার বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন এতক্ষণ আমি কি করলাম, কেন এতো দেরি হল। সব কথাই কিন্তু আমাদের বাড়ির দরজার সামনে হচ্ছিল। বাবা তখন ও আমাকে বাসার ভিতর প্রবেশ করার অনুমতি দেন নাই। যার দরুন আমি দরজার সামনে থেকেই কথা চালিয়ে গেলেম। কথার মাঝে হটাত করে বাবা, কিছু কথার ফুলঝুরি নিয়ে বসলেন। আমি সেই ফুলঝুরি নিতে পারছিলাম না। না পেরে সেই খান থেকেই আমি বাসায় না ঢুকে বাইরে বেরিয়ে আসি। আর মনে মনে ভাবতে থাকি আর বাসায় ফেরত যাব না। যেই কথা সেই কাজ। কাউকে কিছু না জানিয়ে এলাকা থেকে বের হয়ে চলে গেলাম কমলাপুর রেল স্টেশান। মনে মনে চিন্তা করলাম প্রথমে ট্রেন এ চড়ে চট্টগ্রাম, তারপর সেখান থেকে বাস দিয়ে কক্সবাজার। আমি একা কখনই কোথাও যাই নাই। তাই মনের মধ্যে একটা অজানা শঙ্কাও কাজ করছিল। স্টেশন এ কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর বুজতে পারলাম আমার দ্বারা এইকাজটি হবে না। তাই সকাল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ভাল কথা তখন কিন্তু রাত ১২:৩০টা। আর বেশি বেশি বাসার কথা মনে পরছিল। স্টেশন এর বেঞ্চে বসেই নানা মানুষের কর্ম কাণ্ড দেখছিলাম। মাঝে মাঝে ট্রেন আসার শব্দ হচ্ছিল। ট্রেন এর বাঁশি অনেক দূর থেকে কানে আসছিল। যখনই বাঁশি বেজে উঠছিল তখনই আসে পাশের মানুষ গুলো কেমন যেন উঠে পরে লাগল। এইগুলো দেখতে দেখতে কিছুটা সময় পার হয়ে গেল। পেটে অনেক ক্ষুধা। তাই কোন উপায়ন্তর না দেখে চলে গেলাম স্টেশন এর পাশেই কতগুলো হোটেলের একটিতে। আচ্ছা আপনি এখন ভাবছেন যে, মাকে নিয়ে কথা না বলে এই কথা গুলো কেন বলছি? একটু মনোযোগ দিয়ে বাকি কথাগুলো পরেন তাহলে সব জেনে যাবেন। যেহেতু পেটে অনেক ক্ষুধা, তাই প্রথমে বিরিয়ানি অর্ডার করলাম সাথে ডিমের কোরমা, একটা ঠাণ্ডা ড্রিংকস। বিরিয়ানি টা দেখে মটেও ভালছিল না। কিন্তু কি আর করা, সেই অপছন্দের খাবারটাই শেষ মেস ধীরে ধীরে শেষ করলাম। কারন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি ছিল। অন্য কোথায় ঘুরা ঘুরি না করে এইখানেই সময়টা শেষ করে ফেলব। যেহেতু সকাল হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি আছে। রাতের খাবার শেষ করতে করতে তখন বাজে রাত ৩ টা। এখনও অনেক টা সময় বাকি আছে। কি যে করি। আমি চা খাইনা। কিন্তু সেইদিন মনে হল আজকে চা খাওয়া যেতে পারে। কারন লক্ষটা আপনারা যেনেই ফেলেছেন। চা খেতে আরও কিছু টা সময় পার্ করতে পারলাম। কিন্তু সেটা ও যথেষ্ট ছিল না। তারপর আরও এক কাপ চা। এইভাবে যে মানুষটা চা খায়না সেও ৩ কাপ চা শেষ করে ফেললো। তখন মাত্র আযানের সময়টা হয়ে আসছে। আমি বিল দিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাটতে শুরু করলাম। এরই মধ্যে সকাল হতে শুরু করল। আমি আস্তে আস্তে হাটতে লাগলাম বাসার দিকে। শরীর ও মন দুইটাই রীতিমত একে অপরের সাথে যুদ্ধ করছে। কিছুতেই যেন থামছে না। আমি কিন্তু আমার আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যেতে পারতাম। কিন্ত আমি সেখানে যাইনি। কারন আমি চাইনি আমার কারনে শুধু শুধু আত্মীয় স্বজনরাও ব্যাপারটা জেনে যাবে। আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ভুল বুজবে। আমি রাতে ছিলাম না বলে আমার বাসার সবাই আমার খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছিল। যেহেতু আমার সাথে কোন মোবাইল ছিল না, সেহেতু আমার সাথে কেউ কোন যোগাযোগও করতে পারছিল না। আমাদের বাসার সামনে একটা বড় মুদি দোকান ছিল। সেই মুদি দোকানের মালিক আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে ভাল করে চিনত। আমি যখন আমার বাসার কাছে সেই মুদি দোকানের সামনে আসি তখন সেই দোকানের মালিক আমাকে ডাক দিয়ে বলে আপনার ভাইয়া আপনাকে খোঁজ করে গিয়েছিল এবং বলেছিল আমাকে দেখলেই নাকি খবর টা আমাকে জানানো হয় যে, আমার মা রাত থেকেই খুব অসুস্থ বোধ করছিলেন। আমি এই কথাটা শুনেই কাল বিলম্ব না করে বাসায় চলে যাই। বাসায় যেয়ে দেখি সত্যি সত্যি মা অনেক অসুস্থ ছিলেন। এক রাতে মায়ের যা অবস্থা হয়েছে সেটা দেখে আমি মনে মনে নিজেকে বলি আর যাই হোক কখনও ঘর থেকে এইভাবে বের হয়ে যাব না। এই কথাগুলো এই জন্য শেয়ার করলাম মা যে কি সেটা মায়ের কাছ থেকে একটু দূরে না গেলে বুঝা যায় না। তাই আমি সবাকে একটা অনুরধ করবো মা বাবাকে কখন নিজের থেকে আলাদা করবেন না। যতকিছুই হোক মা বাবাকে ছাড়া পৃথিবীটা অন্ধকার। আপনার কিছু হলে মা বাবা যেভাবে আপনাকে ও আপনার পরিবারের খোঁজ খবর ও যত্ন নিবেন আর কেউ নিবে কিনা আমার জানা নাই।
এখনও মা আমাকে প্রতিটি দিন ফোন করে খোঁজখবর নেন। আমিই মাঝে মাঝে মাকে ফোন করতে ভুলে যাই। কিন্তু মা ঠিকই আমাকে ফোন করে, আর ফোনেই মা যখন রাগ করে বলে “মায়ের কথা কি তোর মনে পরে” আমি তখন একটু লজ্জাও পাই আবার মুচকি হেসে মায়ের সাথে খুনসুটিও করি। এটা করতে আমার খুব ভালো লাগে। কারন আমি জানি এই পৃথিবীতে মা ও বাবা আমার খোঁজখবর ঠিকই নিবেন। তাই কেউ যদি আমার এই লিখাটা পরেন তাহলে আমি তাকে বলব মা বাবাকে ভালোবাসেন। মা বাবা ছাড়া পৃথিবীটা অনেক শুন্য মনে হবে। আল্লাহ্ পাকের অশেষ রহমতে আমার মা ও বাবা দুইজনই ভাল আছেন। সবাই দোয়া করবেন যেন আমার মা ও বাবা দুইজনই অনেক দিন বেঁচে থাকেন, সুস্থ থাকেন। আর যাদের মা ও বাবা এই পৃথিবীতে নাই তাদেরকে দেখে শিখেন না থাকার কি কষ্ট। আল্লাহ্ পাক সকল মা ও বাবাকে ভালো রাখবেন, আর যাদের মা বাবা পৃথিবীতে নেই আল্লাহ্ পাক সেইসব মা বাবাকে বেহেশত নছিব করবেন, তাদের কবরের গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং সকল সন্তানদেরকে আল্লাহ্ পাক হেফাজতে রাখবেন ইনশাল্লাহ। আমীন।
বিঃদ্রঃ কারও যদি মা ও বাবাকে নিয়ে কিছু বলার থাকে তাহলে আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন। আমি নিজেকে খুবই ধন্য মনে করবো কেউ যদি শেয়ার করেন। আল্লাহ্ সবাইকে হেফাজতে রাখুন। আমীন।