বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পাঁচটি বেসরকারী ব্যাংককে লাইসেন্স প্রদানের জন্য চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
অনুমতি প্রাপ্ত এসব ব্যাংককে এখন সরকারী বিধিমালা অনুসরন করে কোম্পানী গঠন করতে হবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নামে লাইসেন্স ইস্যু করবে।
এর ফলে দেশে বেসরকারী ব্যাংকের সংখ্যা ৪৭ থেকে বেড়ে ৫২ তে উন্নীত হবে।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ৯টি বেসরকারী ব্যাংক স্থাপনের সম্মতি জানিয়ে চিঠি দেয়। শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তাদের ৪০০ কোটি টাকার বৈধ মূলধন থাকতে হবে এবং ঐ টাকা বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন হতে হবে।
প্রাথমিক বিচারে মোট ৬টি ব্যাংককে লাইসেন্স প্রদানের জন্য চুড়ান্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সপ্তাহের শুরুতে দুই দফায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নিজেদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করে উদ্যোক্তারা।
এদের মধ্য থেকে ৫টি ব্যাংককে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।"
তিনি আরো জানান, এসব ব্যাংককে এখন যৌথ মূলধনি কোম্পানি ও ফার্মসমূহের রেজিষ্টারের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নিয়ে কোম্পানি গঠন করতে হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নামে লাইসেন্স ইস্যু করবে।
"আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব। তবে শাখার অনুমতি পেতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে।"
অনুমতি প্রাপ্ত এসব ব্যাংক হলো-- এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক এবং মেঘনা ব্যাংক।
এদের মধ্যে প্রথম দুটি ব্যাংক প্রবাসীদের মালিকানাধীন। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আর মেঘনা ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে রয়েছেন রংপুরের আওয়ামী লীগের সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের মূল উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী এস এম আমজাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন গ্রামীন মানুষ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা হবে তার ব্যাংকের মূল টার্গেট গ্রুপ।
অন্যদিকে, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী ফরাসত আলী বলেন দেশের শিল্প এ জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করা তার ব্যাংকের মূল পরিকল্পনা।
স্বাধীনতা উত্তরকালে ব্যাংকিং খাতের জাতীয়করনের পর ১৯৮৩ সালে সরকার প্রথম বেসরকারী ব্যাংক স্থাপনের অনুমতি দেয়। এরপর ১৯৯৫ সালে এবং ২০০১ সালে আরেকবার সরকার বেসরকারী ব্যাংকের অনুমতি দেয়।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আরো ৪টি বেসরকারী ব্যাংককে অনুমতি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন মি চৌধুরী।
সুত্রঃ Click This Link