কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানায় ইয়াবার থাকার কথা বলে নিরপরাধ ২ ব্যক্তিকে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ রেখে টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশের এএসআই হিরন কুমার দে। এ ঘটনায় পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠার পাশাপাশি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে জনমনে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে টেকনাফ মডেল থানায় ঘটে।
জানা যায়, ইয়াবা তল্ল�াশীর নামে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ সড়ক থেকে সাদা পোশাকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়ের নাজিরপাড়ার জামাল হোসেনের পুত্র হারুন (৩০) ও হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকার কবির আহম্মদের পুত্র মোহাম্মদ বক্কর (২৮) কে ধরে নিয়ে যায় এএসআই হিরন কুমার। আটক নিরপরাধ যুবকদের কাছ থেকে ইয়াবা তো দূরের কথা কিছু না পেয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় থানার বেতার ভবনের ওয়ালেস অপারেটারের রুমে আটকিয়ে থাকা হয় প্রায় ৫ ঘন্টা। এসময় তাদের মানসিক নির্যাতন চালিয়ে ৪০ হাজার টাকা দাবী করা হয় বলে জানান, আটক হারুনের স্ত্রী। এরপর তিনি স্থানীয় এক ইউপি সদস্যর মাধ্যমে টাকা দিয়ে থানা থেকে আটক যুবকদের ছাড়িয়ে নেয়। তবে কত টাকার লেনদেন হয়েছে তা বলতে রাজী হননি কেউই।
এএসআই হিরন কুমার দে বলেন, ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে এমন সন্দেহে উক্ত যুবকদের আটক করা হয়েছিল। তবে তাদের কাছে কিছু পাওয়া না যাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, এ ধরনের কোন ঘটনার কথা তার কোন অফিসার তাকে অবহিত করেননি। তিনিও সাংবাদিকদের কাছ থেকে এ ঘটনা শুনেছেন।
ভাসমান দোকান আর ঝুপড়িঘরে সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে কক্সবাজার সৈকত ॥ সমানতালে বাড়ছে অপরাধ
সুত্রঃ Click This Link