ক্লাবের ট্রফি যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তিগত লড়াইয়ের ‘রেজাল্ট’ বার হওয়া বৃহস্পতিবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেল। যখন রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলে দিলেন লিওনেল মেসি। স্প্যানিশ ত্রিমুকুট জয়ী বার্সা দলের অপ্রতিরোধ্য এই আর্জেন্তিনা তারকা জিতে নিলেন ইউরোপ সেরা ফুটবলারের মুকুট। টিভি ক্যামেরায় তখনই ধরা পড়ল তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখটা। যতটা জৌলুস তাঁর পোশাকে ছিল, ততটাই নিষ্প্রভ ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মুখ। দেখে মনে হবে যেন এখন থেকেই ধরে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অরটাও হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে।
ইউরোপের সেরা ফুটবলার হয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মেসি বলে দিলেন, ‘‘আমি খুব খুশি। দলের সাহায্য পাশে ছিল বলেই জিততে পারলাম।’’ রোনাল্ডোর মুখ ফ্যাকাসে হলেও তিন জনের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা লুই সুয়ারেজ অবশ্য তাঁর সতীর্থর ইউরোপ সেরা হওয়া নিয়ে খুশি।
রোনাল্ডোর ব্যথা এখানেই শেষ হয়নি। ২০১৫-১৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ বিন্যাসের পরে আবার সিআর সেভেনের সামনে এমন এক জন, যিনি চোখধাঁধানো গোল করার মেশিন। আরও ভাল ভাবে বললে জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ!
লিগের গ্রুপ বিন্যাসের পরে এখন থেকেই অপেক্ষা শুরু প্যারিস সাঁ জাঁ বনাম রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই নিয়ে। পুরনো শত্রুকে পেয়ে আগাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা উসকে দিল প্যারিস। ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে ১৯৯২-৯৩ মরসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালকে ৪-১ হারানোর ছবি দিয়ে পোস্ট করা হয়, ‘মনে আছে তো রিয়াল!’ প্যারিস যাই পোস্ট করুক না কেন, ইব্রাহিমোভিচ বোধহয় বেশি খুশি তাঁর দেশজ ক্লাব মালমোর বিরুদ্ধে খেলতে পারার সুযোগ পেয়ে। যারা একই গ্রুপে রয়েছে। কিছু দিন আগেই ইব্রা টুইট করেছিলেন, ‘‘এক দিন আমি মালমোর মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার অনুভূতি পেতে চাই।’’
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬