ফেসবুকে এক্টিভিটি দেখে বুঝা যায় যে কে কত নাম্বার বেকার।আর সেক্ষেত্র আমি ফেসবুক সেলিব্রেটি'দেরকে টপ পজিশনে রাখি।
এদের পুস্টে সস্তা ভলবাসার গল্প আর ব্যক্তিগত জীবনে ঘটা তুচ্ছ ঘটনার সাথে রঞ্জক মিশিয়ে মাকাল পরবেশনা ছাড়া কিছু থাকে না। তবু আমরা আলু পটলেরা এগুলুর উপর হুমরি খেয়ে পরে এদের ফলোয়ার লিস্ট দীর্ঘায়িত করি।
আমার পরিচিত ভাদা সেলিব্রেটি'দের প্রায় সবাই কোন না কোন ধর্মের অনুসারী, যদিও এদের স্ট্যাটাস আর সার্বিক কর্মকান্ড দেখে এদের জেনেসিস নিয়ে কিঞ্চিত সন্দেহ থেকেই যায়।
সভ্যতার এই ক্রান্তিকালে গোটা জাতির মধ্যে যখন মেরুকরণ ঘটল,ধর্ম বিদ্বেষী আর ধর্ম প্রেমী'রা পৃথক হলো। এরা তখনো সত্য মিথ্যার মাঝখানে দোদুল্যমান অবস্থয়।অথচ তাদের দেয়া একটা স্ট্যাটাস তাদের বিশাল ফলোয়ার লিস্টে সারা ফেলতে পারতো।
বাই দ্যা ওয়ে,আজ সকালে পত্রিকা'গুলুর হেড লাইন দেখে চোখ একেবারে কপালে উঠলো" ব্লগার অমুক খুন!" কিন্তু ব্লগে যে সে কি বালছাল লিখতো সে বিষয়ে কোথাও লেখা নাই।আর লেখা থাকবেই বা কেমনে? আসল পরিচয় প্রকাশ পেলেতো মুখোশ খুলে যাবে,জনগণের ক্রুধের তীর আরু তীব্রতর হবে।তাই সত্য'টা গোপনই রাখা হয়।
লোকটার অনেকগুলু লেখাই পড়েছি।ধর্ম-বিদ্বেষ আর গালিবাজি ছাড়া সে কিছু জানতো বলে আমার মনে হয় নি। অথচ সে মরার পরে রীতিমতো প্রগতিশীল হয়ে উঠেছে,কি হাস্যকর।
তার মৃত্যুর পর খুনীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল হয়েছে,কারা করলো মিছিল?এদের মদদেই কি এসব ওয়াশিকুরদের জন্ম হয় নি?এরাই তো পরোক্ষ ভাবে একসাথে দুটি অপরাধকে প্রমোট করে;ফলে একদল কলম দিয়ে আক্রমণ করে আরেক দল চাপাতি দিয়ে মোকাবিলা করে।তাই বিচার যদি হয়ই এদের হওয়া উচিত।
আফসোস লাগে,>৯৫% ধর্মপ্রেমীদের দেশে ধর্ম-বিদ্বেষীরা হয়ে যায় প্রগতিশীল আর ধর্মপ্রেমীদের থাকতে হয় ফেরারি হয়ে।
সৌমিক আকঞ্জি,আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন যে "এদেশে একদল উগ্র দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রেমী ছেলে দরকার"।তবেই যদি মুক্তি মিলে।।