somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

শিশুকে সততা, সত্যবাদিতা শেখানোর এখনই সময়...........

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব কঠিন ও বরিং টপিক নিয়ে আজ আসলাম.... সত্যবাদিতা!!!!! জানি নীতিকথা কারোই ভালো লাগে না, তারপর ও আসলাম উপদেশের ঝুলি নিয়ে.. B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ :!> :!> :!> :!> :!>

প্রতিটি শিশুই কাঁদা মাটির মতো তাই ওদেরকে যদি উপযুক্ত শিক্ষা এখনই না দেই তাহলে তাদের ভবিষ্যত এ তার উফেক্ট পড়বে।। আর ওদের ভবিষ্যত খারাপ তো আমরা ধ্বংসের কিনারায়............

প্রতিটি ধর্মগ্রন্থে সত্য বলাকে অনেক অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবং মিথ্যে বলাকে সবচেয়ে বড় পাপ বলা হয়েছে। এমন ও বলা হয় মিথ্যাই সকল পাপের শুরু। দুনিয়ার যত খুন খারাবি, চুরি ডাকাতি, ঘুষ বাটপারি.... সব কিছুর শুরুই হয় মিথ্যা দিয়ে। তাই মিথ্যে না বলা ও সত্য বলার অভ্যাস গডে তুলতে হবে।

সন্তানকে ছোটবেলা থেকে সততা, সত্যবাদিতা শেখানো বাবা-মায়ের দায়িত্বের মধ্যে একটি। কারন পরিবার থেকেই শিশুর বেড়ে উঠা, শিশুর অ্ভ্যাস গড়ে উঠা। ভালো অভ্যাসগুলো ছোটবেলা থেকে শিশুর মাঝে তৈরি করতে না পারলে ছোট ছোট ভুলগুলোই শিশুর পরবর্তী জীবনে বড় কোন ভুলের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে বা বড় কোন অপরাধের শুরু হতে পারে।

তিন/চার বছর বয়স থেকে শিশুরা মিথ্যে বলে। তবে সেটা যতনা মিথ্যে তার থেকে তার মনের কল্পনা বেশী। যেমন, আপনার শিশু হয়তো আপনার কাছ থেকে কোন খেলনা আব্দার করছে আর আপনি দিতে রাজি না। তাই সেটা সে আদায় করার জন্য কোন বন্ধুর উদাহরন টানলো। দেখা গেল সেটা পুরোটাই মিথ্যে। কাজেই মিথ্যে আর কল্পনার মধ্যে পার্থ্যক্য থাকবে। তাই বলে মিথ্যে কল্পনা ও গ্রহন যোগ্য নয় কারন তা থেকে ও সে মিথ্যে বলতে অভ্যস্থ হয়ে উঠে।

আবার অনেক সময় আপনার মারের ভয়ে বা আত্মরক্ষার কৈাশল হেসেবে মিথ্যে বলে সেটা ও ঠিক নয়। আপনার চেস্টায় শিশুরা সত্যবাদী যুধিস্ঠর হয়ে উঠবে তা যেমন ঠিক নয় তেমনি আপনি যদি এ সত্য বলা অভ্যাসের দিকে নজর না দেন তাহলে দেখা যাবে সে অবলীলায় মিথ্যে বলছে। তা কোনক্রমেই ঠিক নয়।

কি করে শিশুর মাঝে সততা, সত্যবাদিতার মতো গুণগুলো তৈরি করতে পারেন.... সে বিষয়ে কিছু উপায় নিয়ে আসলাম যা আপনার কাজে লাগতে পারে.......

১। সত্য, মিথ্যে এবং কল্পনার পার্থক্য শিশুকে ধরিয়ে দেন। কাছের মানুষ হিসেবে আপনি খুব সহজেই তা ধরতে পারবেন এবং সুন্দরভাবে তাকে মিথ্যের খারাপ দিক বা সত্য বলায় সাহসী করে তুলেন। সবসময় সত্য বলার উৎসাহ দিন তা যতই অপ্রিয় হোক না কেন।

২। শিশুকে কখনো সরাসরি এ কথাটি বলবেন না যে “তুমি মিথ্যেবাদী”। শিশুদের কিন্তু মান অপমান বোধ অনেক বেশী, এতে করে সে অপমানিত বোধ করে জেদের বশে বারবার একই ভুল করতে পারে। তাকে খুব শান্তভাবে আদর করে বুঝিয়ে বলুন যে সে যা করছে তা ঠিক করছে না কিংবা তাকে সত্য বলার পরিবেশ তৈরি করে দিন যাতে সে নির্ভয়ে সত্য বলতে পারে।

৩। যখন আপনি জানতে বা বুঝতে পারেন যে আপনার সন্তান মিথ্যে কথা বলছে তখন কথা ঘুরিয়ে না বলে সরাসরি কথা বলুন। এক কথা বারবার জানতে চেয়ে কিংবা শিশুর সত্যি বলার পরেও তাকে বারবার জেরা করলে আপনার সন্তানের উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।

৪। শিশু কেন মিথ্যা বলছে তার কারন খুঁজে বের করার দায়িত্ব আপনারই। সে কি কারণে বা কোন ভয়ে মিথ্যা বলছে তা তার কাছ থেকে বন্ধু সুলভ ভাবে জেনে নিতে চেষ্টা করুন। তাকে অভয় দিন যে মিথ্যা বলার কারন বলে দিলে তার কোন রকম শাস্তি হবে না। এতে করে আপনিও জেনে নিতে পারবেন কি কারনে আপনার সন্তান মিথ্যা কথা বলছে এবং এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

৫। সত্য বলাকে সবসময়ই ভালো চোখে দেখুন, উৎসাহিত করুন। এতে শিশু মিথ্যা বলতে আগ্রহী হবে না। আদর ভালোবাসা প্রিয় হয় বলে সহজেই তাদের সত্য বলার দিকে আকৃষ্ট করা যেতে পারে। এছাড়া ও সত্য বলার জন্য পুরস্কৃত করুন। এতে সে উৎসাহিত হবে সত্য বলার জন্য। তবে অবশ্যই মিথ্যা বলার জন্য খুব ছোট হলে ও পানিশমেন্ট দিন (কথাটা খারাপ শুনালে ও)। যাতে সে অন্যায়টা ধরতে পারে। যেমন আমি আমার শিশুকে মিথ্যে বললে একটা খেলনা বা ঘুরতে যাওয়ার কমিটমেন্ট ক্যান্সেল করি। যাতে ভবিষ্যতে সে অপরাধ না করে।

৬। সন্তানকে বুঝিয়ে দিন মিথ্যা কখনো কাউকে কোন বিপদ থেকে বাঁচাতে পারেনা। বরং বড় কোন বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। তাই বারবার যখনই সুযোগ পান শিশুকে বিভিন্ন কৌশলে ব্যাপারটি বুঝিয়ে দিন। এ ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং খুবই দরকারী। মিথ্যেকে মিথ্যে বলা শিখবে।

৭। মিথ্যে ছোট আর বড় হোক তা মিথ্যেই থেকে যায়। ছোট ভুল ভেবে সন্তানের কোন রকমের মিথ্যাকেই প্রশ্রয় দেবেন না। এতে সে ভাববে মিথ্যা বলা এমন কোন দোষের কিছু নয় আর ভবিষ্যতে আরও বড় মিথ্যা বলতে সাহস পাবে।

৮। যথা সম্ভব সন্তানের সাথে মিথ্যে বলবেন না। এমন কি তার সামনে অন্য কারো কাছেই না। অনেকে মোবাইলে অবলিলায় মিথ্যে বলে শিশুর সামনে, তারা ভাবে শিশুরা হয়তো বুঝে না। সেটা খুবই ভুল ধারনা, শিশুদের অবজারবেশন পাওয়ার খুবই তীব্র, অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। তাই সবার আগে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিন। আপনার সত্য বলার অভ্যাস ও চর্চা কখনই বিফলে যাবে না। আমি আপনি যদি আমাদের সন্তানের দিকে এখনই নজর দিই তবে ওরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশকে কারন ওরাইতো আমাদের ভবিষ্যত।

সবাই অনেক অনেক ভালো থাকেন। শুভ ব্লগিং.............

বি:দ্র: লিখাটির আইডিয়া আমি ফেইসবুকের একটি লিখা থেকে পেয়েছি। যেহেতু লেখকের নাম ছিল না তাতে তাই নাম উল্লেখ করতে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
৩০টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×