ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর এবার কানাডা সরকারও তার নাগরিকদের সতর্ক করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে গোটা ইউরোপ সফরের ওপরই সতর্কতা জারি করেছে। ওবামা প্রশাসন বলেছে, আল-কায়েদা ইউরোপের পরিবহন অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে। এদিকে যুক্তরাজ্য সরকার তার নাগরিকদের জার্মানি ও ফ্রান্স ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য সরকার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতো মনে করে, ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
আল কায়দার হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের ইউরোপ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন কর্মকর্তা শনিবার একথা জানিয়েছেন। ইউরোপের বড় শহরগুলোতে যে কোনো সময় কমান্ডো কায়দায় আল কায়দার হামলা চালানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার হুমকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কতা জারির বিষয়টি যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাজ্যের এক কর্মকর্তা বলেন, মার্কিনীদের ভ্রমণ বিষয়ে সতর্কতা ইউরোপের কোনো নির্দিষ্ট দেশকে কেন্দ্র করে জারি করা হবে না। তাছাড়া ইউরোপ ভ্রমণের বিরোধিতাও সেখানে থাকবে না। সতর্কতামূলক নির্দেশনা জারি করা হবে একটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে। গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, পশ্চিমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মতো বন্দুকধারীদের দিয়ে ইউরোপের জনবহুল জায়গাগুলোতে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে আল কায়দার। গোয়েন্দা সূত্রমতে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপজুড়ে একযোগে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে আল কায়দার।
পাকিস্তানভিত্তিক আল কায়দার সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য গত সপ্তাহে গণমাধ্যমে চলে আসে। তখন নিরাপত্তা সূত্র থেকে জানা যায়, আল কায়দার সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে চালকবিহীন বিমানের সাহায্যে হামলা চালিয়েছে পশ্চিমা বাহিনী। এরই মধ্যে ইউরোপে বসবাসরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, জনবহুল এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার জন্য। এ সতর্কতারই অংশ হিসেবে ইউরোপে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হচ্ছে বলে জানান মার্কিন কর্মকর্তারা। কাউকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কিছু কিছু ব্যক্তির ওপর কড়া নজরদারি হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও আফগান বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক রয়েছে। তবে ভ্রমণে সতর্কতায় ইউরোপীয় পর্যটন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় পর্যটকরা তাদের ভ্রমণ বাতিল করতে পারে। এর আগে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ওসামা বিন লাদেনসহ আল কায়দার অনেক নেতা এই হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত।
এদিকে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলা রোধে সরকার সতর্ক হলেও দেশজুড়ে সতর্কতা জারির প্রয়োজনীয়তা তারা অনুভব করছেন না।
সূত্র-
www.thebengalitimes.com

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



