সুন্দর সকালটাই মাটি করে দিলো পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত একটি মন্দ সংবাদ, ‘রত্না-সাদিয়াও ব্যর্থ!’ যার অর্থ, ‘বুকভরা প্রত্যাশা পদদলিত হলো।’ দিল্লী কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলের লাগাতার পতনের মিছিলের শেষভাগে বাংলাদেশের দুই শ্যুটার রত্না-সাদিয়া মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দ্বৈত ইভেন্টে রেঞ্জে অন্তত উঠে দাঁড়াবেন, এমনটি প্রত্যাশা ছিলো দেশবাসীর। আর এই দুই ক্রীড়াবিদের সাফল্যের একটা সংবাদ শোনার জন্য আমরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম প্রবাসী বাঙ্গালীরা। কিন্তু সে আশাও মুখ থুবড়ে পড়লো! তাদের এহেন ব্যর্থতার সংবাদে ঢাকার একটি পত্রিকা শিরোনাম ব্যবহার করেছে, ‘২৮ মিনিটেই দর্শক শারমিন!’ বলুন, বিপুল প্রত্যাশার বেলুনটা কি এভাবে চূপষে যাওয়া সমীচিন? এবার দুই শ্যুটারের কৃতিত্বময়(!) ব্যর্থতার সেই সংবাদটার ওপর চোখ বুলানো যাক, ‘দিল্লির মেট্রো রেল চোখের পলকে আসে আর যায়। শারমিন আক্তার রত্না শ্যুটিং করেন এর চেয়েও দ্রুত। কতটা দ্রুত তা হিসেব করে দেখুন, মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ৪০ শটের জন্য সময় সর্বোচ্চ ৭৫ মিনিট। অথচ শারমিনের শ্যুটিং শেষ মাত্র ২৮ মিনিটে! এরপর তিনি দর্শক। তখনো বাকি ১৫ জনের অনেকে প্রথম গুলিই ছোড়েননি! এক বিচারক অবাক হয়ে শারমিনকে বললেন, ‘তোমার শেষ! অন্যরা দেখছি কেবল তৈরি হচ্ছে!
তবে এখানেই শেষ নয়, মাত্র নয় মিনিটেই নিজের ইভেন্টের মামলা ডিসমিস করে বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন আমাদের ফাইটার বক্সার সুরুজ বাঙ্গালী! কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিলো আয়ারল্যান্ডের প্যাট্রিক গ্যালাঘার, যে কিনা মাত্র ৯ মিনিটেই মুচড়ে দিয়েছে সুরুজ বাঙ্গালীর ঘাড়! এরপর সুরুজ বেচারী দাঁড়ানোর শক্তিটা পায়নি আর। আর দাঁড়াবেই বা কী করে বলুন, এর আগে সে খায়নি তো এমন মার! অবশ্য প্রথম রাউন্ডটা কোনো রকমে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন বীর বাঙ্গালি, এরপর শুরু গ্যালাঘারের পালা, তৃতীয় রাউন্ডেই সে সুরুজকে করে দিলো একেবারে সিলগালা; একই সাথে বাঙ্গালীর মুখে মেরে দিলো তালা!
বিস্তারিত পড়ুন
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



