somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববেদনা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে যতই জানছি-অবাক হচ্ছি। তিনি যে কেবলি বিশুদ্ধ কাব্যে নিমগ্ন ছিলেন না -তা আমরা কমবেশি জানি। প্রখর ছিল রবীন্দ্রনাথের
সমাজচেতনা, বিশ্ববেদনা। বর্তমানকালের ফিলিস্তিনিদের সমস্যা ও সঙ্কট রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবদ্দশাতেই উপলব্দি করেছিলেন। কিন্তু, আমরা কি জানি- এশিয়ায়, বিশেষ করে চিনে-ব্রিটেনের আফিম ব্যবসা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের অবস্থান কি ছিল? চিনে ব্রিটেনের আফিমব্যবসার খোঁজখবর নিতে বেরিয়ে এল রবীন্দ্রনাথের মানবিকতার অনন্য এক রুপ।

আমাদের ছেলেবেলায় ফেনসিডিল ছিল কশির অষুধ। মাঝারি সাইজের বাদামি রঙের শিশি। দু-তিন চামচ খেলে ক্ষাণিকবাদে কেমন ঘুম-ঘুম লাগত। আমি সেই ১৯৭৯/৮০ সালের কথা বলছি। সে সময় সর্দিকাশি হলে নিকটস্থ ফার্মেসি থেকে ফেনসিডিলের বোতল নিয়ে আসতেন আব্বা-লুকোছাপার কিছুই ছিল না। অথচ, আশির দশকের শেষের দিকে আমার চোখের সামনেই ফেনসিডিল দিব্যি হয়ে উঠল নেশাদ্রব্য। কী আর বলব- ছেলেবেলায় কাশি হলে যে সিরাপটি আখছার খেয়েছি সেটিই কি না এখন নিষিদ্ধ ড্রাগস্! আমি হাসব না কাঁদব?
দেশ ও কালের ফারাক থাকলে ইতিহাসে অনেক সময় অনেক ঘটনার মিল লক্ষ করেছি। যেমন চিনের সমাজের আফিমের ব্যবহার। তেরো শতকে আফিম জিনিসটা চিনে নিয়ে যায় আরব ব্যবসায়ীরা । তেরো থেকে ষোল শতক অবধি আফিম ছিল ডায়েরিয়ার অন্যতম প্রতিষেধক। কিন্তু, সপ্তদশ ও অস্টাদশ শতকে চিনেরা এটিকে নেশার জন্য সেবন করতে থাকে-যেমন বাংলাদেশে সত্তরের দশকের কাশির অষুধ ফেনসিডিল আশির দশকের শেষে হয়ে উঠেছিল নেশার উপকরণ! আফিমের সর্বগ্রাসী ধোঁওয়া ধীরে ধীরে অর্থব ও পঙ্গু করে তুলছিল চিনের সামাজিক জীবন। উপরতলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে চ্যাপ্টা নাসারন্ধ্র দিয়ে হলুদাভ মগজে শেঁক দেওয়া হত আফিমের ধোঁওয়া। আফিম আসক্তকে
গ্রাস করে ফেলত ধোঁওয়া-লুপ্ত হয়ে যেত তার মানসিক শক্তি ও স্বচ্ছ বিবেচনাবোধ। কেন? আফিম আসলে এক ধরনের নারকোটিক-যা অপিয়াম পপি নামে এক ধরনের ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা অপিয়াম পপির নাম দিয়েছেন: পাপাভের সমনিফেরাম। আফিমে ১২% মরফিন থাকে। আরও থাকে ‘অফিয়েট অ্যালকোলাইড’। হিরোইন প্রস্তুত করতেই এই অফিয়েট অ্যালকোলাইড অনিবার্য।



সপ্তদশ শতকে চিনে আফিম রপ্তানি হত ভারতবর্ষ ও তুরস্ক থেকে। রপ্তানি করত মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। আগেই বলেছি আমি-আফিমের সর্বগ্রাসী ধোঁওয়া ধীরে ধীরে অর্থব ও পঙ্গু করে তুলছিল চিনের সামাজিক জীবন। তাতে ব্রিটিশদের কী। ব্যবসা বলে কথা। লোভী ব্রিটিশদের নষ্টামির শেষ নাই। চিনে আফিম ব্যবসা সম্বন্ধে জনৈক ঐতিহাসিক লিখেছেন:By the 1830's, the English had become the major drug-trafficking criminal organization in the world; very few drug cartels of the twentieth century can even touch the England of the early nineteenth century in sheer size of criminality. Growing opium in India, the East India Company shipped tons of opium into Canton which it traded for Chinese manufactured goods and for tea. This trade had produced, quite literally, a country filled with drug addicts, as opium parlors proliferated all throughout China in the early part of the nineteenth century. This trafficing, it should be stressed, was a criminal activity after 1836, but the British traders generously bribed Canton officials in order to keep the opium traffic flowing. The effects on Chinese society were devestating. In fact, there are few periods in Chinese history that approach the early nineteenth century in terms of pure human misery and tragedy. In an effort to stem the tragedy, the imperial government made opium illegal in 1836 and began to aggressively close down the opium dens.
ভারতবর্ষের আফিমের একচেটিয়া অধিকার পেতে আরেকটি অন্যায়ে জড়াতে হয়েছিল ব্রিটিশদের। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলাকে সম্পূর্নত গ্রাস করে ব্রিটিশরা। বাংলার ব্রিটিশ গর্ভনর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস তারপর বিহারের রাজধানীর পাটনার আফিম সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেন। ( তা হলে সিন্ডিকেট তখনও ছিল?) এর পরপরই ১৭৭৩ সাল থেকে ভারতীয় আফিমের ওপর একচেটিয়া কর্তৃক লাভ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি- যা প্রায় পরবর্তী ৫০ বছর অক্ষুন্ন থাকে। সেই সময় চিনে আফিম রপ্তানি করতে থাকে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
১৮০০ সালে চিনের রাজকীয় সরকার নিষিদ্ধ করে। তা সত্ত্বেও আফিমব্যবসা চিনে হয়ে ওঠে অবাধ। চিনের নেশাক্তদের সংখ্যা যতই বাড়ছিল ততই লাভ বাড়ছিল ইউরোপীয়দের। ব্রিটিশদের পাশাপাশি ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরাও জড়িয়েছিল আফিম ব্যবসায়।



১৮০০ খ্রিস্টাব্দের শেষে চিনের আয়তন ছিল ৪ মিলিয়ন স্কোয়ার মাইল এবং চিনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন। মাঞ্চুরা ১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে চৈনিক মিং রাজবংশকে পরাজিত করেছিল। তারপর থেকেই চিন শাসন করত মাঞ্চুরিয়ার চিং রাজবংশ। জাতে তাতার ছিল মাঞ্চুরা। তবে তারা চৈনিক সভ্যতাকে শ্রদ্ধা করত। যে কারণে তারা তাদের চিনা প্রজাদের প্রতি ছিল সহনশীল। চিনেদের সঙ্গে মিশে যাওয়া রোধ করবে বলে চিনাদের বিয়ে করত না মাঞ্চুরা; এভাবে রক্তের পার্থক্য বজায় রাখত মাঞ্চুরা। তবে আঠারো শতকের শেষে চিনে রীতিনীতিকে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল মাঞ্চুরা। সর্বশ্রেণির চিনার আফিম সেবনে চিনা সমাজে অবক্ষয়ের কথা আগেই বলেছি। সেজন্যই একজন চিং রাজা অস্টাদশ শতকের মাঝামাঝি আফিম নিষিদ্ধ করেছিল। পরে আবার ১৮০০ শতকে আফিমের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়।The government in Peking noted that the foreigners seemed intent on dragging down the Chinese through the encouragement of opium addiction.
আগেই বলেছি-আফিমের সর্বগ্রাসী ধোঁওয়া ধীরে ধীরে অর্থব ও পঙ্গু করে তুলছিল চিনের সামাজিক জীবন। তাতে ব্রিটিশদের কী। ব্যবসা বলে কথা। মাঞ্চুরা আফিমের ছোবল থেকে চিনকে রক্ষা করার জন্য এমন কী ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। ইতিহাসে এটিই প্রথম আফিম যুদ্ধ (১৮৩৯ থেকে ১৮৪২) নামে পরিচিত। যুদ্ধে ব্রিটিশদের দক্ষতা ফুটে উঠেছিল। ব্রিটিশ জাহাজগুলি ছিল পাল ও ষ্টিম ইঞ্জিনের সমন্বয়ে তৈরি; একটা জাহাজের নাম ছিল: ‘নেমেসিস।’ নেমেসিসে বসানো ছিল শক্তিশালী কামান। তাছাড়া ব্রিটিশ সৈন্যদের ছিল আধুনিক মাসকেট । তারা দক্ষিণ চিন সমুদ্রের উপকূলবর্তী শহরগুলো তছনছ করে; ক্যান্টন দখল করে। এমন কী তারা ইয়াংজি নদীর অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করে। সাধারণত জলপথেই মাঞ্চুদের রাজকীয় কর বোঝাই বার্জগুলি পিকিং পৌঁছতো। ব্রিটিশরা অস্ত্রবলে বার্জগুলো দখল করে নেয়। মাঞ্চুদের চিনে রাজ্যটি টলে ওঠে।
১৮৪২ সালে মাঞ্চুরা ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে বাধ্য হয়। চুক্তির নাম: নানজিং চুক্তি। ব্রিটিশরা অযাচিতভাবে মাঞ্চুদের কাছ থেকে বিরাট অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায় করে নেয়। চুক্তিনুযায়ী চিনের নৌবন্দরগুলি আফিম ব্যবসার জন্য ইউরোপীয়দের জন্য খুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়- ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়াকে দিয়ে দেওয়া হয় হংকং ।
দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ চলে ১৮৫৬ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ অবধি। দুঃখজনকভাবে, দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধেও মাঞ্চুশাসিত চিন পরাজিত হয়। ব্রিটিশরা মাঞ্চু রাজবংশের সঙ্গে আরেকটি অসম চুক্তি করে। চিনের বাজার আফিমের জন্য অবাধ হয়ে পড়ে।



রবীন্দ্রনাথ এসবই কমবেশি জানতেন ।
তা ছাড়া আফিম ব্যবসা ও আফিম যুদ্ধ নিয়ে উনিশ শতকে প্রচুর বই লেখা হয়েছিল। সম্প্রতি ইংরেজিতে লেখা একটি রবীন্দ্রজীবনী পড়ে জানতে পারলাম-আফিমবানিজ্য নিয়ে তেমনি একটি বই পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তবে বইটি জার্মান ভাষায় লেখা ছিল- রবীন্দ্রনাথ অবশ্য বইটির ইংরেজি অনুবাদটিই পাঠ করেছিলেন। সময়টা ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ। রবীন্দ্রনাথ বইটির ওপর আলোচনা করে লিখলেন ‘দ্য ডেথ ট্রাফিক’ নামে একটি প্রবন্ধ। প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘বানিজ্যিক লোভে গোটা চিনা জাতিকে ব্রিটেন বাধ্য করেছে আফিম-বিষ সেবন করতে। চিন বলছে: আমার আর আফিম দরকার নেই। ব্রিটিশ বেনিয়ারা বলছে- তোমার আফিমের দরকার আছে।’ এরপর রবীন্দ্রনাথ একজন ইংরেজের কথা বলেছেন, যিনি সশরীরে ক্যান্টনের একটি আফিম ডেরায় গিয়েছিল। ইংরেজটি সেখানে কয়েকজন চিনাকে আফিম সেবনরত অবস্থায় দেখতে পান। একজন চিনা আফিম সেবনকারী বলল,‘ আমার আয়ের ৮০ ভাগই চলে যায় আফিম কিনতে।’
ক্ষাণিকবাদে ইংরেজটি নিজের পরিচয় দিয়ে বলল- ‘আমি ইংল্যান্ড থেকে এসেছি।’
চিনা লোকটি তখন খেদের সুরে বলল, ‘রানী ভিক্টোরিয়া কেমন মানুষ বলুন তো? আমরা তার দেশে ভালো সিল্ক আর উন্নতমানের চা পাঠাই। আর তিনি কিনা আফিম পাঠিয়ে আমাদের খুন করছেন!’
এরপর রবীন্দ্রনাথ মন্তব্য করেছেন: ব্রিটেন সম্বন্ধে চিনের সাধারণ জনগনের ধারনা এমনই তিক্ত ছিল ।
তিনি ‘দ্য ডেথ ট্রাফিক’ প্রবন্ধে ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক নীতির তীব্র সমালোচনা করেন একই সঙ্গে চিনের জনগনের জন্য গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন-যা একজন স্পর্শকাতর কবির জন্য মানানসই।
কিন্তু, রবীন্দ্রনাথ কেবল এটুকু করলেই আমি এ লেখার অবতারনা করতাম না। কেননা, সত্য ও সুন্দরের পূজারি রবীন্দ্রনাথের প্রতিক্রিয়া হয়েছিল আরও গভীর। ঐ বছরই অর্থাৎ ১৮৮১ সালের এপ্রিল মাসে রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। সে উদ্দেশে মাদ্রাজ অবধি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তার পরও ইংল্যান্ড যাননি রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্র গবেষকগন সবাই একমত যে-ব্রিটেনের আফিম ব্যবসা সম্বন্ধে সম্যক অবহিত হয়ে ব্রিটেনের প্রতি বৈরী মনোভাব গড়ে ওঠার কারণেই রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন।
এমনই প্রখর ছিল রবীন্দ্রনাথের বিশ্বমানবতাবোধ!
বিশ্ববেদনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৩১
৮টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×