প্রাচীন ব্যাবিলন নগর।

ব্যাবিলন নগরের অবস্থান ছিল প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়
এককালের জমজমাট রমরমা নগরটির এখনকার অবস্থা এখন এরকম। পরিত্যক্ত। ট্যুরিস্ট ও প্রত্নবিদ অধ্যুষিত।ব্যাবিলন ছিল প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার নগর-রাষ্ট্র। প্রাচীন ব্যাবিলনিয়া সাম্রাজ্যের রাজধানী। বাগদাদের ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বাবিল প্রদেশের আল হিললা- প্রাচীন ব্যাবিলন নগরটি ছিল সেখানেই; ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেতিস নদীর মাঝখানে।
ব্যাবিলন শব্দটি এসেছে আক্কাদিয় ভাষার বাবিলু থেকে। বাবিলু মনে ঈশ্বরের দরজা।হিব্রুভাষায় বাবেল।এর মানে কনফিউশন।প্রথমে ছোট নগর ছিল ব্যাবিলন।পরে খ্রিস্টপূর্ব ৩য় সহস্রাব্দের দিকে ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করতে থাকে। ওই সময়েই গড়ে উঠতে থাকে প্রাচীন মেসোপটেমিয় রাজবংশগুলি। ২৩০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে ব্যাবিলন হয়ে ওঠে পবিত্র নগরী। হাম্মুরাবি ছিলেন ব্যাবিলনিয় সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা। তাঁর রচিত আইন বিশ্বসভ্যতার আইনের ভিত্তি।
সেকালের মহিমা। ব্যাবিলনের ইশতার গেট।
সেকালের সৌন্দর্য।
ব্যাবিলন নগরের প্রধান আকর্ষন ছিল ঝুলন্ত বাগান- বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি। কলদিয় রাজ ২য় নেবুচাদনেজার ঝুলন্ত বাগান নির্মান করেন । তাঁর সময়কাল: ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব।
অসুস্থ্য স্ত্রীর বিনোদনের জন্য ২য় নেবুচাদনেজার ঝুলন্ত বাগান নির্মাণ করেছিলেন।
ঝুলন্ত বাগানের প্রাচীন ছবি
ব্যাবিলন নগরের আরেকটি আকর্ষন ছিল টাওয়ার অভ বাবেল।
উপকথামতে প্রাচীন সুমেরিয় সভ্যতার মানুষ টাওয়ারটি তৈরি করেছিল স্বর্গ ছোঁওয়ার জন্য।






সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




