কৌশিকী চক্রবর্তী । আমাদেরই এক বাঙালি মেয়ে- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে কী অসাধারন দখল- সেটি জানাতেই এই পোষ্ট। কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম কলকাতায় ১৯৮০ সালে। বাবা অজয় চক্রবর্তী ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের বিরাট পন্ডিত ব্যক্তি। আমাদের জন্য গৌরবের সংবাদ এই যে অজয় চক্রবর্তীর পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি এই বাংলাদেশই ছিল। এই জন্যই এখান থেকে যখনই কৌশিকী চক্রবর্তীর নামধান শুনি তখন মনে মনে বলি আরে এতো আমাদের বাংলাদেশেরই মেয়ে ...
মাত্র দু’বছর বয়েসেই নাকি শিশু কৌশিকী সংগীতের তালে তালে নাচত। ৭ বছর বয়েসে পন্ডিত জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ এর একাডেমি ভর্তি হয় বালিকা কৌশিকী। সেখানেই ভারতীয় ধ্রƒপদী সংগীতে হাড়েখড়ি। ভুল বললাম, হাড়েখড়ি তার আগেই বাবার কাছে হয়েছে। পরে অবশ্য আইটিসি সংগীত রিসার্চ একাডেমি তো যোগ দেন।
পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। গুনবতী কন্যার ধন্যি পিতা। সারা ভারতবর্ষের সংগীতমহলে কৌশিকী চক্রবর্তীর জয়জয়াকার। গর্বিত বাবার বুক নিশ্চয়ই স্ফীফ হয়ে ওঠে আনন্দে ...
কৌশিকী চক্রবর্তী কেবল বড় গাইয়ে নন, ২০০২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে প্রথম শ্রেনিতে স্নাতক হয়েছেন।
কৌশিকী ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সসহ কলকাতার অনেক গানের আসরে শ্রোতাদের গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেছেন। তা ছাড়া আইটিসি সংগীত সম্মেলনে নিয়মিত গান। বিদেশে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসন্ত উৎসব ও লস এঞ্জেলেসে পরম্পরা প্রোগ্রাম করেছেন। পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে ১৯৯৫ সালে যদু ভট্ট পুরস্কার; ২০০০ সালে আউটস্ট্যাডিং ইয়াং পারসন এ্যাওয়ার্ড; ২০০৫ সালে বিবিসি পুরস্কার।
এখন অবশ্য কৌশিকী চক্রবর্তীর নাম কৌশিকী দেশিকান। স্বামী পার্থ দেশিকান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:০৭