somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প কিংবা গল্পের ব্যাখ্যা: শিকড়

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১০২৫ খ্রিস্টাব্দের বর্ষাকাল। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। সোমপুর বিহারটি নির্জন হইয়া আছে। অবশ্য বিহারের পার্শ্ববতী আম্রকুঞ্জের ঝিঁঝি-র ডাক উত্থিত হইয়া সে নির্জনতা খান খান করিয়া ভাঙিয়া দিতেছে। বঙ্গের পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত সোমপুর নামক বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শত সহস্র বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং অধ্যক্ষের বাস। ভারতবর্ষের নানা স্থান হইতে ছাত্ররা বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ করিতে সোমপুর বিহারে আসে। স¤প্রতি অতীশ দীপঙ্কর সোমপুর বিহারের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হইয়াছেন। তাঁহার বয়স বর্তমানে ৪৫ বৎসর। পন্ডিত হিসাবে তাঁহার জ্ঞানের সুখ্যাতি ইতোমধ্যেই সর্বত্র ছড়াইয়া পরিয়াছে। বঙ্গের বিক্রমপুর নামক স্থানে তাঁহার জন্ম। বিহারের ছাত্রদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় অতীশ দীপঙ্কর ।
বিহারের একটি নির্জন প্রকোষ্টে প্রদীপের আলো জ্বলিতেছিল। আসনের উপর বসিয়া অতীশ একখানা গ্রন্থের পান্ডুলিপি রচনা করিতেছেন । সে গ্রন্থের নাম ‘বুদ্ধের অন্তিম জীবন।’ অতীশ-এর এক প্রিয় শিষ্য সুমিত গ্রন্থখানা রচনা করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছে। সুমিত এর উপদেশ উপেক্ষা করা যায় না। তাহার কারণ আছে। সুমিত পূর্বজীবনে তস্কর ছিল, অতীশের সংস্পর্শে আসিয়া সাধু হইয়াছে। সুমিত এর পূর্বের নাম ছিল শল্য ; সে তাম্রলিপ্তি নগরের আশেপাশে তস্করবৃত্তি করিয়া বেড়াইত। তাম্রলিপ্তি নগর হইতে পাহাড়পুর আসিবার পথে কর্ণসুবর্ণের নিকটে শল্য আক্রমন করিতে উদ্যত হইলে অতীশ তাঁহার অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব দ্বারা তস্কর শল্যকে নিবৃত্ত করিয়া শান্তিময় ধর্মজীবনের পথে লইয়া আসেন। পরবর্তীতে শল্যকে দীক্ষা দিয়া নাম পরিবর্তন করিয়া দেন এবং বুদ্ধের জীবনী ও দর্শন সম্বন্ধে সুমিতকে অবহিত করেন। দিন কয়েক আগে সুমিত বলিতেছিল, মহামতি বুদ্ধের অন্তিম জীবনে শিক্ষণীয় অনেক বিষয় রহিয়াছে। আপনি এ বিষয়ে কিছু লিখুন না। সুমিত এর উপদেশ উপেক্ষা করা যায় না। অতীশ বুদ্ধের অন্তিম জীবন সম্বন্ধে লিখিবেন সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলেন।
অতীশ গ্রন্থের ভূমিকাস্বরূপ লিখিতেছেন, ...‘ এইবার বলিব বুদ্ধ কেন মহৎ। বুদ্ধ কি এই জন্যেই মহৎ যে তিনি প্রাচীন জনসমাজে নৈতিক সুবচন প্রচার করিয়াছেন? জনসমাজে নৈতিক সুবচন প্রচার কি এমন দুরূহ কার্য? আমাদের মধ্যে অনেকেই ইহা পারিবে। বুদ্ধের জীবনে কি এমন কোনও মহৎ ঘটনা নাই-যাহা মানবিকতার স্বার্থে তাহার পবিত্র দেহকে বিদীর্ণ করিয়াছিল। বুদ্ধের জীবনের অন্তিম লগ্নে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটিয়াছিল। বুদ্ধের তখন আশি বৎসর বয়স। তৎকালে মগধে (প্রাচীন ভারতবর্ষের এক রাজ্যের নাম) চন্দ নামক এক ব্যক্তি বাস করিত। নিুবর্গীয় চন্দ ছিল অচ্ছুত । সে বুদ্ধকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিল । চন্দ সমাজের নিুবর্গ বলিয়া সতীর্থগন তাঁহাকে বারণ করিলেও বুদ্ধ সে নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়াছিল। চন্দ বুদ্ধকে ‘শূকরমদ্দপ’ নামক অখাদ্য খাইতে দেয়। সেই অখ্যাদ্য বস্তু খাইয়া বুদ্ধ অসুস্থ হইয়া পড়িলেন, আর সুস্থ হইলেন না। ইহাতে বুদ্ধ চন্দকে দোষারোপ করেন নাই। বরং তিনি মৃত্যু শয্যায় বলিলেন, জীবনে আমি দুই বার খাইয়া তৃপ্তি পাইয়াছি। প্রথমবার সুজাতার পায়স; দ্বিতীয়বার, চন্দের শূকরমদ্দপ ...তাই বলিতেছিলাম- বুদ্ধ কি এই জন্যেই মহৎ যে তিনি প্রাচীন জনসমাজে নৈতিক সুবচন প্রচার করিয়াছেন? বুদ্ধ চন্ডাল চন্দর নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া আসন্ন মৃত্যুকে বাছিয়া লইয়া ছিলেন বলিয়াই মহৎ...
দূর হইতে কোলাহল ভাসিয়া আসিল। অতীশের ভ্র“ যুগল কুঞ্চিত হইয়া উঠিল। কার্ণ্যসৈন্য ধরা পড়িল কি?
কার্ণ্যসৈন্যরা বাংলা আক্রমন করিয়াছে। পাল সৈন্যরা তাহাদের প্রতিরোধ করিতেছে। বাংলায় পালদের শাসন চলিতেছে। পালেরা শুধু বাংলা নয়-উড়িষ্যা এবং মগধেও আধিপত্য বিস্তার করিয়া আছে। পাল রাজার নাম নয় পাল। তাঁহারই রাজত্বে একটি দুর্যোগ ঘনাইয়া আসিয়াছে। কার্ণ্যসৈন্যরা বাংলায় প্রবেশ করিয়া যত্রতত্র আক্রমন করিতেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালাইয়া দিতেছে, এমন কী বৌদ্ধ মঠ আক্রমন করিয়া ধ্বংস করিতেছে, নিরপরাধ বৌদ্ধদের হত্যা করিতেছে। কার্ণ্যরা বৌদ্ধবিরোধী। তাহাদের বৌদ্ধরা ঘৃনা করিলেও অতীশ অহিংস বলিয়া কাহারও বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষন করেন না। বরং তিনি বড় উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিয়াছেন। শান্তির জন্য ঘন ঘন প্রার্থনা করিতেছেন। জগতের সকল প্রাণি সুখি হোক। যাহা হউক। যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত নয়পাল জয়ী হইয়াছেন। পরাজিত কার্ণ্যসৈন্যরা যত্রতত্র পালাইতেছে। গ্রামবাসীরা তাহাদের হত্যা করিতেছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধরিয়া বন্দি করিয়া পাল সৈন্যদের নিকটে তুলিয়া দিতেছে।
ভিক্ষু সুমিত কক্ষে প্রবেশ করিল। অতীশের ভাবনায় ছেদ পড়িল। ভিক্ষু সুমিতকে উত্তেজিত দেখাইতেছিল। সুমিত বলিল, অধ্যক্ষ, বিহারের আমবাগানে কয়েকজন কার্ণ্যসৈন্য ধরা পড়িয়াছে।
তাহারা কোথায়? অতীশকে বিচলিত দেখাইল।
বিহারের অভ্যন্তরে একটি কক্ষে তাহাদের আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে।
অতীশ উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিলেন, চল তো দেখি।
অতীশ সুমিতকে লইয়া ইস্টক নির্মিত ঢাকা-দেওয়া একটি সরু গলিপথ পাড় হইয়া একটি কক্ষের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। দরাজার সামনে দুই জন ভিক্ষু দাঁড়াইয়া, তাহাদের ঈষৎ উত্তেজিত মনে হইল। অতীশকে দেখিয়া ততস্থ হইয়া গেল।
অতীশ কক্ষের ভিতরের প্রবেশ করিলেন। মাঝারি আকারের কক্ষ। মশাল জ্বলিতেছিল। মেঝের উপর কয়েক জন যুবক বিধ্বস্ত ভঙিতে বসিয়া আছে। তাহাদের হাত পা বাঁধা। তাহাদের পরনে ছিন্নবস্ত্র, তাহাদের চেহারা মলিন।
অতীশ দীর্ঘশ্বাস ফেলিলেন। ইহারা কার্ণ্যসৈন্য, বাংলা আক্রমন করিতে আসিয়াছে। কিন্তু, ইহাদের কিই-বা দোষ। হয়তো ইহারা কর্মহীন ছিল, কর্মহীনতার গ্লানী ঘুচাইতে সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়াছে। ইহারা গৃহী, ইহাদেরও ঘরসংসার আছে। ইহারা যুদ্ধবাদী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছে। এখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে। ইহাদের কিই-বা দোষ। পাল সৈন্যরা ইহাদের নিশ্চিত বর্শা দ্বারা খোঁচাইয়া খোঁচাইয়া হত্যা করিবে। তাহা কি প্রাণিহত্যা হইবে না?
অতীশ শিহরিয়া উঠিলেন।
সুমিত বলিল, ভিক্ষু সর্বানন্দ নিকটবর্তী সেনাছাউনিতে গিয়াছে। আশা করা যায়, কাল প্রভাতে পালসৈন্যরা আসিয়া ইহাদের লইয়া যাইবে।
অতীশ গম্ভীর কন্ঠে বলিলেন, তাহার পূর্বেই ইহাদের মুক্ত করিয়া দাও।
কক্ষে যেন বজ্রপাত হইল। আচার্য আপনি কি বলিলেন! সুমিত স্থানকালপাত্র বিস্মৃত হইয়া চিৎকার করিয়া উঠিল।
অতীশ পুনরায় গম্ভীর কন্ঠে বলিলেন, বলিলাম পাল সৈন্যরা আসিবার পূর্বেই ইহাদের মুক্ত করিয়া দাও।
সুমিত প্রতিবাদ করিল, আচার্য! ইহারা খুনি!
জানি সুমিত।
সুমিত উচ্চকন্ঠে বলিল, ইহারা কেবল নিরপরাধ বঙ্গবাসীদের হত্যা করে নাই, শান্তিবাদী বৌদ্ধ সৈন্যদেরও হত্যা করিয়াছে। ইহাদের ছাড়িয়া দিলে অন্যায় হইবে, পাপ হইবে।
অতীশ গম্ভীর হইয়া যান। বঙ্গ জুড়িয়া কার্ণ্য সৈন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাজ করিতেছে। তাহার কারণ সহজেই অনুমান করা যায়। আক্রমকারী কার্ণ্য সৈন্যরা নির্বিচারে বঙ্গদেশে লুন্ঠন ও হত্যাযজ্ঞ চালাইয়াছে। সাধারণ মানুষ কার্ণ্য সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু ভিক্ষু সুমিত তো সাধারণ মানুষ নয়, সে অহিংস ধর্ম গ্রহন করিয়াছে। সে সাধারণের ন্যায় আচরণ করিতেছে কেন?
কক্ষে আরও কয়েকজন ভিক্ষু আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহাদের একজন চন্দ্রকান্ত। মধ্যবয়েসি এই মিতভাষী ভিক্ষুটি অতীশকে অপরিসীম শ্রদ্ধা করে। অতীশ চন্দ্রকান্তর দিকে তাকাইয়া বলিলেন, চন্দ্রকান্ত।
অধ্যক্ষ।
কার্ণ্যসৈন্যদের মস্তক মুন্ডিত করাইয়া স্নান করিতে বল। স্নান শেষ হইলে তাহাদের ভিক্ষদের চীবর পরাইয়া দাও।
এই চমকপ্রদ শুনিয়া চন্দ্রকান্ত চুপ করিয়া থাকিল।
অতীশ বলিলেন, তাহার পর ইহাদের খাওয়াইয়া অতি সত্বর যাত্রা কর।
যাত্রা করিব? কোথায়? ভিক্ষু চন্দ্রকান্ত কে কেমন বিভ্রান্ত দেখাইল।
অতীশ বলিলেন, কার্ণ্য রাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করিবে। ইহাদের নিজ নিজ গৃহে পৌঁছাইয়া দিবে। তুমি তোমার সঙ্গে আরও কয়েকজন ভিক্ষুকে সঙ্গে লও চন্দ্রকান্ত, যেন পাল সৈন্যরা মনে করে ভিক্ষুরা তীর্থযাত্রায় বাহির হইয়াছে।
সুমিত বলিল, অধক্ষ্য! তাহার কন্ঠে অস্থিরতা প্রকট।
বল কি বলিবে? অতীশ তাহার মুখের পানে তাকাইলেন।
আপনি হত্যাকারীদের মুক্তির আদেশ ফিরাইয়া নিন।
না।
তাহা হইলে আমি বৌদ্ধধর্ম পরিত্যাগ করিয়া পূর্বকার তস্করজীবনে ফিরিয়া যাইব।
অতীশ বলিলেন, তাহা তুমি করিতে পার বটে, তবে আমি তোমার সিদ্ধান্তকে পূর্নবিবেচনা করিতে বলিব ।
সুমিত উত্তর না দিয়া দ্রুত পদক্ষেপে কক্ষ ত্যাগ করিল।
অতীশ পূর্বের ন্যায় প্রশান্তই রহিলেন।

...অতীশ দীপঙ্করের জীবনের এই অপার মানবিক পর্বটি লেখার সময় লেখক বিস্মিত হয়ে যেতে থাকে। তার পল্লীকবি জসীমউদ্দীন-এর একটি কবিতার কথা মনে পড়ে যায়। সে কবিতার নাম ‘প্রতিদান’। কবিতাটি পাঠ করা যাক-

আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।
যে মোরে করিল পথের বিবাগী;-
পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;
দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হয়েছে মোর;
আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর,

আমার এ কূল ভাঙিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি,
যে গেছে বুকে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি;
সে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ,
আমি দেই তারে বুক ভরা গান;
কাঁটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর,-
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে আমি তার বুক ভরি
রঙিন ফুলের সোহাগ-জড়ানো ফুল-মালঞ্চ ধরি
যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বাণী,
আমি লয়ে সখি, তারি মুখখানি,
কত ঠাঁই হতে কত কি যে আনি, সাজাই নিরন্তর
আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

ভাবলে অবাক হয়ে যেতে হয়, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং অতীশ দীপঙ্কর এর সময়কালের ব্যবধান প্রায় ১০০০ বছরের - অথচ পল্লীকবির কবিতায় যেন অতীশের গভীর মানবিক ভাবনার অনিবার্য প্রতিফলন পড়েছে। একাদশ শতকে অতীশ দীপঙ্কর অভূতপূর্ব এক সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি খুনি কার্ণ্যসৈন্যদের মুক্ত করে দিলেন।
কি এর কারণ?
আমরা বলি আবহমান বাংলা । আবহমান বাংলা কি কেবলই বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্যের পরিচায়ক? যেখানে নীলাভ নদীপাড়ের হিজলতমাল বন আবহমান কাল ধরে স্থির। নাকি আবহমান বাংলা বাংলার জনগনের স্পর্শকাতর মনোভাবের প্রকাশ? পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর কবিতা এবং অতীশের অভাবনীয় সিদ্ধান্ত - এই দুইটি বিষয় যে কোনও বিচারেই মানবিক এবং নজীরবিহীন ...এই প্রসঙ্গে বুদ্ধের কথাও মনে পড়ে যায়। বুদ্ধ তাঁর জীবন বিপন্ন জেনেও চন্দ নামক এক চন্ডালের গৃহে আহার করেছিলেন- যে বুদ্ধ বাঙালির প্রথম শিক্ষক। তাঁর বাণী, আমরা প্রত্যেকেই অবগত আছি যে, অপার মানবিক। বুদ্ধ ২৫০০ বৎসর পূর্বে বাংলার প্রাচীন কৃষিসমাজে তাঁর মানবিক ধর্মের বাণী প্রচার করেছিলেন। যে বাণীর সারকথা একাদশ শতকের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের মননে জাড়িত হয়ে কুড়ি শতকের পল্লীকবি জসীমউদ্দীন-এর কবিতায় ঠাঁই নিয়েছে।
আবহমান বাংলার শিকড়টি যেন স্পস্ট হয়ে উঠছে ...
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×