ঘটনাটি ব্যক্তিগত, ব্যক্তিগত ঘটনা কি ব্লগে ডিসক্লোস করা উচিত? না এটা শোভন নয় এবং সম্ভবও নয়। তাহলে ব্লগের অভিজ্ঞতা দিয়েই ঘটনাটি শেয়ার করি।
ব্লগ ও ব্লগারদের মধ্যে একটি বড় অংশ তাদের আইডিওলজি অনুসারে বিভিন্ন গোত্র ও দলে বিভক্ত। ঘৃণ্য ছাগু, ভাদা, পাদা থেকে শুরু করে আম্বি বিম্পি আস্তিক নাস্তিক পাবলিক প্রাইভেট বিভিন্ন গোত্র। এখন বলেনতো আমি কোন গোত্রের লোক? উত্তরঃ সব গোত্রের।
এই ট্যাগ কারা দিল? উত্তরঃ সবসময় যাদের সাথে অমত হয় সেই অপজিট পার্টি।কিন্তু কেন? উত্তরঃ পরে দিচ্ছি, আগে অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।
ব্লগে যখনই কোন পোস্ট আসে, আমি আমার নীতি, নৈতিকতা বিবেক, ধর্মিয় ও সামাজিক শিক্ষা ব্যবহার করে কমেন্ট করি। আমি কোন দলের বা গোত্রের হালুয়া রুটির ভাগীদার নই,
আমার কাছে নীতিই আসল। তাই সত্যকে সত্য বলি, অন্যায়কে অন্যায় বলি, ন্যায়কে আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করি। যেমন, ব্লগে যখনই কেউ ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছাগুগিরি করে,আমি তাদের বিরুদ্ধচারন করি। তখন ছাগুরা আমাকে টার্গেটে রাখে, ট্যাগ দেয়। এতে করে অনেক নাস্তিক ও ভাদা প্রথমে খুশি হলেও
পরের দিন যখন আমি ভাদাদের বিরুদ্ধে যাই, ইসলামের এগেইন্সটে পোস্ট দেওয়ার কারনে নাস্তিকদের বিরুদ্ধচারন করি তখন তারাও আমাকে টার্গেটে রাখে, ট্যাগ দেয়। এমতাবস্থায় আমি যখন এমন পোস্ট দেই যা ছাগু নাস্তিক ভাদাদের সবার লুঙ্গি খুলে দেয়, আমি তখন একযোগে সবার শত্রুতে পরিণত হই।
বাস্তব অবস্থা হচ্ছে এই, যখন কেউ অন্যায় করে আমি তার বিরুদ্ধে বলি, এতে দশজনের মধ্য পাঁচজন আমার প্রতি অস্বন্তুস্ট হয়, বিরুদ্ধচারন করে, কিন্তু অপর পাঁচজন আমাকে সংগ দেয়, আমার পক্ষাবলম্বন করে। পরের দিন যখন ঐ সংগ দেওয়া পাঁচজনের কেউ অন্যায় করে আমি তখনো তাদের বিরুদ্ধে বলি, এতে করে নতুন ৩ জন আমার শত্রুতে পরিণত হয়।
এর ফলাফলটা ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায় যখন দেখি আমার পূর্বের শত্রুরা এক হয়ে বিশাল এক সৈন্যবাহিনী হয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েকদিন পর দেখা যায় আমি একা, আমার শত্রুর সংখ্যা এখন ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই।( ধরে নিলাম এখনো একজন মানুষ থাকতে পারে যে সত্যি সত্যি ন্যায়ের পথকে বেছে নেয়, ব্যক্তি প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বা অন্য কোন ব্যক্তিকে নয়)
প্রতিক্রিয়াঃ এর ফলে যা হয় আমি ক্লান্ত বোধ করি, কখনো কখনো উদ্যম ও উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। মাঝে মাঝে দশ চক্রে ভগবান ভুত হয়ে নিজেকেই অপরাধী ভাবা শুরু করি। ক্লান্তি হতদ্যোম অবস্থায় অনেক সময় নীতিকে ত্যাগের শায়তানি ইচ্ছা জেগে উঠে। কেননা নীতি, নৈতিকতার কোন দাম বা পুরস্কার এই নোংরা পৃথিবীতে খুঁজে না পেলেও নীতিহীনদের জন্য দেখতে পাই স্বর্গিয় সুখের হাতছানি ।
ভবিষ্যৎ পরিণতিঃ
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার আপনার নীতি আদর্শই হয়ে উঠবে আপনার চারপাশের কাছের মানুষদের মন জুগিয়ে চলার অন্তরায়, তাদের কাছে হয়ে উঠবেন আপনি একজন হাস্যকর, বিরক্তিকর, আকর্ষনহীন ব্যর্থ ক্ষতিকর একজন ব্যক্তি।
আর এর ষোল কলার পূর্তি হবে হবে তখনই যখন আপনার সবচেয়ে আপন ও নিকটবর্তি মানুষই, কোন একদিন আপনাকে নৈতিক সমর্থনের পুরস্কার স্বরূপ সম্পুর্ন বেআইনি ও নীতিহিন কাজের সমর্থন চাইবে।
স্বীদ্ধান্তের বল এখন আপনার কোর্টে। কি হবেন? তাকে অনৈতিক সমর্থন দিয়ে হিরো নাকি এবারো নীতিকে আকরে ধরে পরিণত হবেন একজন এন্টিহিরোতে?
আমি কিন্তু নীতিকে আঁকড়ে ধরেছি, আঁকড়ে থাকবো, আর তাই আমি একজন এ্যান্টিহিরো, আমি এক ওয়ান ম্যান আর্মি।
(পোস্টের শিরোনাম ব্লগার টিনটিন ভাইয়ের একটি পোস্ট থেকে বিনা অনুমতিতে ক্ষমাপ্রার্থনামূলক ভাবে কপি করা)