সম্পর্ক কথাটা দেখেই অনেকেই ভাবছেন এই লিখাটা প্রেম বিষয়ক। হুম, ঠিকই ধরেছেন, লিখাটি প্রেম, ভালোবাসার সম্পর্ক নিয়েই। মা বাবার ভালোবাসা এতটাই শক্ত ও গভীর যে, তা ঠিক রাখার জন্য আলদা ভাবে বল প্রয়োগ করা লাগে না, তাই প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেম, ভালোবাসা নিয়েই বলছি। আমার এই ছোট্ট জীবনের পারিপার্শ্বিকতার অভিজ্ঞতা থেকে নিয়ে এ লিখাটি :
আজকালকার দিনের ৯০% স্কুল জীবনের প্রেম টিকে থাকে না। কলেজের কথাও মোটামোটি একই রকম। ভার্সিটি জীবনের প্রেমই ভুমিকা রাখে বেশী। এক্ষেত্রে প্রথম প্রেমের মোহ না থাকলেও ২জন মানসিকভাবে পরিপক্ব মানুষের ভালোবাসার সম্পর্ক টিকে থাকবে, এটাই নিয়ম। [বিঃদ্রঃ এখানে ভালোবাসার কথা বলা হইতেসে, not flirting ] অনেকের আবার ভার্সিটি জীবনের প্রেমটিই হয়ে থাকে প্রথম প্রেম এবং এটাকে শেষ প্রেমও বানানো সম্ভব ভার্সিটি জীবনে প্রেম/ভালোবাসা সাধারনত ৩টি category তে হয়ে থাকে, ১) ব্যাচমেট প্রেম, ২) সিনিয়র-জুনিয়র প্রেম এবং ৩) ভাইয়া-স্টুডেন্ট প্রেম
১) এক্ষেত্রে প্রেম হয়ে থাকে একই ব্যাচ এর, মাঝে মাঝে একই ক্লাসরুম এর ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। এইসব প্রেমে অনেক মজা থাকলেও ভবিষ্যতে ঝামেলায় পরার সম্ভাবনা এদের ক্ষেত্রেই বেশী। অনেকের পরিবার চায় বয়সে ছোট মেয়ে, আবার অনেকের বিয়ের পর/চাকুরী জীবনে পদবী/ বেতন এর পরিমাণ/ বিবিধ personality নিয়ে তৈরী হয় নানান সমস্যা।
২) এক্ষেত্রে প্রেম হয় ভার্সিটির সিনিয়র ভাই ও জুনিয়র মেয়ের মাঝে। অনেক ক্ষেত্রে উল্টোটাও ঘটতে দেখা যায় তবে exception নিয়া আমি আলোচনা করছি না। এইসব প্রেম করাতে ব্যাচমেট প্রেমের মত মজা না থাকলেও উভয়ের পরিবার এই প্রেমটিকে খুব সহজেই মেনে নেয় এবং মা-বাবার মেনে নেয়া মানেই নিজেদের সুখের সংসার অর্থাৎ এক্ষেত্রে personality জনিত (১) নং সমস্যাগুলোতে পরতে হয় না বললেই চলে।
৩) এই প্রেমটি হয় যখন কোনো ভার্সিটি ছাত্র কোন মেয়ের বাসায় টিউশনিতে যায়। এই স্টাইলের প্রেমটি খ্যাত যদিও এইজাতীয় প্রেম এ (২) নং এর সকল সুবিধাই পাওয়া যায়, তবুও এটির টিকে থাকা নিয়া রয়েছে একটি ? চিহ্ন। কারন এক্ষেত্রে মেয়েরা সাধারন্ত বয়সে ৪/৫ বছরের ছোট থাকে এবং সে বড় হতে হতে তার মন পরিবর্তন হওয়াই স্বাভাবিক। মেয়েটি যখন ভার্সিটিতে পড়বে, তখন তার আশেপাশে বিভিন্ন ছেলেকে দেখে তার মনে হতেই পারে যে সে বুইড়ার লগে প্রেম কইরা ভুলই করল মনে হই সে তখন ব্যাচমেট প্রেমের মজা নিতে চাইবে
তো দেখা যায় সবধরনের প্রেম এই রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা। আবার এইসব সুবিধা-অসুবিধা নিয়েই আমাদের জীবন তাই সবক্ষেত্রে একটু দূরদর্শিতার পরিচয় দিলেই জীবনটা কিছুটা হলেও সহজ মনে হবে