নিজ জিবনে, হেরে মরি ক্ষণে ক্ষণে,
যতনে রাখি গোপনে ,
যতসব অপমান, করে মোরে যতজনে।
গৃহিনীর সনে রাতে কিংবা দিনে,
মন মিলে না,
খেয়ালী মনে সে যে
আমায় যেন চিনে না।
কপালে সিঁদুর চাঁদে, বধূর কি যে!
প্রেম আকুতি উদিছে,
শ্বেতশুভ্র শাখা যেন
দুহস্তে শোভিছে।
বদনে ভাসিছে আবেদন
নিবেদনে আখিঁ যে,
কি শোভায় নূপুর খানি
চরণে তাহার,
দেবতার নয়ন যে কেড়েছে।
সোহাগিনি আবেগে অভিমানী,
অকারণে মন না মিলে
স্বামীর ঘরে আগুন জ্বেলে
দুষ্টু লোকের মধুর ছলে,
বধূয়া যায় যে টলে।
প্রাণ ছুঁয়ে তারে
মনের গহীনে রেখেছি ওরে,
ভুল বুঝে মুখ ফিরে নেয়
অসাধ্য সে বুঝিতে মোরে।
সরবে -নিরবে, যখন যেভাবে,
টেনেছিল মা তারে, অগোচরে মনে-প্রাণে,
বলেছিল, লক্ষ্মী বধূ পেলে
পুত্র তুমি, রেখো যত্ন করে।
অমানিশার কালো নিশি
এক বিওশালি ছলনাকারী
বাজালো প্রেমের বাঁশী,
কোন অলক্ষণে বধূয়ার নয়ন হেরি।
বিহঙ্গীর দেহাঙ্গের প্রশংসাকারী
পাষণ্ড এক মুখোশধারী,
বন্ধুবেশে আশ্রয় চায়
মোর প্রিয়ার হস্ত ধরি।
বিকারগ্রস্ত কামুক লোভাতোর,
ছলনায় লুটিতে দেহ সাধের বধূর,
বোঝেনা বধূ, বন্ধুবেশী ছলনাকারী
কত যে চতুর।
ছনের ছাউনি আমার জীহ্ন গৃহে
না হয় মৃদু বাতাসে,
ফাঁকা হয়ে নড়ে -চড়ে,
তাই বলে কি উঁকিমেরে দেখবে তুমি ?
ওহে চরিত্রহীন যৌনব্যাভিচারী ?
দূ্র্গম পথের কন্টকধারীকে সরাতে
ছিটকে পড়ে গেছি উঁচু হতে নীচে
প্রাণ বায়ু আসে যায়
মুমূ্র্ষ দেহে আজি হে।
মতলবি ওহে সত্যিই যদি বন্ধু তবে,
কেন পুরুষ হয়ে, নারীর সনে,
স্পর্শে নাকি ঘোর কাটেনি
দেহ ভোগের বার্তা দাও, চুপিসারে কৌশলে ?
দেশ -বিদেশে ভ্রমণ করে
কত নারীর সম্ভ্রম নাশের বদ অভ্যাসে,
তুচ্ছ জ্ঞান কর তুমি, ব্যাপোরোয়া সব বিনাশে।
তুমি যে বন্ধুবেশী কালনাগিনী,
ছলনাময়ী দংশনের আশে,
মোর শখের ঘরের সর্বনাশে।
প্রিয়ারে বলি জাগো তবে,
যতদিন তারে ঘিরে,
সত্যিকারের বন্ধু ভেবে
রবে তুমি সরল মনে,
কলংক দেবে সে যে, তোমার দেহে
কাপুরুষ সুযোগ পেলে।
হে ছদ্মবেশী অট্টালিকায় আছো তবু
শান্তির বাতায়নে
প্রাণ শীতল হয়না কভু।
অন্য নারীর সর্বনাশে
সঙ সেজেছ বন্ধুবেশে,
জান তুমি ? তোমার স্ত্রী যে
সময় কাটায় রাত -দিবসে পর পুরুষে ? চলমান --
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩