somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাউফুলু তুখলু কারোনানো মুকুরু আলা ঘাটাতু ইয়া হুযুরু আলা হানুলুলু

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যনানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু
পৃথিবীর দুটো দেশকে মহামতি হেনরী কিসিন্জার তলাবিহীন ঝুড়ি বলিয়া নিন্দে করেছিল একটি বাংলাদেশ আর একটি ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু । বাংলাদেশের গুনধর রাজনীতিবিদরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বটমলেস বাসকেট থেকে বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে । কিন্তু হানলুলু সেই জায়গাটা একদম ধরতে পারেনি । আগে ছিল যত কান্ড কাঠমুন্ডুতে এখন সেটা হয়েছে যত কান্ড হানুলুলুতে । ইদানিং সবার মুখে মুখে "তাউফুলু তুখলু কারোনানো মুকুরু আলা ঘাটাতু ইয়া হুযুরু আলা হানুলুলু"

বাংলা মানে হল সারা বিশ্ব যখন করোনা নিয়া দৌড়ের উপরে তখন হুযুরেরা হানুলুলু সিটির রাস্তায় । তারা প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদের পিতা শাহ কবজেল মোহাম্মদের ভাস্কর্য্যর বিরোধিতা নিয়ে মাঠ গরম করতেছেন । হানুলুলু শহরের বাসিন্দারা অনেকেই বলছেন এই ময়লানারা ভাস্কর্য বিরোধিতার সমাবেশে (হানুলুলুর ভাষায় মওলানাকে ময়লানা বলে), হানুলুলুতে বলে বেড়াচ্ছেন ধর্ম থেকেই করোনার টিকা তৈরি হবে ।
তো, এমন এক ময়লানাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল -
তাহলে আপনারা করোনার টিকা তৈরি করছেন না কেন ?
এসব আন্দোলন ফান্দোলন বাদ দিয়ে । আপনারা তো অনেক ধর্ম জানেন । একটা টিকা আবিস্কার করে ফেলুন ! হানুলুলুর সে ময়লানা উক্ত মুসুল্লীকে মুরতাদ, কাফের ও হাবিয়া দোযগ নিশ্চিত হবার জন্য তীব্র ভৎসনা করিয়া সভাস্থল ত্যাগ করাইতে বাধ্য করিয়াছেন ।

হানুলুলুর বিশ্লেষকরা বলছেন প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ নিজেই এই ময়লানাদের রাস্তাতে নামিয়েছেন । আমেরিকাতে চিকিৎসা কালে রিপাবলিকান থেকে ডেমোক্রেট সরকার পরিবর্তন দেখে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ নিজের ক্ষমতার চেয়ার ঠিক রাখবার জন্য পশ্চিমকে সাত পাচ বুঝাবার জন্য ময়লানাদের ব্যবহার করছেন । কেননা ময়লানাদের রাস্তাতে দেখলে পশ্চিম ভুলে যাবে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেলের চুরি চামারী, ভোট জালিয়াতি, গুম, খুন, ডিকটেটরশিপ । তারা আফগান্স্তিানের চেয়ে এই ডিকটেরকেই পছন্দ করবে মন্দের ভাল হিসেবে ।


এদিকে আমেরিকা থেকে শাহ আবজেল মোহাম্মদ তার চিকিৎসা শেষ করে দেশে এসে সাধারন মানুষের লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসককে দেখিয়ে পথ্য নিয়ে খবরের শিরোনাম হবার চেষ্টায় বাদ সেধেছে এক সাংবাদিক । লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসা নেবার সময় মাসিক তাংখোয়া নেয়া সাংবাদিক প্রশ্ন করলে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ জানান পরবর্তী মৃতুর আগ পর্যন্ত তিনি দেশেই চিকিৎসা করতে চান । সেই সাথে উচ্চ বিত্তদের অনুরোধ করেন স্বদেশে চিকিৎসা করবার জন্য ।

বেগতিক অবস্থা হলে যা হয় সেখানে মাসিক তাংখোয়া নেয়া ছাড়াও এক সাংবাদিক ছিল আল কাশামু টিভির তিনি প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহম্মদ কে প্রশ্ন করেন মাননীয় সন্মানীত, দেশদরদী, মানব দরদী, হানুলুলুর স্বপ্ন, স্যাটেলাইট প্রেসিডেন্ট, সাগর বাচানো, ধান বাচানো, মান বাচানো, কৃষক বাচানো, নদী বাচানো, বন বাচানো, হানুলুলুর সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের সন্তান হয়রত আওলিয়াতুল কুরুতিয়া প্রেসিডেন্ট -

গত ১০ তারিখের নিউইয়র্ক টাইমস ছাপিয়েছে আপনি জন হপকিনসনে চিকিৎসা বাবদ সাড়ে ৫ লাখ আমেরিকান ডলার পেমেন্ট করেছেন । আপনার সফর সংগী হিসেবে ছিল ৫৫০ জনের বিশাল বহর । যারা হোটেল হায়াতে থেকেছে । তাদের জন্য আলাদা ভাবে জনগনের ট্যাকসের টাকা হোটেল হায়াত কে দিতে হয়েছে । নিউইয়র্ক টাইমস ছাপিয়েছে গরীব দেশের প্রেসিডেন্টের রাজকীয় ইউএন মিটিং ও রাজকীয় চিকিৎসা ।
সেটা তাহলে কোন চিকিৎসা ছিল ?

শাহ আবজেল মোহাম্মদ আগ্নেয়গিরির মত রেগে যান । মনে মনে ভাবছিলেন যদি এই হারমাজাদাকে সাংবাদিক কে গুলি করে মেরে ফেলতে পারতেন । কিন্তু সব রাগ গোপন করে মুখে হাসি রেখে
প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ উওর দেন এসবই ষড়যন্ত্র ।
এগুলো কিছু, দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও বিরোধী দলীয় নেতা ম্যালাও মোহাম্মদের ষড়যন্ত্র ।
নিউইয়র্ক টাইমস বিরোধী দলীয় নেতা ম্যালাউ মোহাম্মদের কাছে টাকা খেয়ে তার মত বিশ্বমানের, নোবেল পাবার যোগ্য বিশ্বের শ্রেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট কে নিয়ে এ ভুয়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ।
প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ আরও বলেন তিনি গিয়েছিলেন ইউনাইটেড নেশনে মর্যাদাপুর্ন "ক্যালা কেউয়া" পুরস্কার নিতে । যদিও এই ক্যালা কেউয়া পুরস্কার আফ্রিকার যুদ্ধ বিধ্স্ত কিছু দেশের নেতারা ইউএনকে ফান্ড দিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোন মর্যাদাপুর্ন দেশের নাম পাওয়া যায়নি ।


যাহোক পরে এ সাংবাদিক অফিসে আসবার আগেই চাকুরী নেই মেইল পেয়ে যায় । এ সাংবাদিকের বউ ছিল হানুলুলুতে সরকারী চাকুরীজীবি তাকে ওএসডি করে দুর্নীতির মামলায় ফাসানো হয় । তারপর উক্ত সাংবাদিকের পত্রিকা অফিস সিলগালা করা হয় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে । পত্রিকার অনলাইন ভার্সন কে ফ্লাগ করা হয় যাতে হানুলুলুতে কেউ পড়তে না পারে । আর সে সাংবাদিক তার লোকাল কোতোয়ালে মানে পুলিশ স্টেশনে প্রতিদিন সকাল দশটায় রিপোর্ট করেন । কোতোয়ালরা সাংবাদিক কে জানিয়েছেন সাংবাদিক না হলে আপনি ও আপনার পরিবার এতদিনে দেহত্যাগ করতেন । আর পত্রিকা অফিসের এডিটর সহ বাকী উপরের পদবীর সবাই গোয়েন্দা অফিসে হাজিরা দিচ্ছেন । ভয়ে পলাতক অনেকে । প্রায় তিন চারশ মানুষ বেকার । শুধু একটা প্রশ্ন করবার কারনে । সিলগালা করবার পর কতৃপক্ষ বলছে এটা তাদের রুটিন কাজ । যারাই দেশ বিরোধী প্রচারনা চালাবে তাদের দিকে এমন নজর থাকবে । তো, এক পত্রিকার উপরে এমন খড়গ হস্ত করাতে বাকী সব পত্রিকা ও সাংবাদিক ভয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে । সরকারী দপ্তরের অনিয়ম দুর্নীতি যেকোন সংবাদ ছাপাবার পুর্বে বারবার চিন্তা করতে হচ্ছে ।


ওদিকে হানলুলুর এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বিরোধী দলীয় নেতা ম্যালাউ মোহাম্মদের প্রয়াত পিতা চ্যালাউ মোহাম্মদ কে নিয়ে চ্যালাউ মোহাম্মদের জন্মদিনে - "সময়ের চ্যালাউ মোহাম্মদ" নামে একখানি উপসম্পাদকীয় লেখেন । হানুলুলুর এক পত্রিকাতে প্রায় বছর তিনেক আগে , সেটার সুত্র ধরে সে শিক্ষককে চাকুরী থেকে বহিস্কার করা হয়েছে । উক্ত শিক্ষক হাসপাতালে তার রোগাক্রান্ত স্ত্রীর পাশে বসে এই দু:সংবাদ শোনেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার চাকুরী নাই করে দিয়েছে । যেহেতু ইশারায় চাকুরী চলে গেছে সেহেতু কোন আদালতে গিয়ে তিনি সুবিচার পাবেন না বলে সবাই ধরেই নিয়েছে ।

হানুলুলুর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মনে করেন হানলুলুর এই দুরাবস্থা স্বাধীনতার শুরুতেই প্রতীয়মান হয় । হানলুলুর রেডিমেট নেতারা দেশের ৬ কোটি মানুষকে উওর হানুলুলু ফোর্সের সামনে রেখে নেতৃত্ব না দিয়ে পালিয়ে যান । উওর হানুলুলু ফোর্স প্রায় তিন লাখ নারীকে ধর্ষন করা মেরে ফেলা সহ নানাবিধও জঘন্য অপরাধ করে । বিশ লাখ মানুষ কে হত্যা করে । যে গনহত্যা আজও পৃথিবীর কোন স্বীকৃতি পাইনি । কেননা রেডিমেট নেতাদের লুটপাট করবার জন্য আলাদা দেশ দরকার ছিল । সেটা পাবার পর তারা আর জনগনের দিকে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেন নি । এমনকি হানুলুলুর ইন্সট্রুমেন্ট অফ সারেন্ডারে হানুলুলুর নাম নেই । ধর্ষিতা নারীদের, গনহত্যার স্বীকার মানুষের তাদের পরিবারের কারও নাম ছিলনা । এই গনহত্যাকারী মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারী উওর হানুলুলু মিলিটারীর প্রায় ৭০ হাজার ফোর্স কে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ছেড়ে দেয়া হয় প্রতিবেশী দেশের কাছে । ৭০ হাজারের উর্ধ্বতন ৭জনকে রেখে নুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত করে ট্রায়াল করে বিচার করবার চিন্তা হানুলুলুর রেডিমেট লিডাররা করতে পারে নাই । সবাই ছিলেন পলাতক । পলাতক নেতাদের হেড নেতা উওর হানুলুলু ফোর্সের হাতে নিজেকে সপে দেন । বাকীরা পলাতক হয় পাশের দেশে ।

এই পলাতক নেতাদের ভিতরে একজন ছিলেন নক্ষত্র সাচ্চা দেশপ্রেমিক । শাহ তাইমুর মোহাম্মদ যিনি সব প্রতিকুলতাকে জয় করে যুদ্ধের নের্ত্বত্ব দিয়েছিলেন । যার নামে আজ হানুলুলুতে কিছুই নেই । উওর হানুলুলু ফোর্সের কাছে নিজেকে সপে দেয়া নেতা বর্তমান প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদের পিতা শাহ কবজেল মোহাম্মদ যুদ্ধের তের মাস উওর হানুলুলু ফোর্সের সদরদপ্তরের জেলে বন্দি ছিলেন । যুদ্ধে শেষে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে তাকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে পাঠানো হয় । জুরিখ শহরে হানুলুলুর ইমিগ্রান্টরা তাকে রিসিভ করেন । শাহ কবজেল মোহাম্মদ প্রেস কনফারেন্স করেন হাভানার চুরুট টানতে টানতে । তারপর থেকে তাকে অনেকেই চুরুট কবজেল বলে ডাকে । এরপর জুরিখে তিনি তার মেডিকেল চেকআপ করেন । মনিং শোজ দ্যা ডের মত সারা বিশ্ব সেদিনই বুঝে যায় হানুলুলু কোন দিকে যাবে ? যার দেশের কোটি কোটি মানুষ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ সেই দেশের নেতা মেডিকেল চেকআপ করছেন জুরিখে । তখনই হেনরী কিসিন্জার বলেন বটমলেস বাসকেট যা আজও হানলুলুতে গোপনে অনেকেই ধর্ম হিসাবে মানে । সেদিনই কিসিন্জার এ নিউ রিলিজিউন হয়ে যায় হানুলুলুর জন্য । অথচ হানুলুলুর প্রতিবেশী বাংলাদেশের নেতারা কি করে জনগনকে নেতৃত্ব দিয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করে ।

জুরিখ থেকে ফিরে শাহ কবজেল একাধারে প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীত্ব সহ চার মিনিষ্ট্রির দায়িত্ব নেন । এরপর শুরু হয় প্রেসিডেন্ট কবজেলের নেতা কর্মীদের লুটপাট । এরপর প্রেসিডেন্ট চুরুট কবজেল ১৩ মাস যুদ্ধে হত্যার নকশাকারী এক মাস্টার মাইন্ডকে এনে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেন । ধর্ষিতার আত্মচিৎকার, গনহত্যার রক্তের দাগ হানুলুলুর মাটি থেকে শুকাবার আগে । ১৫ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের গুলি করে হত্যা করেন । প্রেসিডেন্ট চুরুট কবজেলের নেতাকর্মীদের ভয়াবহ দুর্নীতিতে হানুলুলুতে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় । হানলুলুবাসীকে দুর্ভিক্ষর মধ্যে রেখে প্রেসিডেন্ট চুরুট কবজেল আবারো চিকিৎসার জন্য জুরিখে যান । তাই অনেকেই মনে করেন আজকের নড়বড়ে হানুলুলুর এই অবস্থা আসলে আজকের না শুরু থেকেই ।


অথচ বাংলাদেশের নেতারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দেশেই সবসময় চিকিৎসা করেন । বাংলাদেশের আর্মী, পুলিশ, আনসার, বিডিআর, চকিদার, দফাদার কে যেমন পৃথিবীর সেরা ফোর্স হিসেবে গন্য করা হয় তাদের মানবিক গুনের কারনে । কিন্তু হানুলুলুর কোতোয়াল মানে পুলিশ নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত । মাদক পাচার, ঘুষ, চোরাচালানী, খুন, গুম, ইত্যাদি নানাবিধ অপরাধ । বাংলাদেশের ক্লিন ইমেজের পুলিশের, আর্মীর, আনসার, বিডিআর, চকিদার, দফাদার জড়িত যেকোন ঘটনা নিয়ে সিনেমা নাটক ডকুমেন্টারী করা যায় । যদিও তারা মানুবিক হবার কারনে অনেক কম দু:ঘটনা । অনেকেই বলেন হানুলুলুর অপরাধের ৯০% অপরাধ কোতোয়াল পুলিশ, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ও ক্ষমতাশীন গদীনসীন প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদের দলীয় লোকজনের । একি চিত্র ছিল ম্যালাউ মোহাম্মদের সময়েও । চারিদিকে বোমাতংক । গ্রেনেড হামলা সহ নানাবিধ অপরাধ ।


তবে, হানুলুলুর পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর মত সৎ বা মানবিক না । চাউর হওয়া হানুলুলু পুলিশের নানাবিধ অপরাধ - যেমন নিজের স্ত্রীকে হত্যা, জোড় করে উঠিয়ে নিয়ে নারীকে বিবাহ, মাদক ব্যবসা করে হানুলুলু সিটিতে শপিং মলের মালিক হওয়া, দশ হাজার টাকার জন্য খুন করা, অনেক সময় খুন করার পর জানা যায় আরও দুশো মানুষকে খুন করেছিল হানুলুলুর পুলিশ । আসামীর স্ত্রীদের সোমর্থ্য কন্যাদের রেপ করা । বিদেশ থেকে কেউ গেলে টাকার জন্য তাকে হত্যা করা সহ এমন নানাবিধ ক্রাইমের সাথে হানুলুলুর পুলিশ জড়িত । এরপর হানুলুলুর সশস্ত্র বাহিনী আটা, রুটি, সুজি, চিনি ময়দা, ব্যাংক, বীমা, কনডম তৈরি করা নহ নানাবিধ ব্যবসায়িক কাজে জড়িত । এগুলো নিয়ে কোন ধরনের খবর, লেখা, নাটক সিনেমা তৈরি করা হানুলুলুর ভাষায় (মাসুলাতে খোড়া) বাংলা মানে, কবিরা গুনাহ । তাতে নাকি সুনাম নষ্ট হয় । মানে জনগন দেখলে সুনাম নষ্ট হবে ।
তো, অনেকেই বলেন এমন অপরাধ করলে সুনাম নষ্ট না হলে সেটা নিয়ে বললে লিখলে সেটা নিয়ে সিনেমা নাটক বানালে সুনাম নষ্ট হবে কেন ?

এই কেনর উওর মাথায় না রেখে হানুলুলুর ডিরেক্টর সিনেমা বানিয়েছিল । সেখানে কোতোয়ালের ডায়ালগে সত্যি তুলে ধরাতে তাদেরকে নুতন ডিজিটাল আইনে জেলে ঢোকানো হয়েছে । এদিকে হানুলুলুর সিনেমা হল গুলো পাশের দেশ কে দিয়ে দেবার চিন্তা করা হচ্ছে যাতে দেশের সিনেমা শিল্প ধংস হয়ে যায় । কয়েক বছর আগে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট চুরুট কবজেল কে নিয়ে একটা সিনেমা তৈরি করবার জন্য হানুলুলুর কোন পরিচালক কে দায়িত্ব দেয়া হয়নি । দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল পাশের দেশের পরিচালক কে ।


এদিকে সিনেমার ডিরেক্টর, গ্রেফতার হবার বছর দুয়েক আগে চারজন ভার্সিটির ছেলে ও মেয়ে কে গ্রেফতার করা হয়েছিল ড্রোন বানানোর দায়ে । বানানো ড্রন আকাশে উড়িয়ে পরীক্ষা করছিল । তাতে নাকি হানুলুলুর নিরপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে । ছেলে মেয়েরা ড্রন বানিয়েছিল যাতে ড্রন দিয়ে সীমান্ত পাহারা দেয়া যায় । সীমান্তের রিমোট সিকিউরিটি পোষ্টে খাবার, মেডিসিন তড়িৎ পাঠানো যায় । হানলুলুর বিখ্যাত প্রবাদ উপকারী গাছের ছাল থাকেনা । দেশের উপকার করতে গিয়ে এই ছেলে মেয়েদেরকে জেলে ঢুকতে হয় । আর এদের পরিবার কে উকিল জজকে ঘুষ দিতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে নি:শ্ব হতে হয় । পরে রাতের আধারে এই ছেলে মেয়েরা পাড়ি জমায় আমেরিকাতে উচ্চতর গবেষনার জন্য । তাদের আবিস্কৃত সস্তার এই ড্রন কিনে নেয় ইজরেলী স্টার্ট আপ কোম্পানী । তারা কমার্শিয়ালী বাজারে ছাড়ে । মিয়ানমার এমবেসী আমেরিকা ইজরেলী স্টার্ট আপ কোম্পানীর সাথে এই ড্রন কেনার চুক্তি করে মিয়ানমারের সীমান্ত পর্যবেক্ষন করবার জন্য ।

গত কিছুদিন আগে হানুলুলুর (বিএফ) মানে বর্ডার ফোর্সের কয়েকজন সদস্যকে মিয়ানমার ফোর্স গুলি করে একজন কে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে টর্চার করে হানুলুলুকে ফেরত পাঠায় । সীমান্তে সে সময় মিয়ানমার এই ড্রন দিয়েই পর্যবেক্ষন করে । ইজরেলী একই ড্রন ইনডিয়া তাদের সীমান্তেও ব্যবহার এবং সেই ড্রন দিয়ে পর্যবেক্ষন করেই প্রতিদিন হানুলুলু সীমান্তের নিরীহ কৃষক, জেলেকে গুলি করে মেরে ফেলে অথচ এই মেধা ব্যবহার হবার কথা ছিল হানলুলুর নিজের জন্য । কিন্তু ইনডিয়া মিয়ানমারের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ তাদের সাথে ইনডিয়া মিয়ানমারের এত ভাল ডিপলোমেছি ও সীলগালা নিরাপদ সীমান্ত কখনো এমন দু:ঘটনার খবর শোনা যায় না ।

এভাবেই দিনের পর দিন মেধাবীরা মেধার মূল্যায়ন না পাওয়াতে ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু থেকে দুটো সুটকেসে পাচ বছরের, দশ বছরের সংসার গুছিয়ে নিয়ে ভেগে যাচ্ছে । যাদের মেধা নেই কিন্তু প্রচন্ড পরিশ্রম করবার ইচ্ছা তারা কেউ বসনিয়ার জংগল পাড়ি দিয়ে, কেউবা নৌকা করে ম্যালয়শিয়ার জংগলে গিয়ে হাজির হচ্ছে কাজের আশায় । জংগলে কেউ আধুনীক দাসত্ব করছে । কেউ মারা যাচ্ছে । কেউবা সাগরেই মারা যাচ্ছে । কারও হাড়গোড় পাওয়া যাচ্ছে কারও সেটাও পাওয়া যাচ্ছেনা ।

আর ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলুর রেডিমেট নেতারা তারাও তাদের টাকা পয়সা বাড়ী গাড়ী পরিবার পরিজনদের সেটেল করে দিচ্ছে ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া ক্যানাডাতে । শোনা যায় ক্যানাডাতে ব্যানানা রিপাবলিক হানুলুলুর রেডিমেট নেতারা, গোয়ারমেন্ট অফিসাররা তাদের বিবিদের, সন্তানদের রাখবার জন্য বিবি পাড়া বানিয়েছেন ।

আজকে সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল বলা হচ্ছে বাংলাদেশ কে । বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেট দেখতে ফাইভ স্টার হোটেলের মত । হাতির ঝিল দেখতে লস এন্জেলেসের মত । ভোলা দেখতে পুরা সিংগাপুর । বরিশালকে দেখলে মানুষ আমস্টারডাম মনে করে ভুল করে বসে । যে ভুল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করেছিলেন নর্থ কোরিয়াতে মিটিং করতে যাবার সময় । তিনি হাতিরঝিল লস এন্জেলেস ভেবে এয়ারফোর্স ওয়ানকে ল্যান্ড করবার অর্ডার দিয়েছিলেন । এসব উন্নয়ন দেখে সারা বিশ্ব ব্যানানা রিপাবলিক হানুলুলুকে বলছে বাংলাদেশ কে ফলো করতে । তাদের কাছে শিখতে । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সহ নেতারা কি করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে জনগনের জন্য দিন শুরু করে । কি নেই বাংলাদেশে - ডিপসিপোর্ট, বিশ লেনের রাস্তা, খাতুনগন্জে, চাংখারপুলে ফেসবুক টাওয়ার । বিলগেটস নামজারীর কাগজে সাইন করার জন্য সিটি কর্পরেশনে বসে আছে । শনির আখরাতে প্লট কিনছে জেফ বেজস । জামালপুরের ডিসির সাথে ইলন মাস্ক মিটিং করতেছে । ডিআইজি মিজান ওসি প্রদিপ আল্লামা সায়েনটিষ্ট বদি, আদম ইন্জিনিয়ার পাপুলের সাথে কথা বলছে গুগলের সুন্দর পিচাই । ছাগলনাইয়া তে টয়োটা প্লান্ট বেগমগন্জে নুতন আইফোন ফ্যাক্টরী ।

এই টাইগার ইকোনমীর ধারে কাছে ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু নেই । হানুলুলুতে যা আছে তা হল খুন গুম ধর্ষন বিচারহীনতা বিচারের দীর্ঘসুত্রিতা দুনীর্তি আর হাহাকার । এই হাহাকারে নুতন করে পড়েছেন সদ্য গ্রেফতার হওয়া সিনেমা পরিচালক ও কলাকুশলীরা । গারদের জানালার ফাক দিয়ে তারা ছোট্ট আকাশটাকে দেখছেন ।

নোট : এটি একটি কল্পনা প্রসুত কল্পকাহিনী যার বাস্তবতার সাথে কোন মিল নাই । কেউ দু:খ পেলে আঘাতপ্রাপ্ত হলে নিজের মতই দু:খ ও আঘাত পাবেন । তাতে লেখকের কোন দায় নেই ।


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪১
১৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×