১. যিনি আবেগের বশে বলেছিলেন, 'তেনা'র নেতৃত্বে আমরা করোনা মোকাবেলা করব - তিনি নিজেই মৃত্যুবরণ করেছেন করোনা বা অন্য কোন কারণে। যাই হোক, যার সময় হবে সে যাবেই। আমরা মুসলিমরা বিশ্বাস করি আল্লাহ হায়াত না দিলে সে আর বাঁচতে পারবে না...
২. প্রায় সময় টক শো, সভা/সমাবেশে বক্তারা (এখন বিরোধী দল বলে তেমন কিছু নেই) বলে থাকেন তেনা'র নেতৃত্বে নাকি বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলায় সফল। তার একটা কারণ, বাংলাদেশে করোনা'র রোগী এবং করোনা'য় মৃত্যুহার অন্য অনেক দেশ থেকে অনেক কম...
৩. আলহামদুলিল্লাহ! বাংলাদেশের উপর দিয়ে করোনা হালকার উপর ঝাপসার মতই গিয়েছে এবং যাচ্ছে। কিন্তু এখানে বর্তমান সরকারের (মানে তেনা'র) অবদান কতটুকু? স্কুল, কলেজ বন্ধ করা ছাড়া আর কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে করোনার আক্রমণ কম হয়েছে? ১ দিনের জন্যও বাজার বন্ধ হয়নি। কিছুদিন মার্কেট, মসজিদে কড়াকড়ি করা হলেও পরে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাস, ট্রেন বন্ধ ছিল মাত্র কিছুদিন। সোনার ডিম পাড়া হাঁস গার্মেন্টস-ও বন্ধ হয়নি...
৪. 'লাশের স্তুপ হবে, রাস্তায় পড়ে থাকবে' বলে যারা মাতম করেছিল তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাজা, ঈদের আগে গাদাগাদি করে বাড়িতে গিয়ে সবাই প্রমাণ করেছে করোনা বাংলাদেশে ততটা প্রভাব ফেলতে পারবে না। হয় আমাদের এন্টিবডি তৈরি হয়েছে না হয়, এই অঞ্চলের কোভিড দুর্বল(!)। বিহারী ক্যাম্প, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বস্তিগুলোই তার প্রমাণ...
৫. আর এখন নাকি দ্বিতীয় ফেস! আরো ভয়ংকর! অথচ পরিস্থিতি কী? সব কিছুই স্বাভাবিক। মাস্ক পরা, দূরত্ব রেখে দাঁড়ানো, হ্যান্ড সেনিটাইজার-এর ব্যবহার পুরো বিশ্বেই চালু হয়েছে নিজেদের প্রয়োজনে। এখানে সরকারের চেয়ে জনগণের সচেতনতাকেই বড় কৃতিত্ব দেয়া যায়। অনেক দেশের আগে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন চলে আসায় কেউ কেউ ক্রেডিট দিতে চাইলেও আমি মনে করি না, ভ্যাকসিন না থাকলে বর্তমান পরিস্থিতির আহামরি পরিবর্তন হত। আগে পরে সবাই ভ্যাকসিন পাবে...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:১৭