ধাঁধাঁ
বিধান সাহা
আজকাল শূন্য মনে হয়। যন্ত্রনার সিন্ধুতটে মনে হয় জ্যান্ত পরে আছি। যতো বাল্যবন্ধু আর যতোসব বালিকারা বাল্যের প্রণয় নিয়ে মেতেছিল কানামাছি খেলায়, আজ তাদের কথা মধ্য-জঙ্গলে বয়ে যাওয়া বাতাসের মতো আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। অথচ আমি নিঃসহায় দাঁড়িয়ে আছি গাছের মতো। ঋতুকালিন সময়ে বালিকারা যে রকম অস্বস্তি নিয়ে ছটফট করে অথবা যৌন উত্তেজনায় কুমারী মেয়েরা যেমন মুহুর্মুহু নিজের অসহায়ত্বের কথা ভাবতে ভাবতে ভিজিয়ে ফেলে অর্ন্তবাস; ঠিক তেমনি এক অপ্রকাশ্য যন্ত্রনা নিয়ে হোসেন পাগলার মতো এ শহর ঘুরে ঘুরে নিজেকে দেখাচ্ছি।
অথচ, জনৈক ছুঁড়ে ফেলে দিলে যে কৃষ্ণমাটি আঁকড়ে ধরে বলেছিল, ‘ঐ দূরতম পাহাড়ের গায়ে যে নীল ভ্রমর উড়ে উড়ে নিমন্ত্রন বিলি করে যায়, তা এক মাকড়সার ফাঁদ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। অতএব যা কিছু সম্পন্ন ভাবছ তা আসলে মাত্র শুরু হলো; যা কিছু সত্য জানো, তার সবই কেবল মিথ্যেময়!’
শুনে এই দূড়ন্ত ঠোঁটের কোনে নৈঋত থেকে নেমে এলো হাওয়া। জোনাক পোকার সমাবেশ ভেঙ্গে গিয়ে শুরু হলো অন্ধকারের একক প্রদর্শনী আর মাটিবর্তী কিছু কিছু স্বপ্নালু ঘাসফুল স্বপ্নরিক্ত হতে হতে ভুলে গেল আত্মপরিচয়।
কলা-কৈবল্যের খসড়া টুকে যে নিশ্চেতনের পথে আজ আমি-ই আমার ব্যাখ্যা খুঁজি সেখানে ক্রমাগত ভেসে আসে অসংখ্য আলোক রশ্মি, কিছু কিছু অসীম আঁধার;
লৌকিক বাধাঁ-
আর অলৌকিক ধাঁধাঁ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:২৩