আগামী ১৭-২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করবেন। চলতি বছর চীন ছাড়াও তিনি আরো বেশ কয়েকটি দেশ সফর করবেন। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মধ্য এপ্রিলে জাপান, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ফিলিপাইন সফরে যেতে পারেন। ২৮ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়া সফরের দিনক্ষণ আগে ঠিক হলেও তা মে মাসে পিছিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বছরের শেষে তিনি রাশিয়া যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হবে। বিশেষ করে পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ যেখানে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করত সেখানে এ স্থানটি দখল করে নিয়েছে চীন। তাই এদিকটি প্রধানমন্ত্রীর সফরে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফরে আইটি খাতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ চাওয়া হতে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়েরও আইটি খাতে বিশেষ আগ্রহ আছে, এ সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সঙ্গী।
তৈরি পোশাক এর মত আইটি পণ্য তৈরি করতে বাংলাদেশে চীনের চেয়ে সস্তা পড়ে।
আইটি ছাড়াও সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) সার কারখানা প্রকল্প, ঢাকা ও চীনের চ্যাংদো শহরের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, তেল ও গ্যাস খাতে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং বাংলাদেশকে দেয়া প্রায় আটশত মিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফ স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। পাশাপাশি কাজীরটেক সেতু, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা সেতু, লেবুখালী সেতু, দোহাজারি থেকে গুনধুম পর্যন্ত রেল লাইন, যুমনা নদীতে রেল সেতু, কর্ণফুলি ট্যানেল নির্মাণে চীনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এর বাইরে স্থায়ী প্রদর্শনী কেন্দ্র, মেট্রোপলিটন শহর, প্রধান প্রধান জেলা সদর এবং উপজেলা ডিজিটাল টেলিফোন একচেঞ্জ স্থাপন প্রকল্প, নর্থ-ওয়েস্ট ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্প, রুপায়ন পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, পাগলা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্পে চীন ইতোমধ্যে আগ্রহ দেখিয়েছে যা এ সফরে এগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




