এখন আমরা একটা সহজ হিসাবে যাব। গত বছর ডিসেম্বরের কিছু আগে শেয়ার মার্কেটের যে সূচক ৮ হাজার ছাড়ানো ছিল সেটা এখন ৫ হাজার ছুই ছুই। তারমানে এই গ্যাপের একটা বিপূল পরিমান টাকা শেয়ার মার্কেটের বাইরে চলে গেছে।
কেউ শেয়ার বিক্রি করে টাকা কোথায় রাখবে?
১। বাসায় : এই বিপুল অংকের টাকা বাসায় রাখা প্রায় অসম্ভব। আর সব লুটেরা মিলে সেটা একযোগে বাসায় রাখবে সেটাও কেমন অতিকল্পনার মতো হয়ে যায়।
২।ব্যাংক : আমরা হাতে টাকা পেলেই সেটা জমা দিতে ব্যাংকে ছুটি। কাজেই এইটা টাকা যাওয়ার একটা ভাল জায়গা। কিন্ত আশ্চর্যভাবে ডিসেম্বরের পর থেকে ব্যাংকে চরম তারল্য সংকট। বেশীরভাগ ব্যাংকে নতুন ফাইন্যান্স করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। তারাও টাকার সংকটে ভুগছে, মানে টাকা সেখানে যায়নি।
৩। শেয়ার বিক্রি করে টাকা বিও একাউন্টে আছে : এই সম্ভাবনাটাও সত্যি না কারন হাউসগুলো বিও একাউন্টের টাকা কোন না কোন ব্যাংকে রাখে তাইলে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়তো না।
এই বিশ্লেষন গুলোতে একটা বিষয় আশংকা হয়, টাকা দেশের ভিতর নেই। পাচার হয়ে গেছে। প্রমান নেই তবে একটা পরিস্কার লক্ষণ কিন্তু আছে। ধরা যাক আপনি প্রমাণ ছাড়া টাকা দেশের বাইরে পাচার করতে চান কি করবেন? যারা একটু এই লাইনে কাজ করেন বুঝবেন যে দেশের বাইরে টাকার কোন দাম নাই। তাইলে? দাম ডলারের। সেটা ব্যাংকিং চ্যানেলে না পাঠিয়ে যদি আমি হুন্ডি করি? ডলারের চাহিদা বেড়ে যাবে। ফলে দাম বাড়বে ডলারের।
গত কয়েকমাসে ডলারের দাম বেড়েছে সাত থেকে আট টাকা। এখন মিলিয়ে নিন বাকি হিসাবটা।
আমার এই আশংকার কথা মিথ্যা হলে সবচেয়ে খুশী আমিই হতাম, কিন্তু সেটার কি কোন সম্ভাবনা আছে?
ডলারের গ্রাফটার তথ্যসূত্র : Click This Link
এই নিয়ে আমার একটা পুরান লেখা :
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




