দিনরাত মানছে না লোডশেডিং। সর্বনিম্ন তিন থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে খোদ রাজধানীতেই। জেলা ও উপজেলা শহরের অবস্থা আরো নাজুক। গ্রাম পর্যায়ে কোথাও কোথাও বিদ্যু মাঝে মাঝে আসে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। ছয় হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও ঘাটতি থাকছে। মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুড়ে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। গ্যাসস্বল্পতায় ৫০০ মেগাওয়াট ও কেন্দ্র বন্ধের কারণে এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রচণ্ড দাবদাহে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতির ক্ষতির আশঙ্কায় কেন্দ্রগুলো এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে লোডশেডিংয়ের কোনো বিকল্প থাকছে না।
ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) সূত্র জানায়, সারা দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ৫৫৮ মেগাওয়াট। কিন্তু প্রকৃত তথ্যমতে, বিদ্যুৎ ঘাটতি দুই হাজার মেগাওয়াটের ওপরে। কারণ, বিদ্যুতের চাহিদা এখন আট হাজর মেগাওয়াটের মতো।
বিতরণ কোম্পানিগুলো চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় তারা লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে।
গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা শাপলা আক্তার জানান, দিনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বার লোডশেডিং দেয়া হয়। রাতেও তিন থেকে চার বার লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবারেই এক ঘণ্টা পর বিদ্যুতের দেখা মেলে।
মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র আজিজুর রহমান পলাশ বলেন, প্রতিদিন তিনবার বিদ্যুৎ যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে রুম প্রচণ্ড গরম থাকে, এ কারণে ঠিকমতো পড়াশুনা করতে পারছেন না।
এমন সমস্যা রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে শিশুরা। শিশুরা গরম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ঢাকায় পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। রাজধানীর তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল, ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে সহসা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কারণ, এখনো বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হয়নি।
সূত্র: প্রথম বার্তা ডট কম
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৪