somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসমানী চিঠি

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রহমান রহীম আল্লাহ তায়ালার নামে
আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর (পবিত্রতা ও) মাহাত্ম্য ঘোষণা করে, তিনি মহাপরাক্রমশালী ও প্রবল প্রজ্ঞাময়। হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা এমন সব কথা বলো কেন যা তোমরা (নিজেরা) করো না। আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তোমরা এমন সব কথা বলে বেড়াবে-যা তোমরা করবে না! আল্লাহ তায়ালা তাদের (বেশী) পছন্দ করেন যারা তাঁর পথে এমনভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, যেন তারা এক শিশাঢালা প্রাচীর। (মূসার ঘটনা স্মরণ করো,) যখন মূসা নিজের জাতিকে বলেছিলো, হে আমার জাতি, তোমরা কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছো, অথচ তোমরা এ কথা জানো , আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো একজন রসূল; অতপর লোকেরা যখন বাঁকা পথে চলতে আরম্ভ করলো, তখন আল্লাহ তায়ালাও তাদের মন বাঁকা করে দিলেন; আল্লাহ তায়ালা কখনো না-ফরমান লোকদের সঠিক পথের দিশা দেন না। স্মরণ করো, যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা তাদের বললো, হে বনী ইসরাঈলের লোকেরা, আমি তোমাদের কাছে পাঠানো আল্লাহর এক রাসূল, আমার আগের তাওরাত কেতাবে যা কিছু আছে আমি তার সত্যতা স্বীকার করি এবং তোমাদের জন্যে আমি হচ্ছি একজন সুসংবাদাতা,( তার একটি সুসংবাদ হচ্ছে), আমার পর এক রসূল আসবে, তার নাম আহমদ; অতপর (আজ) যখন সে (আহমদ সত্য সত্যিই) তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে হাযির হলো তখন তারা বললো, এ হচ্ছে এক সুস্পষ্ট যাদু! তার চাইতে বড়ো যালেম আর কে আছে যে আল্লাহর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, (অথচ) তাকে ইসলামের দিকেই দাওয়াত দেয়া হচ্ছে; (মূলত) আল্লাহ তায়ালা কখনো সীমালংঘনকারীদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না। এ লোকেরা মুখের ফুৎকারেই আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়; অথচ তিনি তার এ নূর পরিপূর্ণ করে দিতে চান; তা কাফেরদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন। তিনি তার রসূলকে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবন বিধান দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যেন সে রসূল) একে দুনিয়ার (প্রচলিত) সব কয়টি জীবন ব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মোশরেকদের কাছে যতোই অপছন্দনীয় হোক না কেন! হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, আমি কি তোমাদের এমন একটি ( লাভজনক) ব্যবসার সন্ধান দেবো যা তোমাদের (মহাবিচারে দিনে) কঠোর আযাব থেকে বাচিয়ে দেবে! (হ্যাঁ, সে ব্যবসাটি হচ্ছে,) তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমন আনবে এবং আল্লাহর (দ্বীন প্রতিষ্ঠার) পথে তোমাদের জান ও মাল দিয়ে জেহাদ করবে; এটাই তোমাদের জন্যে ভালো, যদি তোমরা (কথাটা) বুঝতে পারতে, (ঠিকমতো একাজগুলো করতে পারলে) আল্লাহ তায়ালা তোমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন এবং (শেষ বিচারের দিন) তোমাদের তিনি প্রবেশ করাবেন এমন এক (সুরম্য) জান্নাতে, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত থাকবে, (সর্বোপরি) তিনি তোমাদের আরো প্রবেশ করাবেন জান্নাতের স্থায়ী নিবাসস্থলেন সুন্দর ঘরসমূহে; আর এটাই হচ্ছে সবচাইতে বড়ো সাফল্য, আরো একটি ( বড়ো ধরনের) অনুগ্রহ রয়েছে যা হবে তোমাদের একান্ত কাম্য (এবং তা হচেছ), আল্লাহর কাছ থেকে সাহায্য ও (ময়দানের) আসন্ন বিজয়; যাও, তোমরা মোমেন বান্দাদের) এ সুসংবাদ দাও। হে ঈমানদার ব্যাক্তিরা, তোমরা সবাই আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্যকারী হয়ে যাও, যেমনি করে মারইয়াম প্রত্র ঈসা তার সংগী সাথীদের বলেছিলো, কে আছো তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) পথে আমার সাহয্যকারী ? তারা বলেছিলো, হাঁ, আমরা আছি আল্লাহর (পথের) সাহায্যকারী, অতপর বনী ইসরাঈলের একটি দল (সাহয্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার ওপর) ঈমান আনলো, আরেক দল (তা সম্পূর্ণ ) অস্বীকার করলো, অতপর আমি (অস্বীকারকারী) দুশমনদের ওপর ঈমানদারদের সাহায্য করলাম, ফলে (যারা ঈমানদার ) তারাই বিজয়ী হলো।

*** (আল-কোরআন, সূরা আস সাফ।)***
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×