“জনগনের বন্ধু” এই এই সম্পরকের দাবীদার পুলিশ এর উচিত ছিলো জনগনের বন্ধু হওয়া । পুলিশ এর কাজ করমের প্রতি অনেক আগেই নজর দেয়ার প্রয়োজন ছিল প্রশাসনের । আমরা কেন দেই নি সেটা বোধগম্য নয়। রাষ্ট্রের যত খরচ আছে সব ই জনগন নানা ভাবে বহন করে । রাষ্ট্রের নিজস্ব বলে কিছু নাই । থাকে না । রাষ্ট্রের নিজস্বতা? মূল উপাদান ই বা কি ? জনগন ই রাষ্ট্রের মালিক। জনগনকে কেন্দ্র করেই নিরমিত হয়
জনগনের মঙ্গলের চিন্তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয় । জনগনের দবারা নিরবাচিত সরকার জনগনের মঙ্গলের জন্যই কাজকরম করে । এই সব কাজের একটি অংশ হলো পুলিশ। একটি রাষ্ট্রের বেশ কিছু বাহিনী রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সদা জাগ্রত থাকে । কিন্তু পুলিশের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় বলতে – শুনতে অভ্যস্ত “পুলিশ জনগনের সেবক” । একথা অস্বীকার করতে চাই না যে পুলিশ যদি নিষ্ক্রিয় থাকতো তাহলে দেশের কি হতো ? কিন্তু একথাও না বলে পারছি না যে পুলিশ জনগনের সেবক । ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের আচরন বা ততপরতা ভিন্ন রুপ ও রং ধারন করে যা কাম্য নয় ।
পুলিশের কাছ থেকে আসলে জনগন কতটুকু সেবা পাচ্ছে সেটা দেখা সব সময় ই প্রয়োজন । কিভাবে পাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চলমান থাকা দরকার । সম্প্রতি পেশাগত দায়িত্ত পালনে মফস্বলে কাজ করতে গিয়ে আশংকিত ও আতংকিত হয়েছি এই বাহিনীর আচরন ও কাজকরমে । পুলিশ কে মানুষ এত ভয় পাবে কেন ? পুলিশের ভয়ে লোকজন ঘরের চেয়ে জেলেই থাকতে পছন্দ করবে কেন ? জামিন পেয়েও জেল থেকে বের হতে চাইবে না কেন ? সামান্য বিষয়ে মত পারথক্য হলেই পুলিশ কেন সাধারিন মানুষ কে জঙ্গী বানাবে ? মফস্বলে কেন মানুষ পুলিশের ভয়ে বাসায় থাকতে চায় না ।
“ পুলিশের চেয়ে বড় চাদা বাজ তারা আর কাউকে পাই নি” একথা মানুষ কখন বলে ? মফস্বলে অহরহ পুলিশ বাসায় – রাস্তা ঘাটে – আদালত প্রাঙ্গনে সাধারন মানুষের কাছে সরাসরি ঘুষ নিয়ে আইন লংঘন করেই যাচ্ছে । তাদের কে কিছুই বলার কেউ নাই । টাকা না পেলেই সাধারন মানুষ হিয়ে যাচ্ছে “ জঙ্গী” মামলায় আসামী । একটা বিভিষিকাময় ভীতকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে জনমনে । এমন কি এই সব ক্ষেত্রে লোকাল রাজনীতি বিদদের ও বিশেষ কোন ইতিবাচক ভূমিকা নাই যা জনগনের পক্ষে কাজ করছে । রাজনীতিতেও রয়েছে দলীয় কোন্দল আছে । নেত্রত্তের অদ্রশ্য লড়াই আছে । একে অপরকে টেনে নামাবার অপচেষ্টা আছে । কিন্তু সব ছাপিয়ে যা আছে সেটা হলো – পুলিশ ভীতি। মামলায় জড়িয়ে দেবার ভয় !
থানা সকলের জন্য অবারিত নয় । ততটুকুই খোলা যে যত টুকু পদ মরযাদা বহন করে । সেখানে পুলিশের এক অদ্ভুত চেহারা – আচরন । যেন তারা ছাড়া আর সকলেই ভিন গ্রহ থেকে এসেছে । রাস্তা ঘাটে এক থমথমে ভাব । সন্ধ্যার পর যা আরো বেড়ে যায় । বাসা বাড়ীতে আতংক । করমস্থলে । এভাবে চলতে পারে না । চলতে দেয়া ঠিক নয় । পুলিশ কে জনগনের বন্ধু না হোক শত্রু বানানো বন্দ করুন । সামনে অশনি সংকেত !
দিলরুবা শরমিন
প্রথমবার্তা (সম্পাদক )