somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাজার। ওরশ। দর্শন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ব্যাঙেরছাতার মত সারিসারি গড়ে ওঠছে ভণ্ডবাবার মাজার। গাঁজার কলকিটানা আর নারীর আড্ডা নিয়ে বেশ জমিয়ে ওঠেছে বাবার রমরমা ব্যবসা। কিছুদিন যেতে না যেতেই এক বাবা থেকে আরেক বাবার ওরশ। এক বাবার মাজারের নাম বলতে গে' হাসি পাচ্ছে__"গঙ্গা শাহ গায়েবী মাজার" এও নাকি সত্যি যে, গঙ্গা থেকে মাজার ভেসে ওঠেছে। বলে রাখি, মাজার এটি আরবি শব্দ। যার সাধাসিধে অর্থ__ বড় কোন ব্যক্তির সমাধিস্থ কবরের দর্শন। দর্শনীয় কবরকে "মাজার" বলা হয়। তা কী করে গায়েবী হতে পারে? আমার বোধগম্য নয়।
এই তো সেদিন খুব ধুমধাড়াক্কার সাথে পালিত হল বার্ষিকী পবিত্র (?) ওরশ। সেটা ছিল মোতালেব শাহ'র। এর পাশেই আরেকটি মাজার ওরশের অপেক্ষায়। এখন যে মাজারের গল্প বলছি সেটা আগেই বলেছি। এই ভণ্ডবাবাদের ওরশকে উপলক্ষ্য করে চলছে নানান শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ। বেশধারী অনেক পাগলের আমদানি দৃষ্টি এড়ায় না। বেশিরভাগই কিনে আনা হয় মজমা জমানোর জন্যে। ভেতরে ভেতরে চলে নারীপুরুষের অবাধ মেলামেশা। ওসব ওরশে রকমারি দোকান নিয়ে মেলাও বসে। আসে সার্কাস, যাদু, 3d, 5d movies। পার্শ্ববর্তী এলাকার তরুণতরুণীরা আসে দলে দলে। ঘরে বসে থাকে না আবালবৃদ্ধবনিতাও। ছুটে আসে ববার রঙ্গতামাশা দেখতে। পাগলগুলার রঙ, ঢঙ, ওঠাবসা দেখলে যে কেউ রুচিসম্মত ব্যক্তি কাছে ঘেঁষতে ঘেন্না করবে। কিন্তু কিছু বোকার দল দ্বীনের বোঝ না থাকায় ওদের পিছুপিছু ঘোরে। ভণ্ডবাবাদের মাজারে মাজারে গিয়ে টাকা ঢালে। আরো আফসোসের কথা হল, বন্ধ্যা, নিঃসন্তান নারীরা বাবা নামে ভণ্ড, দুশ্চরিত্রবান, মানুষের কাছে যায় সন্তান চাইতে। ছিঃছিঃ অমন নোংরা, বিচ্ছিরি, অপরিষ্কার লোকটার কাছে কী রুচি নিয়ে যায় তারা? একমাত্র আল্লাহই পারেন সন্তান দিতে। দেবার মালিক তিনিই। মানুষ কখনো দিতে পারে না সন্তান। তাছাড়া মাজারে শুয়ে আছে তো একজন মরা মানুষ।
মাজারে অনেক পাগলিনীও থাকে। এরা প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরা করে কোথায়? এত বড় মাজার। বিশাল ওরশ। মাজারে কোথাও করা হয় নি পেষাব পায়খানা করবার কোন সুব্যবস্থা। আর গোসল তো এরা করেই না।
কৌতূহলবশত সেদিন রাতে গেলাম মাজারের কাণ্ডকারখানা দেখতে। সাথে ছিলেন #তানভির ভাই। মানুষের ভিড়ে পা ফেলবার জো নেই। এত এত মানুষ! কী জন্য আসে তারা? সবাই তো আর আমাদের মত দেখতে আসে নি।
এমন কিছু বুড়ো দেখলাম__কবরে এক পা চলে গেছে এখনোবধি হুঁশ ফেরে নি। গরুর সিং নিয়ে কী সব আস্ফালন করছে! পোশাক পরেছে দৃষ্টিকাড়া। আরেক বুড়ো__ জৌলুশপূর্ণ পোশাক। লাল শালু। একদম হিন্দুদের ধূতি সদৃশ। হাতে একটা সন্যাসীদের বিশেষ চিহ্ন। মাথার চুল জটবাঁধা। দাড়িমোচ একাকার। আশ্চর্য, তানভির ভাই বললেন, এরা খায় কীভাবে? তার প্রশ্ন শুনে আমার মনে পড়ল রবিবাবুর কথা। আচ্ছা, তিনি তো কবি মানুষ ছিলেন। নামিদামি মানুষের সাথে তার ওঠাবসা ছিল। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যেতে হত। বলাই বাহুল্য যে, ভোজের আয়োজন হত। তো কবি মশাই কীভাবে খেতেন? বিশেষ করে তরল খাবার? আর যদি হয় ডাল, তাহলে? জানতে ইচ্ছে হয় খুব।
যাকগে, তো ওই পাগলগুলাই বা কী করে খায় এখন? সব মাজারেই এমন কিছু পাগলের আনাগোনা দেখি। পরিতাপের বিষয়, মানুষ কবে বুঝবে যে, এদের চলাবলা, ওঠাবসা, কাণ্ডকীর্তিই বলে দিচ্ছে যে, এরা সত্যপন্থী নয়। এই বাবা নামে নরক-কীটগুলো পরকালের মুক্তির কারণ হতে পারে না।

সময়ঃ এই রোদ এই বৃষ্টি দুপুর
তারিখঃ ০৪/০৯/১৬ ঈসাব্দ
স্থানঃ ফরিদাবাদ

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
০টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×