২ দিন আগে অনিলা কে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসে আসছিলাম। ড্রাইভার না আসাতে মেজাজ এমনিতেই খারাপ, তার উপর আবার জ্যাম। রেডিও টা ছাড়লাম গান শুনতে। দেখি খবর শুনাচ্ছে । “ লিবিয়া তে যৌথ বাহিনীর সারারাত ব্যাপী বিমান হামলা .........” । উফফফ !! আর ভালো লাগে না। চারিদিকে এত গন্ডগোল । এই তো সকালেই তো পেপারে পড়লাম আরো শ’খানেক বাংলাদেশির ফেরত আসাএ খবর । আচ্ছা, এ মানুষগুলো লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় দালালের খপ্পরে পড়ে অথবা চুক্তি মোতাবেক চাকরি/ সুবিধা পায় না। এ মানুষেরা আমাদের রেমিট্যান্স তথা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু অনেককেই প্রচুর দেনা-পাওনা করে বিদেশ যেতে হয়। অনেকে পাওনা মিটাতে পারে – অনেকে হয়ে যায় নিঃস্ব। এই টাকা টা যদি দেশে খাটিয়ে ব্যবসা করা যেত তাহলে তারা অনেকেই স্বনির্ভর হতেন প্রিয়জনদের কাছে থেকেই, আবার অনেকের চাকরির যোগানও দিতে পারতেন এই ব্যবসা থেকে।
লিবিয়ায় থেকে প্রত্যাগত এ মানুষগুলো সে সব মানুষদেরই অংশ যারা প্রিয়জনদের থেকে হাজার মাইল দূরে থাকে প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য । এই দূর্যোগময় মুহূর্তে যখন প্রিয়জনদের মুখে উৎকন্ঠা আর নিজের মুখে নিরাপত্তার শংকা , তখন কি দয়া করে তারা এবং যারা এখনও বিদেশের মোহে আছেন, দয়া করে কি আরেকবার নিজের সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করবেন ? নিশ্চয়ই প্রিয়জনের পাশে থেকে, নিজের দেশে থেকে অর্থ উপার্জনের যে শান্তি, তা নিশ্চয়ই বিদেশে পাবেন না !!