somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ়াতিসংঘ-আমরা আমরাই তো !!!

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বই পুস্তকে ক্ষেত্র বিশেষে পত্র-পত্রিকায় " ঠুটা জগন্নাথ " কথাটি পড়েছি। কোথা থেকে এর উৎপত্তি কেনই বা বলা হয় তা কখনো কেন জানি খুঁজে বের করার ইচ্ছা মনে জাগেনি। কিন্তু এবারের একটি চলমান বর্বরতম ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে মাথায় এই প্রবচনটি বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল। তবে পরে দিয়ে এটাও মনে হল যেই সংস্থাটির ব্যাপারে এই শব্দদয় ব্যবহার করব বলে ভেবেছিলাম, তারা এরও যোগ্য নয়। কেন নয়, সেটাই একটু ব্যাখ্যা করতে চাইছি।
ধরুন আপনি যেই পাড়ায় বা মহল্লায় বসবাস করেন সেখানে যাতে শান্তি শৃঙ্খলা সবসময় বজায় থাকে তার নিমিত্তে পাড়ার মোড়ল স্থানীয় কারো উদ্যোগে একটা কমিটি গঠন করা হল। আপনি হলেন সাধারন সদস্য আর আপনার চেয়ে প্রতিপত্তিতে মানে অর্থকড়ি এবং পেশিশক্তিতে যারা এগিয়ে তারা স্থায়ী কমিটির সদস্য মানে এরা সবাই নীতিনির্ধারক আর আমার আপনের মত যারা আম আদমি তারা খালি execution এর দায়িত্বে থাকবে বলে ঠিক হল। তো এখন ধরুন শান্তি বজায় রয়েছে...বজায় রয়েছে....হঠাৎ করে একদিন পাড়ার মোড়লের দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই মহল্লায় আসলো পরিবার নিয়া, মোড়লের বাড়ি অথবা অন্য কোথাও তাৎক্ষনিক বাসা খালি না পাওয়ায় সবার অনুরোধে আপনার বাড়ির চিলেকোঠার ঘরটি তাদেরকে আপনি ভাড়া দিয়ে দিলেন। যাই হোক দিন যায় মাস যায় মামাতো ভাইয়ের জনবল বাড়তে থাকে গ্রাম থেকে এ আসে ও আসে, আর তাদের জায়গা দেয়ার জন্য সবার অনুরোধে আপনে আপনার ভাড়াটিয়া অথবা ক্ষেত্রবিশেষে নিজের আপনা লোকদের দূরে সরাইয়া হইলেও জায়গা দিতে থাকলেন....এই ভাবে একদিন হল কি, নিজ ঘরে আপনি হয়ে গেলেন পরবাসী। বাড়ির সব কিছুই ওরা নিয়ন্ত্রন করা শুরু করল, বাড়ির পানি কখন ছাড়ব, ভাড়া কে তুলব ইত্যকার দৈনন্দিন বিষয়াদির দেখভালের দায়িত্ব এক সময় আপনেরে মিষ্টি কথা বইলা নিয়া নিসিল আর একটা সময় পর এগুলাতে আপনের আর কোন অধিকারই থাকল না। এখন আপনের দিন যায় ওদের দিকে চাইয়া, খাইতে দিলে খাইবেন নাইলে উপাস অবস্থা। রাগে দুঃখে অভিযোগ করলেন সেই কমিটিতে, করসেন আরও আগেও তখন তারা বলসে এইগুলা একসাথে থাকতে গেলে একটু আরটু হয় ঠিক হইয়া যাইব। আর এখন যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেল কমিটি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করল, দখলদারদের বইলা দিল তোরা বাবা গোল করিস না.... নাইলে কিন্তু আরও তীব্র ভাষায় নিন্দা করা হবে বলে হুশিয়ারি দিল। আজকের ইসরাইল - ফিলিস্তিন ব্যপারটাও তো এমনই, আর জাতিসংঘ নামধারী যে বৈশ্বিক কমিটি বা সংস্থা এইটা একটি সঙ এর আখড়া ছাড়া আর কি!!! এরা সেই মোড়ল অর্থাৎ আম্রিকা,বৃটেনের কথা ছাড়া not নড়ন চড়ন দশা অথচ ভাব নেয় সব দেখতেসে সব করতেসে, কথা অবশ্য ঠিক যে দেখতেসে তবে সেটা ওই মোড়লগুলার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী। তাই নিন্দাপ্রস্তাব দেয়া আর হেন কমিটি তেন কমিটি গঠন করা ছাড়া এদের কাছে তেমন কিছু আশা করাটা ভুল। তাই বিশ্বজনমত কোনদিন এসব ক্ষেত্রে পাত্তা পায় নাই।প্রয়োজন অনুযায়ী এরা খুব সরব যেমন মানববিধ্বংসী অস্ত্রপাতি আসে ইরাকের ঘরে ঘরে, কোনে কোনে, এই অভিযোগের সময় এরা সবার আগেই ছিল কারন বুঝতে হবে আসলে কারা এই অভিযোগ করসিল। তাই যখন বলা হয় এই ব্যপারে জাতিসংঘ কি করতেসে বা কি করা উচিৎ তখন হাসতেই থাকি হাসতেই থাকি.... এর চেয়ে হাসির আর কি আসে।
কিসু ছবি দিলাম চাইলে আপনিও এক পাক হেসে নিতে পারেন :

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×