somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন ইডিয়ট ইন লাভ!!! (একুশ)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের কাহিনীর পর.........।

সেই লেভেলের স্ক্যান্ডালাস একটা সেমিস্টার পার করার পর মাথা পুরাই হ্যাং হইয়া গেছিল। চিন্তা করতেছিলাম ক্যামনে কি করা যায়। আবার দেশে যাওয়ার সময়টাও খুব কাছে চইলা আসছিল। শুক্রবারে পরীক্ষা দিয়া চিন্তা করতেছিলাম কি করা যায়? রাইতে সুপারগার্ল এর পাইলট টা দেখার সময় এক এক্টররে কইতে শুনলাম, “টেকিং নো রিস্ক ইজ দ্যা গ্রেটেস্ট রিস্ক ইউ ক্যান টেইক”। এইটা শুইনা মনে হইল ব্যাটায় ঠিকই কইছে। রিস্ক না লইয়া লাইফে কি চুলটা গেইন করলাম? সো রিস্কটা লইয়াই দেখি!

সিটি কলেজের তিন ক্রাশের একজনের কথা সরণ করলাম। চিন্তা করলাম তারে একটু টোকা দিয়াই দেখি। “না” কইরা দিলে দেশে যাইয়া জোর কইরা অরে গালাগালি দিয়া ভুইলা থাকমু (পিরিতেরে বালিচাপা দিয়া দিমু)। আর দেশ থেইকা আসার দুই মাসে ব্যাপারটা ঠাণ্ডাও হইয়া যাবে। এখন দুশ্চিন্তার ব্যাপার হইল, মাইয়াপাইনেরে ঘুরাঘুরি করার অফার টফার দিলে এরা এক্সাইটেড হইয়া তার “বেস্টিরে/সকলরে” কইবে, সে/তারা আবার আরও দুইজনরে কইবে। দিনশেষে দেখা যাবে একখান সলিড উত্তর পাওয়ার বদলে পরিচিত লোকজন দেইখা দেইখা মিনিংফুল হাসি দিবে।আবার অনেকে কইবে “ভাই আপনারে তো ভালো মনে করছিলাম!!! আপনেও???”

মাইয়া আমার ফেসবুকে আছে, ফোনবুক ঘাইটা দেখি তার নাম্বার ফোনেও সেইভ করা আছে (আমি তার উপ্রে অবসেসিভ লেভেলের ইন্টারনেট রিসার্চ (ইনক্লুডিং বাট নট লিমিটেড টু সোশ্যাল মিডিয়া) চালাইয়া মুটামুটি নিশ্চিত হইছি যে হ্যাঁয় খালি আছে!)। ব্যাপারটা হইল যে হ্যাঁর সামনে যাইয়া তারে আমার লগে “হ্যাং-আউট” করতে বলার সাহস কোনদিন হইবে না। আই উড র‍্যাদার শুট মাইসেলফ ইন দ্যা হেড ইন্সটেড অফ ডিলিং উইথ দ্যা এংজাইটি অফ ডুইং সো। এই ব্যাপারগুলা এভোইড করার জন্য একটা ফন্দি আইটা লাইলাম। সো পিলেন মোতাবেক, একটা সেইফ সময়ে (যখন সে বাসায় থাকে, এলোন!) তারে ফোন দিলাম। আমি অবশ্য চিন্তায় আছিলাম হ্যায় ফোন তুলবে কি না? আগে কুনদিন ফুনে কথা হয় নাই কিনা!

যাইহোক, ওইপাশ থেইক্কা ফুন তুইল্লা যখন হ্যালো কইছে, তখন আমার মনে হইল যে এই “হ্যালো” শব্দটা আমার কানে মধুবর্ষণ করল! আহা!!! কি গলা!!! শুইনাই দিল খুশ! কাজী নজরুল হইলে এই গলার বর্ণনা দিতে গিয়া মহাকাব্য লিক্ষা ফালাইতাম হয়ত! আমি যে শালার, “হ্যালো” শুইনা চুপ মাইরা গেছি এইটা কিন্তু টের পাইনাই। আর একবার যখন বিরক্ত হইয়া হ্যালো কইছে, তখন সম্বিত ফিরা পাইয়া হড়বড় কইরা কইলাম, হেই...। অ্যা......। আমি বিপ্লব!.........।
তারপর দুই একখান ভুং চুং কথা কইয়া কইলাম, ওকে কামের কথা শুনো, যেই কাজে কল দিছি তোমারে...।
হ্যাঁয় তো চিন্তিত হইয়া কয়, কি হইছে?
আমি কইলাম তার আগে কও তুমি কি ব্যাস্ত আছ নাকি?
সে কয়, না। বল কি বলবা!
কথাটা হইল, তুমার জন্য একটা অফার আছে। তুমার হাতে তিন মিনিট সময় থাকবে অফারটা একসেপ্ট করার জন্য। এর মধ্যে যদি তুমি লাইন কাইট্টা দাও অথবা উত্তর না দাও তাইলে এন্সার বাই ডিফল্ট “না” হইয়া যাবে। আর যদি সেইটা হয়, তাইলে কাইন্ডলি চেষ্টা কইরো এমন ভাব লওয়ার যে অফার বইলা কুনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না, তুমি আসলে হ্যালুসিনেট করছ! আমিও সেইম করমু। আর ব্যাপারটা হ্যা/না যাই হোক জিনিসটা গুপন রাখলে আমার শরমের লেভেলটা কম হবে আরকি (যদিও আমি জানি উত্তর না হইলে, এইটা হওয়ার পসিবিলিটি খুব কম)! আর আমি তুমারে ফিউচারে বাগিং করমুনা এইটা লইয়া, এইটাও গ্যারান্টেড। এর মধ্যে অবশ্য তার টের পাইয়া যাওয়ার কথা। হোয়াট ওয়াজ কামিং ফর হার!

আমি কইলাম দ্যাখো, তুমারে এই সিচুয়েশনে ফালানোর জন্য আমি এডভান্স দুঃখিত। এখন কথা হইল গিয়া, তুমি বেশ ভালো একটা মেয়ে। তোমারে আমি হাল্কা-পাতলা লাইক করি (এর চেয়ে বেশি কিছু আমার পেটে বোমা মারলেও বাইর হইবে না!)। মাইয়া-মানুষ সুলভ ইন্সটিঙ্কট যদি তুমার ঠিক থাকে তাইলে তুমি মনে হয় এতদিনে টেরও পাইছ (যদিও আমি হাইড/সাপ্রেস করার ম্যাক্সিমাম চেষ্টা করছি)! এখন কাজের কথা হইল, আমার লগে এই উইকেন্ডে একটু হাওয়া খাইতে যাবা?

(চলতে থাকপে......।)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×